অরুণাচল প্রদেশের উশু খেলোয়াড়দের ভারতীয় খেলোয়াড় বলে স্বীকৃতি দেয়নি চিন। এটি প্রথম নয় যে চিন ভারতের উত্তর-পূর্বের রাজ্য অরুণাচল প্রদেশের ক্রীড়াবিদদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করল। ২০১৬ সালে বামাং তাগো, যিনি ভারতীয় ব্যাডমিন্টন দলের একজন ম্যানেজার ছিলেন, তাঁকেও চিন ভিসা দিতে রাজি হয়নি। সেবছর ফুঝোতে অনুষ্ঠিত থাইহোট চায়না ওপেন ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়নশিপে তাগো ভারতীয় দলের ম্যানেজার ছিলেন।
Advertisment
দূতাবাসে কয়েকদিন আগে নথি জমা দেওয়া সত্ত্বেও, টিম ম্যানেজার, যিনি আবার অরুণাচল প্রদেশ ব্যাডমিন্টন অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারিও, তিনি ছাড়া ১২ জন খেলোয়াড়ই তাঁদের ভিসা পেয়েছিলেন। এই বছরের জুলাইয়ের শুরুতে তিন উশু খেলোয়াড়, নেইমান ওয়াংসু, ওনিলু তেগা এবং মেপুং লামগু, বিশ্ববিশ্ববিদ্যালয় গেমসের জন্য চেংডুতে ভারতীয় দলের সঙ্গে যেতে চেয়েছিল। চিন ওই খেলোয়াড়দের প্রথমে ভিসা দিতে বিলম্ব করে। পরে, স্ট্যাপল ভিসা দেওয়া হয়। প্রতিবাদে ভারত গেমস থেকে উশু টিম প্রত্যাহার করে নেয়।
অরুণাচল প্রদেশের লোকেরা- তা সে সরকারি কর্মকর্তাই হোন, আমলা বা ক্রীড়াবিদই হোন না-কেন, চিনের বৈধ ভিসা পেতে বারবার একই রকম সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। চিন দাবি করে, অরুণাচল প্রদেশ তাদের এলাকা। ভিসা দিলেই প্রমাণিত হয়ে যাবে, অরুণাচল প্রদেশ ভারতের। সেই কারণে চিন বারবার অরুণাচল প্রদেশের বাসিন্দাদের স্ট্যাপল ভিসা দেয়।
২০১১ সালে, ভারতের একটি ৪৫-সদস্যের ক্যারাটে দলের এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য কোয়াংজুতে যাওয়ার কথা ছিল। সেই দলে ছিলেন অরুণাচল প্রদেশের পাঁচ সদস্য। যার মধ্যে তিন জন খেলোয়াড় ও দু'জন কর্মকর্তা। এঁরা ছাড়া ওই টিমের বেশিরভাগই তাঁদের ভিসা আগেই পেয়েছিলেন। তাঁদেরকে চিনা দূতাবাস স্ট্যাপল ভিসা দেওয়ার পরে নয়াদিল্লির আইজিআই বিমানবন্দরে থামানো হয়েছিল। ওই বছরেই একজন ভারতীয় ভারোত্তোলন ফেডারেশনের কর্মকর্তা এবং অরুণাচল প্রদেশের লিফটার, চিনে স্ট্যাপলড ভিসার জন্য যাননি। যুব বিশ্ব তিরন্দাজি চ্যাম্পিয়নশিপেও অরুণাচলের দুই তরুণ তিরন্দাজ একই সমস্যার মুখে পড়েছিল।