গাড়ি বিক্রির হারে উন্নতির কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। সেপ্টেম্বর মাসেও গাড়ি বিক্রিতে পতন লক্ষ্য করা গেল- সে যাত্রীবাহী গাড়ি, দু চাকার গাড়ি, এবং মাঝারি ও ভারী বাণিজ্যিক গাড়ি, সব ক্ষেত্রেই।
মারুতি সুজুকি ইন্ডিয়া লিমিটেড জানিয়েছে, তাদের আভ্যন্তরীণ বাজারে বিক্রির হার কমেছে ২৭ শতাংশ। বাজাজ অটো জানিয়েছে তাদের মোটের সাইকেল বিক্রির হার কমেছে ৩৫ শতাংশ। অশোক লেল্যান্ড জানিয়েছে মাঝারি ও ভারি গাড়ির ক্ষেত্রে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসের তুলনায় তাদের বিক্রি কমেছে ৬৯ শতাংশ।
মারুতি সুজুকি অটোমোবাইল শিল্পের অগ্রণী সংস্থা। ছোট ও কম্প্যাক্ট গাড়িতে গত বছর এই সময়ের তুলনায় তাদের বিক্রি কমেছে ২৯ শতাংশ। মাঝারি আকারের গাড়ির ক্ষেত্রে তাদের বিক্রি হার কমেছে ৭২.৫ শতাংশ।
আরও পড়ুন, বিশ্লেষণ: কর্পোরেট করে ছাড় ও তার প্রভাব
ইউটিলিটি ভেহিকেলের ক্ষেত্রে মারুতি সুজুকি ইন্ডিয়া লিমিটেডের বিক্রি গত মাসের তুলনায় কমছে ০.৫ শতাংশ। বিক্রি বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন গাড়ির ক্ষেত্রে বিপুল পরিমাণ ছাড়ের কথা ঘোষণা করা হয়েছে।
এ অবস্থার কারণ কী?
২০১৮ সালের জুলাই অগাস্ট মাসে ফান্ডিং ও লিকুইডিটির যে সংকট দেখা দিয়েছিল, তা এখন ব্যক্তি উপভোক্তার কাছে সেন্টিমেন্টের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাঁরা এ ধরনের খরচ হয় মুলতুবি করছেন নচেৎ ব্যয় কমাচ্ছেন।
জিডিপি বৃদ্ধির হার ২০১৯ সালের জুন মাসে শেষ হওয়া প্রথম ত্রৈমাসিকে ৫ শতাংশে এসে ঠেকেছে এবং মজুরি বৃদ্ধির হারও প্রত্যাশা অনুযায়ী ঘটছে না। অর্থনীতিবিদ ও বাজার বিশেষজ্ঞরা বলছেন মানুষ সাধারণভাবেই খরচ কমাতে চাইছেন।
অটোমোবাইল ক্ষেত্রের সঙ্গে যাঁরা যুক্ত, তাঁরা বলছেন উপভোক্তারা তাঁদের গাড়ি কেনার সিদ্ধান্ত মুলতুবি রাখছেন একাধিক কারণে। তাঁরা ভাবছেন, জিএসটি হার কমবে, আশা করছেন বিএস ৪ থেকে বিএস ৬-এ পরিবর্তনের কারণে ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যে বড়সড় ছাড় পাওয়া যাবে এবং উৎসবের মরশুমেও বড় ছাড় পাওয়া যেতে পারে।
প্রচুর ছাড়ের কথা ঘোষণা করা সত্ত্বেও কোম্পানিগুলি চাহিদা বৃদ্ধিতে ব্যর্থ হয়েছে। গাড়ি শিল্পের মধ্যেকার লোকজন আশঙ্কা করছেন খুব শীঘ্র বিক্রির অবস্থা উন্নতি হবার কোনও আশা নেই।
Read the Full Story in English