গত সপ্তাহে মধ্যপ্রদেশের কুনোয় একটি দক্ষিণ আফ্রিকান মহিলা চিতা মারা গেছে। দুটি পুরুষ চিতা তার সঙ্গে সঙ্গম করতে চাইছিল। তাদের আঘাতেই মহিলা চিতাটির মৃত্যু হয়েছে। মহিলা চিতাদের প্রতি পুরুষ চিতার সহিংস আচরণ স্বাভাবিক ঘটনা। আর, মহিলা এবং পুরুষ চিতাকে একসঙ্গে রাখা সর্বদা ঝুঁকির ব্যাপার। কিন্তু, কুনোতে সেটাই হয়েছে। যদিও একটি নামিবিয়ান চিতা এর আগে এভাবে দুটি পুরুষ চিতার সঙ্গে সঙ্গম করেছে। মাত্র কয়েক মাস আগে দক্ষিণ আফ্রিকার নামিবিয়া থেকে ২০টি চিতা ভারতে আনা হয়েছে। তারপর থেকে এখনও পর্যন্ত তিনটি চিতার মৃত্যু হল। যার সর্বশেষ সংযোজন হল মহিলা চিতাটির মৃত্যু।
চিতাকে ভারতে ফেরাতে চেষ্টা
চিতা এমন বড় বিড়াল প্রজাতির প্রাণী, যা একটা সময় ভারতে ছিল। সেই চিতাকে ফের ভারতে ফিরিয়ে জীববৈচিত্র্যকে স্বাভাবিক রূপ দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে সরকার। কিন্তু, ১৯৮৩ সালে প্রকাশিত এক ঐতিহাসিক গবেষণাপত্র জানিয়েছে, চিতারা কার্যত যমজ বা ক্লোন। কারণ, তাদের মধ্যে জেনেটিক প্রভেদ অত্যন্ত কম। যা চিতাদের ভবিষ্যৎকে অনিশ্চিত করে তুলেছে।
গবেষণা যা জানিয়েছে
এই জন্য ১৯৮৩ সালে বিজ্ঞানের পত্রিকায় প্রকাশিত এক ঐতিহাসিক বৈজ্ঞানিক সাফল্যের ওপরও জোর দিয়েছে সরকার। যে গবেষণা যমজ বা ক্লোন তৈরির কথা বলেছে। গবেষণার ওপরও ল্যান্ডমার্ক পেপার জমা দেয় যে সমস্ত চিতা কার্যত যমজ বা ক্লোন হয় অত্যন্ত কম জেনেটিক বৈচিত্র্যের সাথে, যা তাদের ভবিষ্যতকে অনিশ্চিত করে তোলে। চার দশক পর, শুধু চিতাই নয়, অনেক কিছুই বৈচিত্র্যময় জীবজগৎ থেকে হারিয়ে গিয়েছে। সেই হারানো জীবজগৎকে পুনরুদ্ধার। তাদের হারানো আবাসস্থলকে ফিরিয়ে দেওয়াই এখন জীববিজ্ঞানের অন্যতম লক্ষ্য।
আরও পড়ুন- কর্ণাটকের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নাম উঠেছে, কতটা জানেন সিদ্দারামাইয়া, শিবকুমারকে?
চিতা যথেষ্ট দীর্ঘায়ু
চিতার দীর্ঘায়ু সম্ভবত কখনও সন্দেহের তালিকায় ছিল না। কারণ, জীবজগতের এই প্রজাতিটি প্লাইস্টোসিনের শেষ সময়ের পর থেকে ১২,০০০ বছর টিকে আছে। এই প্লাইস্টোসিনের সময়ে অনেক বড় স্তন্যপায়ী প্রাণী বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল। আর, চিতার সংখ্যাও মারাত্মকভাবে হ্রাস পেয়েছিল। যার জেরে চিতার মধ্যেও প্রজননের সমস্যা এবং জিনগত অস্থিতিশীলতা দেখা দিয়েছে।