/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2023/07/Chandrayaan-3-2.jpg)
শুক্রবার দুপুর ২টো ৩৫। চাঁদে ভারতীয় মহাকাশযান যাত্রা করবে। এটা তৃতীয় অভিযান। অভিযানের লক্ষ্য- চাঁদের দক্ষিণাঞ্চলে সাবধানে নামা। আর, সেখানে রোভারের সাহায্যে গবেষণা চালানো। এই কাজটাই এতদিন করা যায়নি। ইসরোর আগের অভিযান ব্যর্থ হয়েছে। শুধু যে ভারত করতে পারেনি, তা নয়। বিশ্বের কোনও দেশ চাঁদের অন্ধকারাচ্ছন্ন দক্ষিণ মেরুতে এখনও পর্যন্ত অভিযানে চূড়ান্ত সফল, তেমন কিন্তু দাবি করেনি। তবে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও চিনের মহাকাশযান ওই অঞ্চলে ধীরে সুস্থে নেমেছে। গবেষণা শুরু করেছে, এই পর্যন্ত। ভারত সেটুকু করতে পারলে তালিকায় চতুর্থ স্থানে থাকবে।
২০১৯ সালে ইজরায়েল এবং ভারত চাঁদে এমন অভিযান চালিয়েছিল। কিন্তু, দুই দেশের মহাকাশযানই ভেঙে পড়েছে। পরে জাপান ব্যর্থ হয়েছে। ২০২২ সালে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিও ব্যর্থ হয়েছে। গত অভিযানের সঙ্গে এই অভিযানের কোনও পার্থক্য নেই। উভয়ের উদ্দেশ্যটা একই। যেটুকু ভুলত্রুটি হয়েছে, ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার (ইসরো) বিজ্ঞানীরা আগের মিশন থেকে সেসব শিখেছেন। ল্যান্ডারের নকশাটি বিভিন্ন পরিস্থিতিতে কীভাবে কাজ করে, তা দেখার জন্য একাধিক পরীক্ষার পরে উন্নত করা হয়েছিল। এর অবতরণ স্থানে পৌঁছনোর অক্ষমতা, ইলেকট্রনিক্স দ্রব্য বা সেন্সরগুলোর ব্যর্থতা, গতিবেগ প্রয়োজনের চেয়ে বেশি হওয়া ইত্যাদিকে ইতিমধ্যেই নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- দেশের একাংশ বৃষ্টিতে নাজেহাল, অথচ অন্যত্র ডাল চাষের জলই মিলছে না!
শুক্রবার ১৭৯ কিলোমিটার উচ্চতায় পৃথিবীর চারপাশে একটি কক্ষপথে প্রবেশ করার পর, মহাকাশযানটি পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ এবং চাঁদের দিকে ছুটে যাওয়া এড়াতে ধীরে ধীরে তার কক্ষপথ বৃদ্ধি করবে। চাঁদের কাছাকাছি পৌঁছনোর পরে, মহাকাশযানটি ধীরে ধীরে চাঁদের আকর্ষণ সামাল দিয়ে এর পৃষ্ঠের কাছে যাবে। এটুকু করতে মহাকাশযানটি তার কক্ষপথ বৃত্তের আকারে ছোট করবে। তারপর এর মধ্যে থাকা ল্যান্ডার, যা এর ভিতরে রোভার বহন করছে- এই দুটো বিচ্ছিন্ন হবে। ল্যান্ডার এরপর চাঁদের পৃষ্ঠে অবতরণ করবে। এই গোটা প্রক্রিয়াটার জন্য ৪২ দিন সময় লাগবে। চাঁদের পৃষ্ঠে ল্যান্ডার অবতরণ করবে ২৩ আগস্ট।