Advertisment

Explained: কী এমন রিপোর্ট দিয়েছিল ভিজিল্যান্স, যে সিসোদিয়াকেও গ্রেফতার করল সিবিআই?

ভিজিল্যান্সের সেই রিপোর্টের ওপরই এই গোটা মামলাটা সাজিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Manish Sisodia

সিবিআইয়ের গাড়িতে সিসোদিয়া

গত বছরের ৮ জুলাই, দিল্লির মুখ্যসচিব লেফটেন্যান্ট গভর্নর (এলজি) বিনাই কুমার সাক্সেনা এবং মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের কাছে পাঁচ পৃষ্ঠার একটি রিপোর্ট পাঠান। বর্তমানে প্রত্যাহার করা দিল্লি সরকারের আবগারি নীতি (২০২১-২২)-এ ত্রুটির উল্লেখ করেই তিনি এই রিপোর্ট পাঠিয়েছিলেন।

Advertisment

মুখ্যসচিবের সেই নোটের ভিত্তিতে, দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভিজিল্যান্স বিভাগের কাছে একটি বিশদ রিপোর্ট চেয়েছিলেন। ২০ জুলাই সেই রিপোর্ট জমা পড়ে। যাতে অভিযোগ করা হয়, আবগারি মন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার 'স্বেচ্ছাচারী এবং একতরফা সিদ্ধান্ত'-র ফলে 'রাজকোষের বিশাল আর্থিক ক্ষতি হয়েছে'। আর, তার থেকে প্রাপ্ত ঘুষের অর্থ আম আদমি পার্টি গোয়া এবং পঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচনে কাজে লাগিয়েছে।

সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে ২২ জুলাই দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর আম আমি পার্টির আবগারি নীতির বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের সুপারিশ করেছিলেন। সেই মামলার তদন্তেই রবিবার রাতে দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়াকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। দিল্লি সরকার অবশ্য সিবিআইয়ের অভিযোগ মানতে চায়নি। উলটে জানিয়েছে, আবগারি নীতি এক বিশেষ লক্ষ্যে নেওয়া হয়েছিল। যার লক্ষ্য ছিল, দিল্লি শহরে সহজে মদ কেনার অভিজ্ঞতাকে বৃদ্ধি করা। পাশাপাশি, আবগারিকে ব্যবহার করে রাজস্ব বৃদ্ধি।

আরও পড়ুন- বাজারে সবজি নেই, যেটুকু আছে দাম পুরো আগুন! দুশ্চিন্তায় গালে হাত ব্রিটিশদের

ভিজিল্যান্স দফতরের যে অভিযোগের ভিত্তিতে সিবিআই এই মামলা দায়ের করেছে, তা হল- খুচরো মদ বিক্রেতারা ব্যাপক পরিমাণে ছাড় দিচ্ছে। যার জেরে বাজারে অসাম্য তৈরি হচ্ছে। লাইসেন্সধারী মদ বিক্রেতারা ব্যাপক বিজ্ঞাপন দিচ্ছে। আর, বিভিন্ন উপায়ে মদের ব্র্যান্ড এবং নিজেদের দোকানের প্রচার চালাচ্ছে।

ভিজিল্যান্স দফতর রিপোর্ট দিয়েছিল, আবগারি দফতর ২০২২ সালের ১ এপ্রিল জারি করা মণীশ সিসোদিয়ার নোটের ভিত্তিতে ২৫% ডিসকাউন্ট দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। রিপোর্টে বলা হয়, মুক্ত বাণিজ্য নীতিতে সক্রিয় হস্তক্ষেপ ছিল দিল্লি সরকারের আবগারি নীতি। এই নীতি দিল্লি সরকারের মন্ত্রিসভার মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুমোদন পেয়েছিল। তৎকালীন লেফটেন্যান্ট গভর্নরও দিল্লি সরকারের এই নীতি অনুমোদন করেছিলেন।

cbi AAP Manish Sisodia
Advertisment