দিল্লি হাইকোর্টে বিরোধী দলগুলোর জোটের সংক্ষিপ্ত নাম 'INDIA' ব্যবহারের বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা (পিআইএল) দায়ের হয়েছে। এই মামলায় কেন্দ্রীয় সরকার, নির্বাচন কমিশন (ইসিআই) ও ইন্ডিয়া (ভারতীয় ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টাল ইনক্লুসিভ অ্যালায়েন্স) জোটের ২৬টি বিরোধী দলের কাছে প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়েছে আদালত। জনস্বার্থ মামলায় দাবি করা হয়েছে যে দেশের নামের সংক্ষিপ্ত শব্দের ব্যবহার, প্রতীকের ব্যবহার ১৯৫০ সালে তৈরি আইনের বিরোধী।
মামলাটা কী?
জনস্বার্থ মামলাটি দায়ের করেছেন সমাজকর্মী গিরিশ ভরদ্বাজ। তিনি 'ভারত নাম ব্যবহার করে জোট' গঠনের বিরোধী। আবেদনে বলা হয়েছে, আদালত কেন্দ্র এবং নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দিক যাতে জোটের দলগুলোকে ইন্ডিয়া শব্দ ব্যবহার করতে নিষেধ করে। ভরদ্বাজ বলেছেন যে তিনি জোটের ২৬টি দলের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের নিষ্ক্রিয়তায় ক্ষুব্ধ। ভরদ্বাজের অভিযোগ, ধূর্ততার সঙ্গে দেশের নাম 'টেনে' কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী 'জোটের নাম উপস্থাপন করেছেন এবং দেখানোর চেষ্টা করেছেন যে এনডিএ বা বিজেপি সরকার জাতি তথা ভারতের সঙ্গে বিরোধে লিপ্ত।'
গিরিশ ভরদ্বাজের আবেদন
গিরিশ ভরদ্বাজের আবেদন অনুসারে, 'এটি সাধারণ মানুষের মনে ২০২৪ সালের আসন্ন সাধারণ নির্বাচন বিভ্রান্তি তৈরি করেছে'। যেন এই নির্বাচন, 'রাজনৈতিক দলগুলির জোট বা আমাদের দেশের সঙ্গে' লড়াইয়ের মত হতে চলেছে। ভরদ্বাজ জানিয়েছেন যে তিনি ১৯ জুলাই জাতীয় নির্বাচন কমিশনে এই নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। কিন্তু, কেউ কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। আবেদনকারীর মতে, এই সংক্ষিপ্ত 'ইন্ডিয়া' নামটি, 'রাজনৈতিক বিদ্বেষ' এবং অবশেষে 'রাজনৈতিক হিংসা' ছড়াবে।
আরও পড়ুন- মূল্যবৃদ্ধির জ্বালায় নাজেহাল মানুষ, আমজনতাকে বাঁচাতে কী রাস্তা নিচ্ছে মুদ্রা কমিটি?
ইন্ডিয়া নাম ব্যবহার অনুচিত
গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, আবেদনে বলা হয়েছে যে জোটের নামকরণ INDIA-র ব্যবহার 'দ্য অ্যাম্বলমস অ্যান্ড নেমস' (অনুচিত ব্যবহার প্রতিরোধ) আইন, ১৯৫০-এর ধারা ২ এবং ৩-এর অধীনে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এই মামলার আরও শুনানির প্রয়োজন রয়েছে, তা পর্যবেক্ষণ করে দিল্লি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সতীশচন্দ্র শর্মা ও বিচারপতি অমিত মহাজনের বেঞ্চ ৩১ অক্টোবরে বিষয়টি শুনানির জন্য তালিকাভুক্ত করেছেন।