Challenges and opportunities: তৃতীয় মোদী সরকারের জমানায় ভারতের বিদেশনীতির দিকে এখন গোটা বিশ্বের নজর। কারণ, আন্তর্জাতিক দুনিয়ায় শক্তির ভারসাম্য ক্রমশ বদলাচ্ছে। আর, সেখানে ভারতের ভূমিকা ক্রমশই উজ্জ্বল হয়ে উঠছে। এই পরিস্থিতিতে আগামী পাঁচ বছরে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ভারতের জন্য কী কী চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করে আছে, আর সুযোগই বা কী কী রয়েছে, তা জানতে উৎসুক অনেকেই।
প্রতিবেশী রাষ্ট্র
ভারতের প্রতিবেশী সাতটি দেশ- বাংলাদেশ, ভুটান, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, মরিশাস ও সেশেলসের রাষ্ট্রনেতাদের নতুন সরকারের শপথ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। শপথ অনুষ্ঠানে পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং মিয়ানমার বা মায়ানমারের রাষ্ট্রপ্রধানদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। তবে, শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিলেও প্রতিবেশী রাষ্ট্রের কোনও নেতার সঙ্গে কোনও গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়নি। এই প্রসঙ্গে প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলো চাইছে, ভারত তার কূটনীতিতে নমনীয় হোক। পারস্পরিক সহাবস্থানে জোর দিক।
পশ্চিমী দেশগুলো
আগের সরকারগুলোর চেয়ে পশ্চিমী দেশগুলোর সঙ্গে বর্তমানে ভারতের সম্পর্ক অনেক বেশি নিবিড় হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, জাপান এবং অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ভারত শক্তিশালী কৌশলগত সম্পর্ক গড়ে তুলেছে। তার মধ্যেই অবশ্য মোদী সরকারের বিরুদ্ধে পশ্চিমী মিডিয়া সমালোচনায় খামতি দেয়নি। কেন্দ্রীয় শাসক দল এবং ভারতও পালটা সমালোচনায় মুখর হয়েছে। পশ্চিমী দেশগুলোর বিরুদ্ধে দেশের অভ্যন্তরীণ কার্যকলাপে হস্তক্ষেপের অভিযোগ করেছে বিজেপি এবং কেন্দ্রীয় সরকার। এমনকী নির্বাচনী প্রচারেও সেই অভিযোগ, পালটা অভিযোগ উঠে এসেছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের একটা অন্যরকম সম্পর্ক রয়েছে। যা নভেম্বরে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফলকে প্রভাবিত করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রতিরক্ষা এবং অত্যাধুনিক প্রযুক্তি দুই দেশের এই সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যাবে, এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ব্রিটেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন আবার ভারতের সঙ্গে একটি মুক্ত বাণিজ্যচুক্তি (FTA) করতে চায়। তবে, খালিস্তানি বিচ্ছিন্নতাবাদী গুরপতবন্ত সিং পান্নুনকে হত্যার ষড়যন্ত্র সংক্রান্ত অভিযোগ ভারত এবং আমেরিকার মধ্যে সম্পর্কে টানাপোড়েন সৃষ্টি করেছে। এই পরিস্থিতিতে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভানের সফর ভারত-মার্কিন কূটনৈতিক সম্পর্কের অগ্রগতি আদৌ ঘটাতে পারে কি না, সেদিকে নজর থাকবে বিশেষজ্ঞদের।
আরও পড়ুন- গত দশকের বড় ট্রেন দুর্ঘটনাগুলো, যা আলোড়ন তুলেছিল গোটা ভারতে
কানাডার সঙ্গে সম্পর্ক
যখন থেকে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এক খালিস্তানি বিচ্ছিন্নতাবাদীর হত্যায় ভারতের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন- তখন থেকেই ভারত-কানাডা সম্পর্ক প্রভাবিত হতে শুরু করেছে। এমনকী, ২০২৫ সালে কানাডার নির্বাচনেও সেই প্রভাব দেখা যেতে পারে। তবে, এই প্রভাব থাকলেও ভারত-কানাডর অর্থনৈতিক সম্পর্ক এবং শিক্ষাসংক্রান্ত সম্পর্ক এতে মোটেও প্রভাবিত হয়নি।