China is more important for Tesla than India: সফর করার কথা ছিল ভারতে। তা নিয়ে ভারত সরকার থেকে ভারতের শিল্পপতিরা আশার আলো দেখেছিলেন। কিন্তু, মার্কিন শিল্পপতি ইলন মাস্কের মতিগতি বোঝা ভার। তিনি গতবাঁধা ছকে চলেন না। যেখানে নিজের স্বার্থ, সেখানেই চলে যান। সেই হিসেব কষে তিনি তাঁর বহুল প্রত্যাশিত ভারত সফর স্থগিত করেছেন। আর, তারই এক সপ্তাহের মধ্যে চলে গিয়েছেন ভারতের বিরূপ প্রতিবেশী রাষ্ট্র চিনে।
মাস্কের সফরের কারণ
চিনে মাস্কের সফরের কারণ, তাঁর ফুল সেলফ-ড্রাইভিং (এফএসডি) গাড়ির প্রকল্প। বিশ্বের সবচেয়ে মূল্যবান ইলেকট্রিক যানবাহন নির্মাতা সংস্থা টেসলা। তার কাছে বিশ্বব্যাপী পণ্য সরবরাহে ভারতের চেয়ে চিনের গুরুত্বই বেশি। সেই হিসেবটা মাস্কের বুঝতে দেরি হয়নি। আর, তাই তিনি ভারত-মার্কিন সুসম্পর্কের পরোয়া না করে নিজের ব্যবসাটা আরও বাড়াতে চিনে পাড়ি দিয়েছেন।
ব্যাটারি উৎপাদনে চিনের আধিপত্য
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, মাস্কের এই চিন-প্রীতির মূল কারণ, ব্যাটারি উৎপাদনে চিনের আধিপত্য। এই ব্যাটারি ইলেকট্রিক গাড়ির জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। আর, তা যে দেশে তিনি গাড়ি তৈরি করবেন, সেখান থেকেই পাওয়া গেলে মাস্কের গাড়ির খরচ কম পড়বে। এই হিসেবটাকেই মাস্ক সবচেয়ে আগে মাথায় রেখেছেন।
বিশেষজ্ঞদের অনুমান মিলে গিয়েছে
বিশেষজ্ঞদের অনুমান হুবহু মিলে গিয়েছে। কারণ, ইলন মাস্ক তাঁর সাম্প্রতিক চিন সফরে চিনের ব্যাটারি শিল্পের অন্যতম সেরা সংস্থা অ্যাম্পেরেক্স টেকনোলজি কো লিমিটেড (সিএটিএল)-এর চেয়ারম্যান রবিন জেং-এর সাথে দেখা করেছেন। এমনটাই জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা। সিএটিএল (CATL) গ্লোবাল ব্যাটারি উৎপাদনের দুই-তৃতীয়াংশ উৎপাদন করে থাকে। শুধু তাই নয়, ওই ব্যাটারি সংস্থা তাদের ব্যাটারি- টেসলা, ভক্সওয়াগেন এজি এবং টয়োটা মোটর কর্পোরেশনের মতো অন্যান্য বড় গাড়ি প্রস্তুতকারকদের সরবরাহ করে থাকে। সেই কারণেই মাস্কের এত চিন প্রীতি।
আরও পড়ুন- বিরাট সুযোগ! ভোটে লড়তে পারবেন জেলবন্দিরাও, কী বলছে আইন?
একদিক দিয়ে বেঁচে গিয়েছেন ভারতের শ্রমিকরা
মাস্কের এই চিনপ্রীতিতে একদিক দিয়ে বেঁচেই গিয়েছেন ভারতের শ্রমিকরা। কারণ, মার্কিন শিল্পপতিদের মধ্যে ইলন মাস্কের পরিচিতি সবচেয়ে বেশি শ্রমিক-বিরোধী মনোভাবের জন্য। তিনি নিজের সংস্থার জন্য শ্রমিকদের পরোয়া করেন না। তাঁদের ছাঁটাইয়ের রীতি-রেওয়াজও মানেন না। ভারতের মত দেশে যেখানে, শ্রমিক আইন তেমন জুতসই নয়, সেখানে মাস্ক কার্যত শ্রমিক-বিরোধী রাজত্ব খুলে বসতেন। এমন আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।