Charges framed against Brij Bhushan: বিজেপির বিদায়ী সাংসদ, ভারতীয় কুস্তি ফেডারেশনের প্রাক্তন প্রধান ব্রিজভূষণ সিংয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ গ্রহণ করল আদালত। দিল্লির রাউজ এভিনিউ আদালতে ভারতীয় দণ্ডবিধি/আইপিসি (IPC) ধারা ৩৫৪ (354) অর্থাৎ, শালীনতাকে ক্ষুণ্ণ করার উদ্দেশ্যে কোনও মহিলাকে আক্রমণ বা অপরাধমূলক বলপ্রয়োগ এবং ৩৫৪এ (354A), অর্থাৎ যৌন হয়রানির অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে। অভিযোগকারীদের মধ্যে দু'জন, ফৌজদারি অপরাধমূলক ভয় দেখানোর অভিযোগ করেছিলেন। সেই অভিযোগের সারবত্তা খুঁজে পাওয়া গিয়েছে বলে উল্লেখ করেই মামলাটি গ্রহণ করেছে আদালত। ব্রিজভূষণ সিংয়ের বিরুদ্ধে একাধিক মহিলা কুস্তিগির যৌন হয়রানির অভিযোগ এনেছেন।
অভিযোগ দায়ের
পুলিশ এই মামলায় একটি এফআইআর নথিভুক্ত করে তদন্ত চালায়। ট্রায়াল কোর্টে চার্জশিট দাখিল করে। সেই চার্জশিটে অভিযোগ করা অপরাধ এবং তদন্তের সময় গৃহীত সাক্ষ্যের বিবরণ রয়েছে। পুলিশ গত বছরের ১৫ জুন, ব্রিজভূষণকে ৩৫৪, ৩৫৪এ এবং ৩৫৪ডি (চুপিসারে অনুসরণ করা) ধারায় অভিযুক্ত করে ১,৫০০ পৃষ্ঠার চার্জশিট দাখিল করেছিল। এই সব ধারায় অভিযোগের মধ্যে আদালত দুই অভিযোগকারিণীর অভিযোগের ভিত্তিতে ৩৫৪ এবং ৩৫৪এ ধারায় অভিযোগের সারবত্তা খুঁজে পেয়েছে। কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেই হল না, সেই অভিযোগের কোনও সারবত্তা আছে কি না, প্রথমে তা নির্ধারণ করা হয়। সেই বিচারেই আদালত অভিযোগের সারবত্তা খুঁজে পেয়েছে।
এরপর যা হবে
বিচারক অভিযোগ গ্রহণের পর অভিযুক্ত নির্দোষ বা দোষী সাব্যস্ত হতে পারে। যদি অভিযুক্ত নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেন, তাহলে পরবর্তী পদক্ষেপ হল- তাঁর আইনজীবীরা জেরা করার জন্য সাক্ষীদের তলব করবেন। সাক্ষীদের জেরা শেষে উভয়পক্ষ তাদের যুক্তি আদালতের সামনে উপস্থাপন করবে। যুক্তি উপস্থাপন শেষে বিচারক রায় পরে জানাবেন বলতে পারেন। আবার, রায় দিয়েও দিতে পারেন। বিচারক অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করার সিদ্ধান্ত নিলে সাজা ঘোষণা করবেন। আইপিসি ধারা ৩৫৪, ৩৫৪এ, ৩৫৪ বি-ডি, 'নারীদের বিরুদ্ধে অপরাধ'-এর ক্ষেত্রে লাগু করা হয়।
সাজা যা হতে পারে
৩৫৪ ধারার সাজা হতে পারে ১ থেকে ৫ বছরের কারাদণ্ড অথবা জরিমানা। ৩৫৪এ ধারার সাজা হতে পারে তিন বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড। আর, যৌনতামূলক মন্তব্যের জন্য একবছর কারাদণ্ড। আর, বিচারক যদি ৫০৬ ধারায় ফৌজদারি ভীতি প্রদর্শনের জন্য শাস্তি নির্ধারণ করেন, তবে সাত বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।