চাঁদে নামতে গিয়ে আবার আগেরবারের মত কোনও বড় দুর্ঘটনা ঘটবে না তো? চন্দ্রযান-৩ চাঁদের উদ্দেশ্যে পাড়ি দেওয়ার আগে এই প্রশ্নই বারবার আশঙ্কা হয়ে ঘুরেফিরে এসেছে বিজ্ঞানী মহলে। শেষ পর্যন্ত সব আশঙ্কা মাথায় নিয়েই গত ১৪ জুলাই, শুক্রবার অন্ধ্রপ্রদেশের সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে চাঁদের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে মহাকাশযান চন্দ্রযান-৩। চাঁদে পৌঁছতে লাগবে ৪২ দিন। ভারতের প্রত্যাশা এবার আর আগের বারের মত হবে না। চাঁদের পৃষ্ঠে নিরাপদেই নামবে চন্দ্রযান।
আশা সত্যি হলে ভারত সফলের তালিকায় চতুর্থ হিসেবে নাম লিখবে। কারণ, এর আগে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া এবং চিনের মহাকাশযান নিরাপদের চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করেছে। এখনও চাঁদে না-পৌঁছলেও উৎক্ষেপণ সফল। সব মোটামুটি ভালোই চলছে। আর, তাই ভারতের অনেকেই চন্দ্রযান-৩ উৎক্ষেপণকে দেশের গৌরব হিসেবে তুলে ধরতে চাইছেন।
আর, এক্ষেত্রে যাবতীয় কৃতিত্ব ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর। অনেকেই জানতে চাইছেন, কীভাবে পথচলা শুরু করেছিল ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা? এই ব্যাপারে তাঁর 'ফ্রম ফিশিং হ্যামলেট টু রেড প্ল্যানেট: ইন্ডিয়াস স্পেস জার্নি' বইয়ে বিস্তারিত লিখেছেন ভারতীয় মহাকাশ বিজ্ঞানী ইভি চিটনিস। তাঁর বই অনুযায়ী, প্রথম এই জাতীয় সংস্থা ভারতে তৈরি হয়েছিল গুজরাটের আহমেদাবাদে। যার নাম ছিল ফিজিক্যাল রিসার্চ ল্যাবরেটরি।
বিক্রম সারাভাই-সহ বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট বিজ্ঞানী এই ল্যাবরেটরিতে কাজ করেছিল। কিন্তু, সংস্থাটির তহবিলে যথেষ্ট অর্থ ছিল না। দুটো বাক্সের ওপর অ্যাসবেসটর শিট দিয়ে সেই ল্যাবরেটরিতে টেবিল বানানো হয়েছিল। যাইহোক সারাভাই শেষ পর্যন্ত আমেরিকা এবং সোভিয়েত রাশিয়া থেকে বেশ কিছু সম্পদের ব্যবস্থা করতে সমর্থ হয়েছিল।
আরও পড়ুন- চরম বিপদের আশঙ্কা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার, তারপরও কীভাবে চলছে অ্যাসপার্টাম ব্যবহার?
তাঁর চেষ্টা শেষ পর্যন্ত কিছুটা হলেও ফলপ্রসূ হয়েছিল। ১৯৬৩ সালের ২১ নভেম্বর, মার্কিন রকেট 'নাইকি অ্যাপাচি' কেরলের ত্রিবান্দমের কাছে থুম্বা থেকে রওনা দিয়েছিল। ইসরোর ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, ওই রকেটের উদ্দেশ্য ছিল, মহাকাশে যাওয়ার আগে বায়ুমণ্ডল সম্পর্কে বিস্তারিত খোঁজখবর সংগ্রহ।