Wetland Virus: সম্প্রতি চিনে একটি ভাইরাস আবিষ্কৃত হয়েছে। যার নাম ওয়েটল্যান্ড ভাইরাস (ডব্লিউএলভি)। এই ভাইরাসটি স্বাস্থ্য আধিকারিক এবং গবেষকদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়িয়েছে। এটি একটি ভেক্টরবাহিত রোগ। এটি এনসেফালাইটিস ভাইরাসের মত রোগজীবাণুগুলোর মতই। ভাইরাসটি জলাভূমি বা অনুরূপ পরিবেশে বেড়ে ওঠে। তাই এর নাম ওয়েটল্যান্ড ভাইরাস।
ওয়েটল্যান্ড ভাইরাসের লক্ষণ
জ্বর: এই ভাইরাসে ঠান্ডা লাগে।
ক্লান্তি: আক্রান্তরা অত্যন্ত ক্লান্ত বা দুর্বল বোধ করতে পারেন।
মাথাব্যথা: ক্রমাগত মাথাব্যথা এই রোগের অন্যতম লক্ষণ।
শরীরে ব্যথা: সংক্রমণের অগ্রগতির সঙ্গেই পেশী এবং জয়েন্টে ব্যথা হতে পারে।
ফুসকুড়ি: কিছু ক্ষেত্রে আক্রান্তের ত্বকে ফুসকুড়ি দেখা দেয়।
স্নায়বিক রোগের আশঙ্কা: কিছু ক্ষেত্রে ওয়েটল্যান্ড ভাইরাস স্নায়বিক রোগের কারণ হতে পারে বলেই আশঙ্কা করছেন চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা।
প্রতিরোধ এবং সুরক্ষা
নির্দিষ্ট ধরনের পোশাক পরিধান: জঙ্গলে, ঘাসযুক্ত বা জলাভূমি এলাকায় যাওয়ার সময় লম্বা হাতা, লম্বা প্যান্ট এবং জুতো পরুন। এমন জুতো, যা আপনার পা পুরোপুরি ঢেকে রাখবে।
শনাক্তকরণ: সংক্রমণ শনাক্ত না হলে বা চিকিত্সা করা না হলে আরও গুরুতর লক্ষণ দেখা দিতে পারে। তাই প্রাথমিকভাবে এই রোগ নির্ণয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
দ্য নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিনে প্রকাশিত সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ভাইরাসটি প্রথম দেখা গিয়েছে চিনের জিনঝু শহরে। সেখানে ৬১ বছর বয়সি এক রোগীর শরীরে, ২০১৯ সালের জুন মাসে ভাইরাসটি প্রথম ধরা পড়ে। মঙ্গোলিয়ার জলা এলাকায় 'টিক' বা 'এঁটেল' পোকার কামড় খাওয়ার পাঁচ দিনের মাথায় অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই ব্যক্তি। তাঁর জ্বর আসে, মাথা ব্যথা হয় এবং বমি হয়। অ্যান্টিবায়োটিক দিয়েও সেই উপসর্গের উপশম হয়নি। 'টিক' বা 'এঁটেল' পোকার মাধ্যমে ডব্লিউইএলভি ছাড়াও বেশ কিছু রোগ মানুষের দেহে সংক্রমিত হয়। যেমন, ক্রিমিয়ান-কঙ্গো হেমোরেজিক ফিভার।
জিনঝু শহরে প্রথম ওয়েটল্যান্ড ভাইরাসের দেখা পাওয়ার পর গবেষকরা উত্তর চিনে এনিয়ে অনুসন্ধান চালান। বিভিন্ন এলাকা থেকে ১৪,৬০০ এঁটেল পোকা সংগ্রহ করেছিলেন গবেষকরা। সেই সব পোকার মধ্যে প্রায় ২ শতাংশের মধ্যে ডব্লিউএলভি ভাইরাসের জিনগত উপাদান মিলেছে। এই ভাইরাসের আরএনএ- ভেড়া, ঘোড়া, শুয়োর এবং বেশকিছু ইঁদুরজাতীয় প্রাণীর মধ্যেও পাওয়া যায়।