Advertisment

সিবিএসই-র পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত, রাজ্য বোর্ডগুলিতে এর প্রভাব

কোভিড-১৯ সংক্রান্ত বিপত্তির আবির্ভাবের আগে দ্বাদশ শ্রেণির ১২.৬৬ লক্ষ ছাত্রছাত্রীর এক তৃতীয়াংশের সব পরীক্ষা দেওয়া হয়ে গিয়েছিল। অবশিষ্ট পরীক্ষার্থীদের জন্য এই বিশেষ প্রকল্প নেওয়া হবে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
CBSE Exams

সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন (সিবিএসই) প্রথমবার দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা বাতিল করেছে

সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন (সিবিএসই) প্রথমবার দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা বাতিল করেছে। বিকল্প নম্বর দেওয়ার প্রকল্প এবং এই সিদ্ধান্ত অন্য রাজ্যের বোর্ডগুলিকে প্রভাবিত করতে পারে কিনা, সে সম্পর্কে আলোচনা করা যাক।

Advertisment

যেসব পরীক্ষা হয়নি তাতে ছাত্রছাত্রীদের কীভাবে নম্বর দেবে সিবিএসই?

সিবিএসই ঘোষণা করেছে তারা বাতিল পরীক্ষার মূল্যায়নের একটি প্রকল্প তৈরি করেছে। এই প্রকল্পে ছাত্রছাত্রীদের তিনটি ভাগে বিভক্ত করা হবে।

১৯ মার্চের আগে যেসব ছাত্রছাত্রী তিনটির বেশি পরীক্ষা দিয়েছিল, তারা থাকবে প্রথম বিভাগে। তারা যে তিনটি বিষয়ে সেরা ফল করেছে, তার গড় নম্বর দেওয়া হবে বাতিল পরীক্ষাগুলির জন্য।

যেসব পরীক্ষার্থী তিনটি বিষয়ের পরীক্ষা দিয়েছিল, তাদের একটি ভিন্ন বিভাগে ফেলা হবে। এ ক্ষেত্রে গড় নম্বরের হিসেব হবে দুটি সেরা ফলের বিষয়ের ভিত্তিতে। অর্থাৎ ছাত্রছাত্রীরা তিনটির মধ্যে যে দুটি বিষয়ে সেরা নম্বর পেয়েছে, তার গড়ের ভিত্তিতে বাতিল পরীক্ষার নম্বর দেওয়া হবে।

শেষ ভাগে থাকবে যেসব ছাত্রছাত্রীরা ১৮ মার্চ পর্যন্ত দুটি পরীক্ষা দিতে পেরেছে। তাদের ফলের হিসেব হবে একটি বা দুটি বিষয়ের নম্বর ও ইন্টারন্যাল অ্যাসেসমেন্টের ভিত্তিতে।

প্রায় সব ক্ষেত্রেই ইন্টারন্যাল অ্যাসেসমেন্টের জন্য ২০ থেকে ৩০ শতাংশ নম্বর ধার্য থাকে সিবিএসই-তে। সাধারণত প্র্যাকটিকাল ও প্রজেক্ট ওয়ার্কের জন্য এই নম্বর ধার্য করা হয়।

এই বিশেষ প্রকল্পের আওতায় দ্বাদশ শ্রেণির কত ছাত্রছাত্রী পড়বে?

কোভিড-১৯ সংক্রান্ত বিপত্তির আবির্ভাবের আগে দ্বাদশ শ্রেণির ১২.৬৬ লক্ষ ছাত্রছাত্রীর এক তৃতীয়াংশের সব পরীক্ষা দেওয়া হয়ে গিয়েছিল। অবশিষ্ট পরীক্ষার্থীদের জন্য এই বিশেষ প্রকল্প নেওয়া হবে। এর মধ্যে অধিকাংশেরই তিনটি বা তার বেশি বিষয়ে পরীক্ষা দিয়ে ফেলেছিল। মূলত উত্তরপূর্ব দিল্লির দাঙ্গাপীড়িত অঞ্চলের মাত্র ২৩০০র মত ছাত্রছাত্রী ১৮ মার্চ পর্যন্ত খুব জোর দুটি বিষয়ের পরীক্ষা দিতে পেরেছিল।

 যেসব বিষয়ে বেশি নম্বর ওঠে, সেই পরীক্ষায় বসতে না পারা ছাত্রছাত্রীরা এই পদ্ধতিতে অন্যায়ের শিকার হবে না?

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সিবিএসই-র এক বরিষ্ঠ  আধিকারিক বলেছেন, "এমনটা হওয়ার কথা নয়। তিনি বলেন, যদি কোনও ছাত্রছাত্রী মনে করে গড় নম্বর দেওয়ায় তারা সুবিচার পায়নি, তাহলে তারা পরে কোনও একটি তারিখে বোর্ডের পরীক্ষায় বসতে পারে। কিন্তু তেমন হলে বোর্ডের পরীক্ষায় যে ফল হবে তাই কিন্তু চূড়ান্ত।"

প্রি বোর্ড পরীক্ষার ফলের হিসেবে কেন ছাত্রছাত্রীদের নম্বর দেওয়া হবে না?

সিবিএসই-র ওই আধিকারিক বলেন, "স্কুলগুলি সাধারণত প্রিবোর্ড পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র কঠিন করে, নম্বরও হাত খুলে দেয় না। ছাত্রছাত্রীদের বোর্ডের পরীক্ষার জন্য ভালভাবে প্রস্তুত করার জন্য তারা এই পদ্ধতি গ্রহণ করে। প্রি বোর্ডের পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে তাদের পারফরম্যান্স বিচার অন্যায় হবে। তার চেয়ে বড় কথা, সিবিএসই-র আওতায় ২৪ হাজার স্কুল রয়েছে। এতগুলি প্রতিষ্ঠানের ফলের সাধারণীকরণ করা চ্যালেঞ্জের কাজ হয়ে পড়ত।"

সিবিএসই-র পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত কি রাজ্য বোর্ডগুলির উপর কুপ্রভাব ফেলবে?

১৮টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল বারো ক্লাসের পরীক্ষা শেষ করে ফেলেছে। তাদের ক্ষেত্রে এর প্রভাব পড়বে না। তবে জুলাই মাসে সিবিএসই-র পরীক্ষাবাতিলের সিদ্ধান্তের প্রভাব পড়বে রাজ্য বোর্ডগুলির উপর। শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গের উচ্চমাধ্যমিক কাউন্সিল এই পথে হেঁটেছে। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন বিশেষজ্ঞ কমিটির সুপারিশ ও এ সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টে সিবিএসই-র বয়ানের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত।

CBSE
Advertisment