Advertisment

China sent its Chang’e-6 mission: চাঁদে বিরাট অভিযান! উপগ্রহটি সম্পর্কে যাবতীয় ধারণা বদলে দিতে চলেছে চাঙ্গি-৬?

Chang’e-6 mission: অভিযান শুরুর আধঘণ্টা পর, মহাকাশযান রকেট থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। আর, তারপর চাঁদের উদ্দেশ্যে পাঁচ দিনের যাত্রা শুরু করেছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Moon Mission, China

Moon Mission-China: এই নিয়ে চাঁদের দূরবর্তী অংশে দ্বিতীয় অভিযান চালাল চিন। (ছবি- এক্সপ্রেস)

China sent its Chang’e-6 mission to the far side of the Moon: শুক্রবার (৩ মে), চিন দ্বিতীয়বারের মত চাঁদের দূরবর্তী অংশে তাদের অভিযান চালাতে চলেছে। এই অভিযান সফল হলে, চাঁদের যে অংশটা পৃথিবী কোনওদিন দেখতে পায় না, সেই অংশ থেকে প্রথমবার নমুনা সংগ্রহ করে পৃথিবীতে আনা হবে। এই অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে, চাঙ্গি-৬ (Chang’e-6)। অভিযান শুরুর আধঘণ্টা পর, মহাকাশযান রকেট থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। আর, তারপর চাঁদের উদ্দেশ্যে পাঁচ দিনের যাত্রা শুরু করেছে।

Advertisment

চাঁদের দূরবর্তী অংশ অভিযান কেন জরুরি?
চাঁদের দূরবর্তী অংশ পৃথিবী থেকে কখনও দেখা যায় না। ওই অংশ অন্ধকারাচ্ছন্ন থাকে। চাঁদের ওই অংশে সূর্যের আলো পড়ে না। পৃথিবীর সঙ্গে চাঁদ এমনভাবে রয়েছে যে, চাঁদের কেবল একটা দিকই পৃথিবী থেকে দেখা যায়। আর, সেই কারণেই সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চাঁদের ওই দূরবর্তী অংশ নিয়ে ব্যাপক গবেষণা চলছে। দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, 'চাঁদের ওই অংশের ভূ ত্বক বেশ ঘন। সেখানে গর্ত বেশি। সমতল কম। সেই সমভূমিতে একবার লাভা প্রবাহিত হয়েছিল।'

চাঁদের উৎপত্তি এবং বিবর্তন সম্পর্কে রহস্য সমাধান
চাঁদের ওই দূরবর্তী অংশের নমুনা পরীক্ষা, বিজ্ঞানীদের চাঁদের উৎপত্তি এবং বিবর্তন সম্পর্কে রহস্য সমাধানে সাহায্য করতে পারে। এখনও পর্যন্ত, বিজ্ঞানীরা কেবল পৃথিবী থেকে চাঁদের পৃষ্ঠের কাছের অংশের নমুনা বিশ্লেষণে সক্ষম হয়েছেন। দূরের নমুনাগুলো কাছের অঞ্চলের চেয়ে আলাদা। ওই অঞ্চলের নমুনাগুলো বিজ্ঞানীদের বহু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের স্থায়ী উত্তর দিতে পারে। এমনটাই মনে করেন গবেষকরা।

আরও পড়ুন- ভাইরাসের অস্তিত্ব থাকলেও, কেন আক্রান্তের সংখ্যা কম?

চাঙ্গি-৬ অভিযানে কী হবে?
চাঙ্গি-৬, একটি ৫৩ দিনের অভিযান। চাঁদের কক্ষপথে পৌঁছনোর পরে, এই অভিযানে ব্যবহৃত অরবিটার প্রাকৃতিক উপগ্রহটিকে প্রদক্ষিণ করবে। এর ল্যান্ডারটি চন্দ্র পৃষ্ঠের ২,৫০০-কিলোমিটার চওড়া দক্ষিণ মেরু-আইটকেন অববাহিকায় নামবে। এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, 'সৌরজগতের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় যে প্রভাব অববাহিকা তৈরি করেছে, সেটাই চাঁদের উপাদান থেকে পাওয়া যাবে। যদি সেই উপাদানের খোঁজ পাওয়া যায়, তবেই বিজ্ঞানীরা চাঁদের অভ্যন্তরের ইতিহাস সম্পর্কে বিশদে জানতে পারবেন।' খোঁড়াখুঁড়ির মাধ্যমে নমুনা সংগ্রহ করার পরে, ল্যান্ডারটি একটি আরোহী যান চালু করবে। এই যান নমুনাগুলোকে অরবিটারের পরিষেবা মডিউলে পৌঁছে দেবে। এরপর মডিউলটি পৃথিবীতে ফিরে আসবে।

India china moon Lunar Mission Space Craft
Advertisment