Tripura govt-TIPRA Motha: কেন্দ্রীয় সরকার সম্প্রতি ত্রিপুরা রাজ্য সরকার এবং ত্রিপুরা রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল তিপ্রা মোথার সঙ্গে একটি ত্রিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এই চুক্তি অনুযায়ী, ত্রিপুরার উপজাতি জনগোষ্ঠীর অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, ভাষাগত এবং সাংস্কৃতিক অধিকার, জমি-সহ দীর্ঘদিনের অমীমাংসিত দাবিগুলো একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে, 'সম্মানজনকভাবে মেটানোর সিদ্ধান্ত' নেওয়া হয়েছে। লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে, ২ মার্চ চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হল। যা গত ২৭ ফেব্রুয়ারি, তিপ্রা মোথার প্রতিষ্ঠাতা এবং ত্রিপুরা রাজবংশের সদস্য প্রদ্যোতকিশোর মাণিক্য দেববর্মার শুরু করা অনির্দিষ্টকালের আমরণ অনশনের অবসান ঘটাল। বিজেপি নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকারে তিপ্রা মোথার যোগদানের পর, তার দুই সদস্য মন্ত্রী হিসেবে শপথও নিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে বিজেপির সঙ্গে হাত মেলানোয় বাকি বিরোধীরা তিপ্রা মোথার তীব্র নিন্দা করেছে।
তিপ্রা মোথার দাবিগুলো কী?
তিপ্রা মোথার দাবিগুলোর মধ্যে অন্যতম হল, একটি 'বৃহত্তর তিপ্রাল্যান্ড' গঠন। এই সব দাবির অন্যতম হল, ত্রিপুরার আদিবাসীদের জন্য একটি পৃথক রাজ্য গঠন। এই বৃহত্তর রাজ্যে ত্রিপুরা উপজাতি অঞ্চলের স্বায়ত্তশাসিত জেলা পরিষদ (TTAADC) এলাকার বাইরে বসবাসকারীদেরও তিপ্রা মোথা অন্তর্ভুক্ত করতে চায়। তিপ্রা মোথা দলটি TTAADC-এর জন্য আরও ক্ষমতা চেয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে কেন্দ্র থেকে সরাসরি অর্থায়ন, নিজস্ব পুলিশ বাহিনী এবং রাজ্যে গ্যাস অনুসন্ধান থেকে প্রাপ্ত রাজস্ব। পাশাপাশি, তিপ্রা মোথা আদিবাসী কোকবোরোক ভাষার রোমান লিপিকে সরকারি লিপি হিসেবে ঘোষণার দাবিও জানিয়েছে।
আরও পড়ুন- বলা যেতে পারে, চলচ্চিত্রের নোবেল! কীভাবে অস্কার হয়ে উঠল সিনে দুনিয়ার মানদণ্ড?
চুক্তি কী বলেছে?
কেন্দ্র এক বিবৃতিতে, 'এই চুক্তির অধীনে, ত্রিপুরার আদিবাসীদের ইতিহাস, ভূমি এবং রাজনৈতিক অধিকার, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, পরিচয়, সংস্কৃতি এবং ভাষা সম্পর্কিত সমস্ত সমস্যা সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে সমাধান করতে রাজি হয়েছে। সঙ্গে, একটি সম্মানজনক সমাধান নিশ্চিত করতে, নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে ওপরে উল্লিখিত সমস্ত বিষয়ে যৌথভাবে বাস্তবসম্মত সমাধান নিশ্চিত করতে একটি যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ বা কমিটি গঠন করতে রাজি হয়েছে। এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকার এক বিবৃতিতে বলেছে, চুক্তিটি বাস্তবায়নের জন্য একটি অনুকূল পরিবেশ বজায় রাখতে, সমস্ত অংশীদাররা চুক্তি স্বাক্ষরের দিন থেকে শুরু করে যে কোনও ধরনের প্রতিবাদ বা আন্দোলন অবলম্বন করা থেকে বিরত থাকবেন।'