Chief Minister Siddaramaiah is accused: দক্ষিণের বিরোধীশাসিত কর্ণাটকে চরম বিপাকে পড়লেন কংগ্রেস নেতা ক্ষমতাসীন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। তাঁর বিরুদ্ধে মুদা (MUDA) কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। কর্ণাটকের রাজ্যপাল এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তদন্তের অনুমতি দিয়েছেন। সিদ্দারামাইয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ, ৩.১৬ একর জমি তাঁর প্রভাবেই তাঁর স্ত্রী হাতিয়ে নিয়েছেন। ওই জমির বদলে মুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রী মাইসুরুতে ১৪টি আবাসনও পেয়েছেন। গোটা ঘটনায় কর্ণাটকের গভর্নর থাওয়ারচাঁদ গেহলট তদন্তের অনুমতি দিতেই কর্ণাটক হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন সিদ্দারামাইয়া। আদালত ২৯ আগস্ট মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছে। আর, ততদিন পর্যন্ত তদন্তে বিরতি টানতে বলেছে।
MUDA জমি কেলেঙ্কারির কী?
আলাদা অভিযোগে, দুর্নীতিবিরোধী কর্মী টিজে আব্রাহাম, স্নেহাময়ী কৃষ্ণ ও প্রদীপ কুমার নামে তিন ব্যক্তি অভিযোগ করেছেন যে মুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রী একটি বিতর্কিত জমি বিনিময় প্রকল্পের অবৈধ সুবিধাভোগী। তাঁরা অভিযোগ করেছেন, ২০০৪ সালে সিদ্দারামাইয়ার শ্যালক বেআইনিভাবে জমিগুলো অধিগ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু, ততদিনে মহীশূর নগর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (MUDA) জমিগুলো অধিগ্রহণ করে ফেলেছিল। আর, ২০১০ সালে ওই জমিই সিদ্দারামাইয়ার স্ত্রী পার্বতীকে 'উপহার' দেওয়া হয়েছে। আবার সেই জমির বদলেই ওই সব আবাসন পেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার স্ত্রী।
আরও পড়ুন- চলচ্চিত্র জগতে নারীকে শোষণের ভয়ংকর ছবি! কেঁপে উঠল মালয়ালাম সিনেমার দুনিয়া
বিরোধীরা সরব
২০২৩ সালের ২৭ অক্টোবর, কর্ণাটকের নগরোন্নয়ন বিভাগ বলেছিল যে এটি কর্ণাটক নগরোন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন, ১৯৮৭ লঙ্ঘন করা হয়েছে। যার জেরে সিদ্দারামাইয়ার সরকার জমি বিনিময় প্রকল্প বন্ধও করে দিতে বাধ্য হয়। মাইসুরুর জেলা আধিকারিকরাও জানিয়েছিলেন যে মুদা প্রকল্পটি জমির ক্ষতিপূরণের নিয়মগুলোর সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। কর্মীরা আবার অভিযোগ করেছিলেন, ওই জমি ভুলভাবে অধিগ্রহণও করা হয়নি। যথারীতি এই অভিযোগ সামনে আসার পর বিজেপি এবং জেডিএস কর্ণাটক সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে।
রাজ্যপালের তদন্তে অনুমতি
আর, এসব কারণেই রাজ্যপাল গেহলট দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৮৮ (PCA)-এর ধারা ১৭এ এবং ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা, ২০২৩ (BNSS) এর ধারা ২১৮-এর অধীনে সিদ্দারামাইয়ার বিরুদ্ধে তদন্তের অনুমতি দিয়েছেন। পালটা কর্ণাটক সরকারের যুক্তি, আদালতের আদেশের ভিত্তিতে বা রাজ্যপালের স্বতঃপ্রণোদিত সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে এফআইআর নথিভুক্ত করার পর একজন পুলিশ অফিসারের উচিত রাজ্যপালের কাছে যাওয়া। তাঁর কাছ থেকে বিস্তারিত অভিযোগ জেনে নেওয়া। কিন্তু, এক্ষেত্রে সেসব কিছুই ঘটেনি। বদলে রাজ্যপাল তিনজন ব্যক্তিকে এই ঘটনায় তদন্তের অনুমতি দিয়েছেন। যা তিনি পারেন না।