গত ২৩ আগস্ট সন্ধ্যা ৬টা ৪-এ চন্দ্রযান-৩ ল্যান্ডার মডিউল ১৭ মিনিটের চেষ্টায় চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করেছিল। চন্দ্রপৃষ্ঠে আলতোভাবে অবতরণ খুব কঠিন। ঠিকমতো করতে না-পারলেই বড়সড় দুর্ঘটনার সম্ভাবনা থাকে। যেমনটা সাম্প্রতিক সময়ে লুনা-২৫ এর ঘটেছে। চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণের এই কৃতিত্বের সঙ্গেই ভারত সোভিয়েত ইউনিয়ন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চিন-সহ বিশ্বের মহাকাশ বিজ্ঞানের এক অভিজাত ক্লাবে ঢুকে পড়ল। শুধু তাই না।
Advertisment
পরবর্তী অভিযানের ভাবনা চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণকারী প্রথম দেশের স্বীকৃতিও এখনও ভারতের ঝুলিতে। এই অভিযান মহাকাশে হিমায়িত জলের উৎসের খোঁজ দেবে। এমনটাই বিশ্বাস বিজ্ঞানীদের। তবে, এই অভিযান শেষ নয়। যে কারণে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার (ইসরো) চেয়ারম্যান এস সোমানাথ চন্দ্রযানের অবতরণের পরে বলেন, 'এই অভিযানের সাফল্যে আমরা খুবই উত্তেজিত। ভারতের মহাকাশ গবেষণাকে এই অভিযান এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা দেবে।'
ইসরোর পরবর্তী চন্দ্রাভিযান গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, এটা ইসরোর শেষ চন্দ্রাভিযান নয়। এখনও পর্যন্ত জাপানের মহাকাশ সংস্থা জাক্সা (JAXA)-এর সহযোগিতায় আরও একটি চন্দ্রাভিযান চালাবে ইসরো। লুপেক্স বা লুনার পোলার এক্সপ্লোরেশন নামে এই অভিযান ২০২৪-২৫ সালে হতে পারে। লুপেক্স চাঁদের স্থায়ী ছায়াযুক্ত মেরু অঞ্চলের খোঁজ করবে। চাঁদে একটি দীর্ঘমেয়াদি আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন তৈরির চেষ্টা করবে। ওই অভিযানের লঞ্চ ভেহিকেল, রোভার জাপানি মহাকাশ সংস্থা দেবে। ল্যান্ডার দেবে ইসরো।
নমুনা অভিযান পাশাপাশি চন্দ্রযান-৩ এর অভিযানের ধারাবাহিকতা এখনই শেষ হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। এই ব্যাপারে চন্দ্রযান-১ এর মিশন ডিরেক্টর মাইলস্বামী আন্নাদুরাই ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেছেন, 'ইসরোর চন্দ্রাভিযান কর্মসূচি চন্দ্রযান-৩ দিয়ে শেষ হবে না। আমরা এখন অবতরণ করেছি। আরও অনেক কিছু করার আছে। আসলে, চন্দ্রযান-২ যদি অবতরণে সফল হত, তাহলে চন্দ্রযান-৩ তেমন অভিযানের এক নমুনা অভিযান হয়ে উঠতে পারত।' নমুনা অভিযানের বিশেষত্ব হল, এর সাফল্যের লক্ষ্যটা হয় অনেক বড়। যার অন্যতম হল নিরাপদে পৃথিবীতে ফিরে আসা।