লোকসভা ভোটে ঝটকার পর পাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েক দেখা যাচ্ছে প্রশাসনের চাইতে বেশি গুরুত্ব দিতে শুরু করেছেন দলীয় সংগঠনের উপর।
৪২টি আসনের মধ্যে বিজেপি রাজ্যে ১৮টি আসন জেতার পর ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে বিপদের গন্ধ পেতে শুরু করেছেন মমতা। এমতাবস্থায় দলীয় নেতাদের উপর নজরদারি শুরু করেছেন তিনি। দলীয় স্তরে দুটি বৈঠক করেছেন মমতা এবং দলীয় দফতরে উপস্থিত হয়ে পার্টিকে গুরুত্ব দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
মমতার বক্তব্য স্পষ্ট। তৃণমূল স্তরে দলীয় সংগঠন শক্তিশালী করতে হবে এবং জনসংযোগ বাড়াতে হবে। বিজেপির উত্থানের পর শাসকদলের এখন আর বিরোধীদের তুচ্ছতাচ্ছিল্য করার বিলাসিতা করার অবস্থায় নেই। ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে এই প্রথমবার তারা পরাজয়ের স্বাদ পেয়েছে এবং নিজেদের কমফর্ট জোন ছেড়ে বেরিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছে।
সমর্থকদের মধ্যে ভাঙন ঠেকাতে মমতা নিজে জেলা সফরে যাবেন এবং সাংগঠনিক স্তরে বৈঠক করে জানার চেষ্টা করবেন লোকসভা ভোটে পার্টির গলদগুলি কী। সেখান থেকে শিক্ষাগ্রহণও করতে চাইবেন।
ধারাবাহিক ভাবে নির্বাচনে জয় এবং ভোটশেয়ার বৃদ্ধির ফলে স্পষ্ট যে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষে এখনও সব শেষ হয়ে যায়নি। সারা দেশে গেরুয়া হাওয়ার মাঝেও রাজ্যে ৪৩ শতাংশ ভোট শেয়ার তাদেরই দখলে। কিন্তু তৃণমূল নেতাদের বিজেপিতে যোগদানের যে ঝোঁক, তাতে বিপদসংকেত দেখছেন মমতা। ফলে এবার তাঁকে ফের পুরনো অবতারেই ফিরতে চাইছেন। সিঙ্গুর নন্দীগ্রাম নিয়ে তাঁর যে ধারাবাহিক আন্দোলন, যে আন্দোলন বাম সরকারের ৩৪ বছরের শাসনের অবসান ঘটিয়েছিল - সে কারণেই তিনি খ্যাতিলাভ করেছেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংগঠনে নজরদারির মধ্যে বিজেপি তাদের রথ বিধানসভা ভোট পর্যন্ত চালু রাখতে পারে কিনা এবং তৃণমূল কংগ্রেসকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলতে পারে কিনা, সেটাই এখন দরকার।
Read the Story in English