/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/04/sadhvi-pragya-4.jpg)
শেষ পর্যন্ত অবশ্য় নাম বাদ দিতে হয় ভোপালের সাংসদকে
মালেগাঁও বিস্ফোরণ কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত সাধ্বী প্রজ্ঞাকে ভোপাল লোকসভা কেন্দ্র থেকে প্রার্থী নির্বাচিত করেছে বিজেপি। এই প্রথম কোনও রাজনৈতিক দল সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে অভিযুক্ত কাউকে টিকিট দিল। সাধ্বী প্রজ্ঞা মুম্বই আদালতে ইউএপিএ-তে অভিযুক্ত। এখন তিনি জামিনে ছাড়া পেয়ে বাইরে রয়েছেন।
মালেগাঁও, অন্যান্য মামলা
২০০৮ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর রাত ৯টা ৩৫ মিনিট নাগাদ মহারাষ্ট্রের মালেগাঁওয়ে শাকিল গুডস ট্রান্সপোর্ট কোম্পানির উল্টোদিকে একটি বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরক লুকোনো ছিল একটি এলএমএল ফ্রিডম মোটরসাইকেলে। এই বিস্ফোরণে ৬ জন নিহত হন, আহত হন ১০০ জনেরও বেশি।
মাহারাষ্ট্র এটিএস প্রধান হেমন্ত কারকারের নেতৃত্বে এ ঘটনার তদন্ত শুরু হয়। মনে রাখতে হবে, এর পর দু মাস কাটতে না কাটতেই মুম্বইয়ে লশকর এ তৈবা জঙ্গিদের হাতে নিহত হন কারকারে। মহারাষ্ট্র এটিএস তাদের তদন্তে নেমে মোটরসাইকেলে খোঁজ পায় সুরাটে, এবং শেষপর্যন্ত খোঁজ পায় প্রাক্তন এবিভিপি কর্মী সাধ্বী প্রজ্ঞার। তদন্তকারীরা পৌঁছে যান পুনে, নাসিক, ভোপাল এবং ইন্দোরে, গ্রেফতার করা হয় সেনা অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল প্রসাদ পুরোহিত এবং অবসরপ্রাপ্ত মেজর রমেশ উপাধ্যায়কে। সামনে আসে অভিনব ভারত নামক হিন্দুত্ববাদী সংগঠন এবং স্বঘোষিত সাধু সুধাকর দ্বিবেদী ওরফে দয়ানন্দ পাণ্ডের নামও।
তদন্তে প্রকাশিত হয় ভারতে জিহাদি হামলার পাল্টা আক্রমণের ষড়যন্ত্রের কথাও। মাহরাষ্ট্রের বিশেষ মোকা আদালতে ২০০৯ সালের ২০ জানুয়ারি একটি চার্জশিট দাখিল করা হয়, ২০১১ সালের ২১ এপ্রিল দাখিল করা হয় সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট। মহারাষ্ট্রে এটিএসের চার্জশিটে ১৪ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। শিবনারায়ণ কালসাংরা, শ্যাম সাহু, সমীর কুলকার্নি অজয় ওরফে রাজা রাহিকর, রাকেশ ধাওয়াড়ে, জগদীশ মাত্রে, সুধাকর চতুর্বেদী, প্রবীণ টাকালকি, রামচন্দ্র কালসাংরা এবং সন্দীপ ডাঙ্গের নাম ছিল অভিযুক্তেদের তালিকায়।
২০১০ সালের ডিসেম্বর মাসে সিবিআই নবকুমার সরকার ওরফে অসীমানন্দকে গ্রেফতার করে। ২০০৬ ও ২০০৮ সালের মালেগাঁও বিস্ফোরণ যে জিহাদি সন্ত্রাসের বদলা, সে কথা ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে স্বীকারোক্তি হিসেবেও উঠে এসেছিল অসীমানন্দের কথায়। অসীমানন্দের বক্তব্য অনুযায়ী, মুসলিমদের টার্গেট করার পরিকল্পনা করেছিল প্রাক্তন আরএসএস প্রচারক সুনীল জোশীর নেতৃত্বাধীন একটি দল। অসীমানন্দের কথায় এই গোষ্ঠীই সমঝোতা এক্সপ্রেস বিস্ফোরণ, আজমের দরগা বিস্ফোরণ এবং ২০০৭ সালের মক্কা মসজিদ বিস্ফোরণের পিছনে রয়েছে। পরে এ বয়ান প্রত্যাহার করে নেয় অসীমানন্দ। এই মুহূর্তে সে সব অভিযোগ থেকে খালাস পেয়েছে।
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/04/sadhvi-pragya-l-1.jpg)
সাধ্বী প্রজ্ঞার ভূমিকা নিয়ে অভিযোগ
২০০৮ সালের ২৪ অক্টোবর সাধ্বী প্রজ্ঞা ঠাকুরের গ্রেফতারের পর হিন্দুত্ববাদী উগ্রপন্থীদের কার্যকলাপ নিয়ে তদন্তকারীদের সামনে নতুন দিগন্ত খুলে যায়। বেশ কয়েকটা বড়সড় ষড়যন্ত্রে সাধ্বীর নাম বেশ কয়েকবার সামনে আসা সত্ত্বেও শেষ পর্যন্ত ২০০৮ সালের মালেগাঁও কাণ্ডে তাঁর নামে চার্জশিট দেওয়া হয়, যে ঘটনায় তাঁর মোটরসাইকেল ব্যবহার করা হয়েছিল।
এটিএসের দাখিল করা চার্জশিট অনুসারে ২০০৬ সাল থেকে উগ্রপন্থীদের প্রায় সব বৈঠকেই হাজিরা ছিল সাধ্বীর। এই বৈঠকগুলিতে মুসলিম সংখ্যাগুরু এলাকায় হামলার বিষয়ে আলোচনা হত। ২০০৮ সালের মালেগাঁও বিস্ফোরণ নিয়ে বৈঠক হতে শুরু ২০০৮ সালের জানুয়ারি থেকে। বৈঠক হয় ফরিদাবাদ, ভোপাল, কলকাতা, জব্বলপুর, ইন্দোর এবং নাসিকে। ১১ এপ্রিল ভোপালের এক বৈঠকে হামলা চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় লোক নিয়োগের দায়িত্ব প্রজ্ঞা ঠাকুর নিদের হাতে নেন বলে অভিযোগ। চার্জশিট অনুসারে এ কাজে লাগানো হয়েছিল সুনীল জোশী, রামচন্দ্র কালসাংরা ও সন্দীপ ডাঙ্গেকে।
চার্জশিটের বয়ান অনুসারে প্রজ্ঞা ঠাকুর ছিলেন সুনীল ও রামচন্দ্রের ঘনিষ্ঠ, যে কারণে নিজের মোটরসাইকেলে বোমা রাখতে দিয়েছিলেন তিনি। সে সময়ে কালসাংরা ওই বাইকটিই ব্যবহার করত।
সমঝোতা মামলার চার্জশিটে এনআইএ বলেছিল ২০০৩ সাল থেকে অসীমানন্দকে চিনতেন প্রজ্ঞা ঠাকুর। সুনাল এবং প্রজ্ঞার সঙ্গে কথা বলার সময়ে অসীমানন্দ মন্দিরে বিস্ফোরণের ঘটনায় ক্রোধ প্রকাশ করেছিল। চার্জশিটে বলা হয়েছে, সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গেই শুধু বিপথগামী জেহাদি জঙ্গিদের বিরুদ্ধেই নয়, "গোটা মুসলিম সম্প্রদায়ের উপরেই প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে ওঠে" তারা।
প্রজ্ঞা ঠাকুরের বিরুদ্ধে প্রমাণাদি
প্রজ্ঞা ঠাকুরের বিরুদ্ধে এটিএসের দাখিল করা চার্জশিটে মূল প্রমাণ ছিল তাঁর বাইক। যখন প্রজ্ঞাকে আট করা হয়, সে সময়ে মেজর রমেশ উপাধ্যায় এবং লেফটেন্যান্ট কর্নেল পুরোহিতের একটি কথোপকথন তদন্তকারীদের হাতে আসে। ওই কথোপকথনে প্রজ্ঞার ভূমিকা এবং আইনের হাতে ধরা পড়ার বিষয়ে কথা হচ্ছিল। চার্জশিটে বলা হয়েছে, ওই অফিসাররা বলছিলেন, ধুলি থেকে বিড়াল বেরিয়ে পড়েছে, এবং প্রজ্ঞা ঠাকুরকে সিং সাহেব বলে উল্লেখ করছিলেন।
কে এই সাধ্বী প্রজ্ঞা
সবচেয়ে গুরত্বপূর্ণ প্রমাণ অবশ্য ছিল আর এস এস সদস্য যশপাল ভাডানার বিবৃতি। তাঁর দাবি ছিল ২০০৮ সালের ১১ এপ্রিল তিনি দুটি বৈঠকে অংশ নেন। য়ে বৈঠকে হাজির ছিল বেশ কয়েকজন অভিযুক্ত ষড়যন্ত্রকারী।
ভাডানা তাঁর বিবৃতিতে বলেছেন, প্রথম বৈঠকে, যাতে প্রজ্ঞা ঠাকুর ও অন্যান্যরা যোগ দিয়েছিলেন, সেখানে কর্নেল পুরোহিত জিহাদিদের বিরুদ্ধে গেরিলা যুদ্ধ শুরু করার বিষয়টি উত্থাপন করেন। এ প্রসঙ্গ তিনি প্রথম তুলেছিলেন ২৬ জানুয়ারি ফরিদাবাদে আয়োজিত বৈঠকে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে. দ্বিতীয় বৈঠকে, কর্নেল পুরোহিত বলেন মুসলিমদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য আমাদের খুব তাড়াতাড়ি কিছু করা উচিত। মহারাষ্ট্রের মালেগাঁওয়ে মুসলিম জনসংখ্যা অনেক। আমরা যদি ওখানে বিস্ফোরণ ঘটাতে পারি তাহলে হিন্দুদের উপর অত্যাচারের প্রতিশোধ নেওয়া যাবে। এ ব্যাপারে সাধ্বী প্রজ্ঞা সিং বলেন, তিনি এ কাজের জন্য লোক জোগাড় করতে পারবেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশে ২০১১ সালের ১৩ এপ্রিল এ মামলার দায়িত্ব নেয় এনআইএ। তারা ২০১৬ সালে চার্জশিট দাখিল করে। সে চার্জশিট থেকে প্রজ্ঞা সিং ঠাকুরকে অব্যাহতি দেওয়া হয় এবং কর্নেল পুরোহিতকে অভিযুক্ত করা হয়, এই ক্যাভিয়েট সহ যে প্রমাণাদি অত্যন্ত দুর্বল। মোকা আইন থেকে সকলকে অব্যাহতি দেওয়া হয় এবং হেমন্ত কারকারের তদন্তকে অর্থহীন বলে উড়িয়ে দেওয়া হয়। চার্জশিট দাখিলের আগে এনআইএ-র আইনজীবী রোহিণী সালিয়ান অভিযোগ করেন, যে সংস্থা তাঁর উপর ধীরে চলার জন্য চাপ সৃষ্টি করছে।
এনআইএ তাদের চার্জশিটে বলেছে, বিস্ফোরণে ব্যবহৃত বাইক প্রজ্ঞা ঠাকুরের নামে হলেও, ঘটনার দু বছর আগে থেকেই ওই বাইক চালাত কালসাংরা। সাক্ষীর বক্তব্যের উল্লেখ করে এনআইএ দাবি করে, বাইকের সারাই ও রক্ষণাবেক্ষণের খরচ দিত কালসাংরা নিজেই।
এনআইএ এও বলে যে, প্রজ্ঞা ঠাকুর যে ষড়যন্ত্রমূলক বৈঠকের অংশ ছিলেন তেমন একটি বিবৃতিও কোনও ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে (ফৌজদারি দণ্ডবিধি ১৬৪ ধারা মোতাবেক) রেকর্ড করা হয়নি। সমস্ত বয়ানই মোকার আওতায় পুলিশ অফিসারের সামনে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে এবং যেহেতু এনআইএ মোকা আইনের আওতা থেকে এ মামলা সরিয়ে নিয়েছে, সে কারণে এই বয়ানগুলি প্রমাণ হিসেবে মূল্যহীন হয়ে পড়েছে।
ভাডানার বিবৃতি কার্যত খারিজ করে দেয় এনআইএ। ভাডানা তাঁর পরবর্তী জেরার সময়ে বলেছিলেন যে তাঁর পূর্ববর্তী বিবৃতি চাপের মুখে দেওয়া ছিল। আর পি সিং নামের আরেক সাক্ষী যিনি এটিএসের সঙ্গে কথা বলেছিলেন, তিনি একই রকম দাবি করেছিলেন।
চার্জশিট দাখিল হওয়ার পর প্রজ্ঞা ঠাকুরকে জামিন দেয় এনআইএ-র বিশেষ আদালত। তবে প্রজ্ঞা ঠাকুরকে আদালত অব্যাহতি দেয়নি। ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসে পুরোহিত এবং প্রজ্ঞা ঠাকুরকে ইউএপিএ-র আওতায় বিচারের সম্মুখীন হতে হবে বলে ঘোষণা করে আদালত। ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে আদালত প্রজ্ঞা ঠাকুর ও আরও ৬ জনের বিরুদ্ধে ইউএপিএ-র ১৬ নং ধারা (সন্ত্রাসমূলক কার্যকলাপ সম্পাদন) এবং ১৮ নং ধারা (সন্ত্রাসমূলক কার্যকলাপের ষড়যন্ত্র), এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির আওতাধীন হত্যা, ষড়যন্ত্র এবং দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে শত্রুতা প্রবর্তনের অভিযোগে চার্জ গঠন করে।
অন্য মামলায় যোগসাজশ
প্রজ্ঞা ঠাকুরের নাম উঠেছিল আজমের দরগা বিস্ফোরণ মামলাতেও, তবে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়নি। ২০১৭ সালের অপ্রিল মাসে রাজস্থানের এক বিশেষ আদালতে এনআইএ প্রজ্ঞা ঠাকুর, আরএসএস নেতা ইন্দ্রেশ কুমার এবং আরও দুজনের বিরুদ্ধে ক্লোজার রিপোর্ট জমা দেয়। রাজস্থান এটিএস বলে, ২০০৫ সালের ৩১ অক্টোবর প্রজ্ঞা ঠাকুর এবং ইন্দ্রেশ অন্যান্যদের সঙ্গে একটি বৈঠকে অংশ নেয়। এই একটিমাত্র হিন্দুত্ব উগ্রপন্থা মামলা, যাতে দুই আরএসএস প্রচারক দেবেন্দর গুপ্তা এবং প্রজ্ঞা ঠাকুরকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। এই দুজনেই সুনীল জোশী ও প্রজ্ঞা ঠাকুরের ঘনিষ্ঠ বলে অভিযোগ।
২০০৭ সালের ডিসেম্বর মাসে সুনীল জোশীর হত্যাকাণ্ডের ষড়যন্ত্রেও প্রজ্ঞা ঠাকুর অভিযুক্ত। ২০১৪ সালে এনআইএ প্রজ্ঞা ঠাকুর ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছিল। তাতে দাবি করা হয়েছিল, ২০০৬ সালে থেকে জোশীর সঙ্গে প্রজ্ঞা ঠাকুরের সম্পর্ক খারাপ হতে শুরু করে এবং জোশীর লাম্পট্যজনিত বাড়াবাড়িতে ক্ষুব্ধ তার একসময়ের সহযোগীরা তাকে খুন করে। ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মামলা দেওয়াস আদালতে স্থানান্তরিত হয় এবং অভিযুক্তরা সকলেই খালাস পেয়ে যায়।
চার্জ গঠিত একটি মামলায়, চার্জ থেকে মুক্তি একটি মামলায়, খালাস একটি মামলায়
মালেগাঁও বিস্ফোরণ ২০০৮
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/04/malegaon.jpg)
প্রজ্ঞা যোগ: বিস্ফোরণে ব্যবহৃত বাইক প্রজ্ঞার নামে। যে বৈঠকগুলিতে বিস্ফোরণের পরিকল্পনা করা হয়েছিল, সেগুলিতে প্রজ্ঞা উপস্থিত ছিলেন বলে অভিযোগ।
অন্যান্য অভিযুক্তরা: কর্নেল প্রসাদ পুরোহিত, অজয় রাহিংকর, সুধাকর ধার দ্বিবেদী, সুধাকর চতুর্বেদ, অবসরপ্রাপ্ত মেজর রমেশ উপাধ্যায় এবং সমীর কুলকার্নি।
মামলার অবস্থা: মহারাষ্ট্র এটিএস ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছিল, কিন্তু এনআইএ ৫ জনকে অভিযোগ থেকে মুক্তি দেয়, ২ জন পলাতক। এনআইএ প্রজ্ঞা ঠাকুরকে সব অভিযোগ থেকে মুক্তি দিয়েছিল, তাদের বক্তব্য ছিল পুরোহিতের বিরুদ্ধে প্রমাণাদি অত্যন্ত দুর্বল। আদালত এনআইএ-র বক্তব্য মানতে অস্বীকার করে, প্রজ্ঞা ঠাকুর, পুরোহিত ও আরও পাঁচজনের বিরুদ্ধে ইউএপিএ-তে চার্জ গঠন করে।
সুনীল জোশী হত্যা
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/04/sunil-joshi.jpg)
প্রজ্ঞা যোগ: এ মামলায় ২০১৪ সালে এনআইএ প্রজ্ঞা ঠাকুর সহ ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনে, তাদের দাবি ছিল, সুনীল জোশী প্রজ্ঞা ঠাকুরের দিকে কু নজর দেওয়ার কারণে প্রজ্ঞা তাঁর সহযোগীদের সুনীলকে খুন করতে উসকানি দেন।
অন্যান্য অভিযুক্তরা: রাজ সিং, বাসুদেব পারমার, আনন্দরাজ কাটারিয়া এবং অন্যান্য।
মামলার বর্তমান অবস্থা: এনআইএ চার্জশিটে দাবি করা হয় যে এই হত্যাকাণ্ড ব্যক্তিগত কারণে সংঘটিত হয়েছে। ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে দেওয়াস আদালতে মামলা হস্তান্তরিন্ত হয় এবং অভিযুক্তরা সকলে মুক্তি পান।
আজমের দরগা বিস্ফোরণ
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/04/ajmer-blast.jpg)
প্রজ্ঞা যোগ: রাজস্থান এটিএসের মতে সন্ত্রাসমূলক কার্যকলাপের ষড়যন্ত্র সাধনের জন্য ৩১ অক্টোবর, ২০০৫-এ একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়, যাতে প্রজ্ঞা ঠাকুর, সুনীল জোশী ও অন্যান্যরা অংশ নিয়েছিলেন।
অন্যান্য অভিযুক্ত: অসীমানন্দ, সন্দীপ ডাঙ্গে, রামজি কালসাংরা, সুনীল জোশী, দেবেন্দর গুপ্তা, ভবেশ প্যাটেল ও অন্যান্য।
মামলার অবস্থা: একমাত্র হিন্দুত্ববাদী উগ্রপন্থার মামলা যাতে এনআইএ অভিযুক্তদের শাস্তি দেওয়াতে সক্ষম হয়েছিল। শাস্তি পেয়েছে আরএসএস প্রচারক দেনেন্দর গুপ্তা ও ভবেশ প্যাটেল। এনআইএ প্রজ্ঞা ঠাকুর ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে ক্লোজার রিপোর্ট জমা দেয়।
Read the Full Story in English