Census to kranti: জাতপাতের সংরক্ষণের সঙ্গে সরকারি সম্পদ বণ্টনকে যুক্ত করতে চান রাহুল, বাধা কংগ্রেস নেতারাই?
Rahul Gandhi framed quotas: ২০২৩ সালের ১৬ এপ্রিল, কর্ণাটকের কোলারে রাহুল সর্বপ্রথম তাঁর এই সংরক্ষণ নীতির ধারণাটি নিয়ে বলতে শুরু করেন। ঠিক, কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনের আগে তিনি স্লোগান তোলেন, 'জিতনি আবাদি, উতনা হক।'
Rahul Gandhi framed quotas: ২০২৩ সালের ১৬ এপ্রিল, কর্ণাটকের কোলারে রাহুল সর্বপ্রথম তাঁর এই সংরক্ষণ নীতির ধারণাটি নিয়ে বলতে শুরু করেন। ঠিক, কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনের আগে তিনি স্লোগান তোলেন, 'জিতনি আবাদি, উতনা হক।'
Rahul Gandhi-Census: বুধবার নয়াদিল্লিতে সামাজিক ন্যায় সম্মেলনে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। (অনিল শর্মার এক্সপ্রেস ছবি)
Wealth re-distribution: সংরক্ষণের সঙ্গে সম্পদ পুনরায় বণ্টনকে জু়ড়তে মরিয়া কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। যাকে নির্বাচনে হাতিয়ার করে লাগাতার প্রচার করে চলেছেন রাহুল নিজেই। স্বাভাবিকভাবেই রাহুলের ভাবনার তীব্র বিরোধিতা করেছে বিজেপি। দলের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, কংগ্রেস তুষ্টির রাজনীতির পথে হাঁটছে। একইসঙ্গে বিজেপির অভিযোগ, রাহুল তথা কংগ্রেসের এই নীতি কার্যকর হলে সবচেয়ে সমস্যায় পড়বেন মধ্যবিত্তরা। তাঁদের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। কিন্তু, কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় এলে প্রথমে তাঁদের সম্পত্তি সরকার দখল করে নেবে।
Advertisment
২০২৩ সালের ১৬ এপ্রিল, কর্ণাটকের কোলারে রাহুল সর্বপ্রথম তাঁর এই সংরক্ষণ নীতির ধারণাটি নিয়ে বলতে শুরু করেন। ঠিক, কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনের আগে তিনি স্লোগান তোলেন, 'জিতনি আবাদি, উতনা হক।' কর্ণাটক জয়ের পর কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি গত অক্টোবরে বৈঠক করেছিল। সেই বৈঠকে কিন্তু, সমানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব নিয়ে একটা কথাও বলেনি। কেবলমাত্র একটিই প্রস্তাব পাস করেছে। তা হল, 'দেশব্যাপী বর্ণশুমারি সারা দেশে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের আর্থ-সামাজিক অবস্থানের একটি সঠিক চিত্র প্রকাশ করবে। সামাজিক ন্যায়বিচারের ভিত্তিকে শক্তিশালী করবে। জাতিভিত্তিক উন্নয়ন নিশ্চিত করবে।'
তবে, এটুকু বললেও রাহুলের ভোট প্রতিশ্রুতি কার্যকর করার ব্যাপারটি সম্পূর্ণই এড়িয়ে গিয়েছে কংগ্রেস। রাহুল অবশ্য তাঁর বক্তব্যে অনড় থেকেছেন। বরং, এই ব্যাপারে তিনি তাঁর বক্তব্যকে আরও এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন। আর্থিক সমীক্ষার কথা বলেছেন। যা স্পষ্ট করে দেবে যে কে কতটা সম্পদের মালিক। এবার তার সঙ্গেই তিনি বর্ণসুমারিকে যুক্ত করে দিয়েছেন। কংগ্রেস নেতাদের একাংশের ধারণা, শ্যাম পিত্রোদার ভাবনাকে সঙ্গী করেই রাহুল তাঁর বর্ণসুমারি এবং আর্থিক সমবণ্টনের ধারণাটিকে নিয়ে এগোচ্ছেন।
কংগ্রেসের অনেক নেতাই বিষয়টি নিয়ে রীতিমতো সমস্যায়। কারণ, তাঁরা মনে করছেন, এতে সমাজের এক বিরাট অংশ তাঁদের ওপর ক্ষুব্ধ হবে। বিশেষ করে শিল্পপতিরা ব্যাপারটিকে মোটেও খোলামনে মানবেন না। কংগ্রেসের এই নেতারা তাই শ্যাম পিত্রোদার থেকেও দূরত্ব বজায় রাখছেন। পিত্রোদা ইতিমধ্যেই উত্তরাধিকার ট্যাক্সের কথা বলেছেন। যা কংগ্রেসের অনেক নেতাই খোলামনে গ্রহণ করেনি। কংগ্রেসের নির্বাচনী ইস্তাহার তৈরিতে জড়িত এমনই এক প্রবীণ নেতা, পিত্রোদার সঙ্গে দূরত্ব বোঝাতে গিয়ে বলেন, 'নির্বাচনী ইস্তাহারে কি উত্তরাধিকার ট্যাক্সের কথা আদৌ বলা হয়েছে? আমরা শুধু প্রতিশ্রুতি দিয়েছি যে আয়কর বাড়ানো হবে না।'