চিনের শিনজিয়াং প্রদেশে বসবাসকারী সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়ভুক্ত উইঘুরদের সঙ্গে যা চলছে তা নিয়ে গত কয়েক মাস ধরেই উদ্বেগে রয়েছে আন্তর্জাতিক মহল।
তুর্কি সহ মধ্য এশিয়ার বিভিন্ন দেশের সঙ্গে জাতিগত সাযুজ্য বেশি উইঘুরদের, তুলনায় চিনের সঙ্গে কম। এই উইঘুরদের উপর বলপ্রয়োগ করে চিন তাদের আত্মপরিচয় মুছে ফেলে মূলস্রোতে নিয়ে আসার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ।
কয়েক মিলিয়ন উইঘুর, কাজাক ও অন্যান্য মুসলিমদের শিবিরে অন্তরীণ রাখা হয়েছে, যেখানে তাঁদের আত্মপরিচয় ত্যাগের পাঠ পড়ানো হচ্ছে, সঙ্গে বোঝানো হচ্ছে হান চিনা অধ্যুষিত কমিউনিস্ট দেশের সঙ্গে মিশে যাওয়াই তাঁদের পক্ষে ভাল।
আরও পড়ুন, বিশ্লেষণ: করাচির একদা ডন এবার মোদীর আশ্রয়প্রার্থী
বাবা-মায়ের থেকে সন্তানদের আলাদা করে দেওয়া হয়েছে, পরিবার বিচ্ছিন্ন, একটি গোটা জনগোষ্ঠীকে নজরদারির আওতায় রাখা হয়েছে। সারা পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে উইঘুরদের। কয়েকজন কোনওক্রমে দেশ ছেড়ে পালাতে পেরেছেন। তাঁরা ওই শিবিরগুলিে শারীরিক, মানসিক ও যৌন অত্যাচারের কথা জানিয়েছেন।
চিন এ ধরনের সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। তাদের দাবি, এই শিবিরগুলি সবই "শিক্ষাকেন্দ্র", যেখানে উইঘুরদের "উগ্রপন্থী মতাদর্শ ও বিদ্রোহের মনোভাব" থেকে "আরোগ্যের চেষ্টা" চলছে। চিনের দাবি শিবিরে তাঁদের বৃত্তিমূলক শিক্ষাও দেওয়া হচ্ছে।
সম্প্রতি নিউ ইয়র্ক টাইমসের হাতে কিছু ফাঁস হওয়া নথি পৌঁছিয়েছে, যে নথি থেকে শিবিরে কী চলছে, কেন ও কীবাবে শিবিরগুলি তৈরি হয়েছে এবং শিবিরগুলি থেকে সরকার কী চাইছে এসব তথ্য বেরিয়ে আসছে।
নথিগুলি ঠিক কী?
নিউ ইয়র্ক টাইমসের রিপোর্ট অনুসারে, "চিনের রাজনৈতিক মহলের এক সদস্য এই রিপোর্টগুলি প্রকাশ করেছেন। তিনি নিজের পরিচয় গোপন রাখার অনুরোধ জানিয়েছেন এবং আশা প্রকাশ করেছেন এসব নথি প্রকাশ্যে আসার ফলে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং সহ দলের নেতারা গণহারে বন্দি রাখার ঘটনা থেকে নিবৃত্ত হবেন।"
সংবাদপত্রটি আরও জানিয়েছে, ফাঁস হওয়া কাগজপত্রের মধ্যে মোট ২৪টি নথি রয়েছে, "যার ২০০ পৃষ্ঠা জুড়ে রয়েছে শি এবং অন্যান্য নেতাদের মধ্যে কথোপকথন এবং ১৫০র বেশি পৃষ্ঠা জুড়ে রয়েছে বিভিন্ন নির্দেশ ও শিনজিয়াংয়ের উইঘুর জনগোষ্ঠীর উপর নজরদারি ও নিয়ন্ত্রণের রিপোর্ট।"
ফাঁস হওয়া নথির মধ্যে রয়েছে "চিনের অন্যান্য জায়গায় ইসলামের উপর নিয়ন্ত্রণ জারির পরিকল্পনাও।"
উইঘুরদের কেন টার্গেট করছে চিন?
শিনজিয়াং চিনের একটি স্বশাসিত অঞ্চল- এ জায়গা খনিজ পদার্থে সমৃদ্ধ এবং ভারত, পাকিস্তান, রাশিয়া ও আফগানিস্থান সহ ৮টি দেশের সীমান্ত রয়েছে এই শিনজিয়াংয়ে।
উইঘুররা মুসলিম, মান্দারিন তাদের মাতৃভাষা নয় এবং তাদের জাতিগত ও সংস্কৃতিগত ভাবে মূল চিনের থেকে আলাদা।
গত কয়েক দশক জুড়ে শিনজিয়াংয়ের অর্থনৈতিক উন্নতি বেড়েছে। যার জেরে সংখ্যাগুরু হান চিনারা ব্যাপক সংখ্যায় এলাকায় এসেছেন। ভাল চাকরির ক্ষেত্রে তাঁরা উইঘুরদের কোণঠাসা করে দিয়েছেন এবং উইঘুরদের মধ্যে জীবনযাপন ও আত্মপরিচয় নিয়ে সংকট তৈরি হয়েছে।
এর জেরে হিংসা ছড়াতে শুরু করে এলাকায়। ২০০৯ সালে এলাকার রাজধানী উরুমকিতে এক দাঙ্গায় ২০০ জনের মৃত্যু হয়, নিহতদের অধিকাংশই ছিলেন হান চিনা।
আরও পড়ুন, শ্রীলঙ্কার নতুন রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া রাজাপক্ষের পরিচয়
২০১৪ সালে শিনজিয়াং সফরে যান প্রেসিডেন্ট শি। তাঁর সফরের শেষ দিনে উরুমকি রেল স্টেশনে আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণে একজন নিহত হন এবং প্রায় ৮০ জন আহত হন।
এর কয়েক সপ্তাহ আগেই উইঘুর জঙ্গিরা রেলস্টেশনে নির্বিচার ছুরিকাঘাতে ৩১ জনকে খুন করে। এর পর, মে মাসে, এলাকার এক সব্জি বাজারে বোমা বিস্ফোরণে ৩৯ জনের মৃত্যু হয়।
আগে থেকেই উইঘুরদের উপর ঝাঁপাতে শুরু করেছিল চিন। পরপর হিংসার জেরে আরও সংহত হয় রাষ্ট্র।
বিশ্বের অন্যত্র সন্ত্রাসবাদী হামলা এবং আফগানিস্থান থেকে মার্কিন বাহিনী প্রত্যাহারের পর এই স্থানীয় উগ্রপন্থা সন্ত্রাসবাদী-বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তি হিসেবে গড়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে, যারা চিন থেকে আলাদা হয়ে স্বাধীন "পূর্ব তুর্কিস্থান" গড়ে তুলতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
এ পরিস্থিতিতে চিনের নীতি যা দাঁড়াচ্ছে তা হল, গোটা সম্প্রদায়কে সন্দেহভাজন হিসেবে দেখা এবং উইঘুরদের পৃথক পরিচয়ের কণামাত্র দেখা গেলে তাকে নষ্ট করা।
শিবিরগুলিতে চলছেটা কী?
উগ্রপন্থার বিন্দুমাত্র আভাস দেখা গেলেই লোকজনকে এই শিবিরগুলিতে পাঠানো হচ্ছে। সরকার উগ্রপন্থার চিহ্ন হিসেবে যা যা নির্দিষ্ট করেছে তা হল- দাড়ি রাখা, রমজানের সময়ে উপবাস, সংখ্যাগুরুর থেকে ভিন্ন ধরনের পোষাক, ঈদের শুভেচ্ছা পাঠানো, ঘনঘন প্রার্থনা, ধূমপান-মদ্যপান ত্যাগ অথবা মান্দারিন না-জানা।
উইঘুর ছেলেমেয়েদের মধ্যে ভাল ছাত্রছাত্রীদের বোর্ডিং স্কুল বা কলেজে পাঠানো হচ্ছে যাতে তারা চিন অনুগামী সরকারি চাকুরে হয়।
আরও পড়়ুন, মদ প্রসঙ্গ: মন ভিজছে বামদের
গত তিন বছরে সরকার ১০ লক্ষের বেশি মানুষকে পুনর্শিক্ষা শিবিরে পাঠিয়েছে। এই মানুষগুলিকে কাজ, সম্পত্তি এবং সন্তানকে ছেড়ে আসতে হয়েছে।
এই অন্তরীণ শিবিরগুলির লাগোয়া স্কুল এবং কিন্ডারগার্টেন তৈরি করা হয়েছে। যেসব শিশুর অভিভাবকদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে, তাদের এখানে রাখা হচ্ছে। এখানে তাদের চিনের অনুগামী হয়ে থাকতে শেখানো হচ্ছে।
এই শিবিরগুলি থেকে অত্যাচারের রিপোর্ট উঠে আসছে।
অন্তরীণ শিবিরে একদা বন্দি ছিলেন এমন একজন বিবিসি-কে জানিয়েছেন, "ওরা আমাকে ঘুমোতে দিত না, ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঝুলিয়ে রাখত, মারত। ওদের কাছে কাঠের আর রবারের লাঠি ছিল, বাঁকানো তার দিয়ে তৈরি চাবুক ছিল, চামড়ায় ফোটানোর মত সূঁচ ছিল, নখ উপড়ে নেবার জন্য প্লাস ছিল। এগুলো সবই টেবিলের উপর আমার সামনেই রাখা থাকত, যে কোনও সময়ে যাতে অত্যাচার শুরু করা যায়। আমি অন্যদের চিৎকারও শুনতে পেতাম।"
এক মহিলা জানিয়েছেন ঋতুকালীন রক্তপাতের সময়ে প্রয়োজনীয় সুবিধা না-পেয়ে তাঁর এক সহবন্দিনী কীভাবে মারা গিয়েছিলেন। তিনিই জানিয়েছেন শিবিরে ভিড় এত বেশি যে তাঁদের পালা করে দাঁড়িয়ে থাকতে ও ঘুমোতে হত।
ফাঁস হওয়া নথি থেকে জানা গিয়েছে শিবিরবন্দিদের কলেজফেরত সন্তানদের জন্য নানারকম ব্যবস্থা করা হয়েছে। এলিট ছাত্রছাত্রীদের সোশাল মিডিয়া এবং চিনের অন্যত্র যোগাযোগের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তাদের বলা হচ্ছে, তাদের আত্মীয়স্বজনদের মধ্যে যে উগ্রপন্থার ভাইরাস তা থেকে মুক্ত করার জন্য সরকারের কাছে তাদের কৃতজ্ঞ হওয়া উচিত। এর পরেও যারা প্রশ্ন করে চলছে তাদের বলা হচ্ছে শিবিরবন্দিদের মুক্তির ব্যাপারে একটি ক্রেডিট সিস্টেম রয়েছে, তাদের আচারব্যবহার তাদের শিবিরবন্দি আত্মীয়দের ক্রেডিট সিস্টেমে প্রভাব ফেলবে।
যেহেতু শিবিরবন্দিদের বিরুদ্ধে কোনও অপরাধের অভিযোগ নেই ফলে বেআইনি ভাবে আটক রাখা হচ্ছে বলে কোনও আইনি লড়াইয়েরও সুযোগ নেই।
কিন্তু শিবিরে যাঁরা নেই, তাঁরা সকলেও কিন্তু মুক্ত নন। সরকার ফেস রিকগনিশন ক্যামেরার মাধ্যমে তাদের উপর নজরদারি চালায়, উইঘুরদের ফোন ব্যবহারের নজরদারির জন্য সফটওয়ার রয়েছে, বাড়িতে কিউআর কোড বসানো রয়েছে যাতে জানা যায় বাড়িতে কতজন সদস্য রয়েছেন, যেসব গেরস্থালির জিনিসপত্র অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা যায়, যেমন ছুরি - তাতেও কিউ আর কোড বসানো রয়েছে।
চিনের বাইরে কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে যাওয়ার অর্থ নিশ্চিতভাবেই শিবিরে যাওয়া।
সরকারের দাবি তারা বন্দিদের বৃত্তিগত শিক্ষা দিচ্ছে। কিন্তু বন্দিদের অনেকেই অধ্যাপক, চিকিৎসক এবং পেশাদার, ফলে এ কথা স্পষ্ট নয় তাঁরা কী ধরনের বৃত্তিগত শিক্ষা লাভ করছেন।
চিনা নেতৃত্বের ভূমিকা
নিউ ইয়র্ক টাইমসের ফাঁস হওয়া তথ্য থেকে জানা যাচ্ছে উইঘুর নীতি প্রণয়নে ব্যাপারে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের ব্যক্তিগত অবদান প্রচুর।
আরও পড়ুন, আল-বাগদাদির পর দুনিয়ার মোস্ট ওয়ান্টেড অপরাধী কে?
রিপোর্টে বলা হয়েছে- "দলের নেতা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ২০১৪ সালে এপ্রিলে শিনজিয়াং সফরকালে ও তার পরে এই হানাদারির ভিত্তিভূমি তৈরির জন্য গোপনে তাঁর অফিসারদের উদ্দেশে একাধিকবার ভাষণ দিয়েছেন... কূটনৈতিক সৌজন্য পরিহার করে তিনি বলেছেন শিনজিয়াংয়ের ইসলামি উগ্রপন্থার সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যের যোগসাজশের উল্লেখ করেছেন এবং বলেছেন সিরিয়া ও আফগানিস্থানের ঘটনাবলী চিনের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিয়েছে। তিনি বলেছেন উইঘুররা এই দুদেশেই যাতায়াত করে এবং তাদের দাবি মত স্বাধীন পূর্ব তুর্কিস্তানের লক্ষ্যে লড়াইয়ের জন্য তারা যোদ্ধায় পরিণত হয়ে চিনে ফিরছে এমনটাও অসম্ভব নয়।"
শি-র পূর্বসূরী, হু জিনতাও ২০০২-১২ সময়কালে চিন কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন এবং ২০০৩ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত ছিলেন চিনের প্রেসিডেন্ট। তাঁর বিশ্বাস ছিল হানাদারির সঙ্গে অর্থনৈতিক উন্নতি একযোগে চালালে জনতাকে সন্ত্রাসের পথ ছাড়ানো যাবে এবং তারা চিনের সঙ্গে নিজেদের সংহতি জ্ঞাপন করবে।
জনগণকে অতিরিক্ত মানবাধিকার দান প্রসঙ্গে চিনের আপত্তিকর দৃষ্টিভঙ্গির কথাও উল্লেখ করা হয়েছে নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক রিপোর্টে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, "২০১৭ সালে ১০ পৃষ্ঠার একটি নির্দেশিকায় স্বাক্ষর করেছিলেন শিনজিয়াংয়ের উচ্চপদস্থ এক অধিকর্তা ঝু হাইলুন। তিনি ব্রিটেনের সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলাকে 'একটি সাবধানবাণী ও আমাদের জন্য শিক্ষা' বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি' নিরাপত্তার ঊর্ধ্বে মানবাধিকারকে স্থান দেবার জন্য এবং ইন্টারনেট ও সমাজে উগ্রপন্থা ছড়ানোর ব্যাপারে অপর্যাপ্ত নিয়ন্ত্রণের জন্য' ব্রিটিশ সরকারকে দুষেছেন।"
স্থানীয় আধিকারিকরা সরকারে এই কঠোর নীতির বিরুদ্ধে। তাঁদের আশঙ্কা, এর ফলে এলাকায় জাতিগত বিভাজন বৃদ্ধি পাবে। কিন্তু উইঘুরদের প্রতি সহানুভূতিশীল আধিকারকদের দ্রুত ও জনসমক্ষে শাস্তিদান করা হয়ে থাকে।
চিনের সরকারি ভূমিকা
গত কয়েকবছর ধরে তুর্কি উইঘুরদের হয়ে কথা বলছে। রাষ্ট্রসংঘ এবং আমেরিকাও সোচ্চার হয়েছে। চিন দাবি করে চলেছে তারা তাদের বিপথগামী নাগরিকদের সুপথে ফিরিয়ে আনছে এবং বিশ্বকে বলছে আভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে সার্বভৌমত্ব মান্য করে চলতে।
তবে এ বছর জানুয়ারিতে কিছু মানবাধিকার সংগঠন ও সংবাদমাধ্যমে অত্যাচারের খবর প্রকাশিত হবার পর চিনা সরকার কয়েকজন সাংবাদিক ও কূটনীতিককে শিবির পরিদর্শনের জন্য আমন্ত্রণ করে।
শিবিরবন্দিরা সাংবাদিকদের জানান, তাঁদের পথে কিছু ভুল ছিল, সরকার সেগুলি সংশোধন করায় তাঁরা খুশি।
নিউ ইয়র্ক টাইমসের রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পর চিনের গ্লোবাল টাইমসের মুখ্য সম্পাদক হু জিন টুইট করেছেন। তিনি বলেছেন, "আমি জানি না নিউ ইয়র্ক টাইমসের নথি সত্যি না মিথ্যে। কিন্তু আমি নিশ্চিত যে শিনজিয়াং নাটকীয় পরিবর্তনের সাক্ষী থেকেছে- শান্তি, উন্নতি এবং পর্যটন ফিরে এসেছে। শিয়ানজিংয়ের সঙ্গে পাকিস্তান ও আফগানিস্থানের সীমান্ত রয়েছে, চিনের উগ্রপন্থা-বিমুক্তির প্রচেষ্টা এই দেশগুলি থেকে শিয়ানজিংকে আলাদা করতে পেরেছে।"
এক দিন পরই চিনের বিদেশমন্ত্রক শিবির তৈরির কারণগুলি এড়িয়ে যাওয়ার জন্য অভিযোগ করেছেন নিউ ইয়র্ক টাইমসকে। মন্ত্রকের মুখপাত্র গেং শুয়াং বলেন, "আভ্যন্তরীণ নথি নিয়ে জিগির তুলে শিনজিয়াংয়ে চিনের প্রচেষ্টা কালিমালিপ্ত করতে চাইছে নিউ ইয়র্ক টাইমস। উদ্দেশ্য কী? শিনজিয়াংয়ের উন্নতি, স্থিতি, জাতিগত ঐক্য এবং সামাজিক ঐক্যই কিছু সংবাদমাধ্যম ও ব্যক্তির তোলা অভিযোগের সবচেয়ে শক্তিশালী জবাব।"