রাশিয়ার ইউক্রেনে হামলার প্রায় একবছর পূর্ণ হল। এই পরিস্থিতিতে চিনের মনোভাব নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কারণ, চিন ইতিমধ্যেই মস্কোকে সামরিক সাহায্য করতে রাজি হয়েছে। বর্তমানে ইউক্রেন পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটছে। কারণ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ব্রিটেন-সহ বিভিন্ন দেশ পুরোদস্তুর ইউক্রেনের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। মার্কিন বিদেশসচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এই পরিস্থিতিতে রবিবার চিনের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন। তিনি চিনকে কার্যত কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন। ব্লিঙ্কেনের অভিযোগ, চিন বর্তমানে ক্রেমলিনের যুদ্ধ চেষ্টায় শামিল হয়েছে। যা অত্যন্ত 'গুরুতর সমস্যা'।
চিনের অবস্থান
এর আগেই চিন তার নিজস্ব অবস্থান বজায় রেখে রাশিয়ার বিরুদ্ধে কোনওরকম মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছে। এমনকী, ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানকে হামলার তকমা পর্যন্ত দিতে রাজি হয়নি। শুধু তাই নয়, চিন জানিয়েছে যে সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতা বজায় রাখা সব দেশেরই অধিকারের পর্যায়ে পড়ে। এই পরিস্থিতিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হয়ে উঠেছে যে চিন কি রাশিয়ার এই হামলায় সরঞ্জাম দিয়ে সাহায্য করবে?
আরও পড়ুন- ইন্ডিয়ান অয়েলের সঙ্গে আদানিদের চুক্তিকে কেন ‘কেলেঙ্কারি’ বলছে কংগ্রেস-তৃণমূল?
চিন কি তাহলে রাশিয়াকে সাহায্য করছে?
ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা নিয়ে চিনের ভূমিকা প্রথম থেকেই বিতর্কিত ছিল। চিন এর আগে বলেছে, ন্যাটো পশ্চিম দিকে তার সংগঠন প্রসারের চেষ্টা চালাচ্ছে। আর, ন্যাটো আমেরিকার নেতৃত্বাধীন। সেই কথা মাথায় রেখেই রাশিয়া ন্যাটোর বিস্তার ঠেকানোর চেষ্টা চালিয়েছে। আর, ইউক্রেনে হামলা চালাতে বাধ্য হয়েছে। ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি, ইউক্রেনে প্রথমবার হামলা চালায় রাশিয়া।
সম্পর্কটা নতুন নয়
তার ঠিক কয়েক দিন আগেই শীতকালীন অলিম্পিক উপলক্ষে বেজিং-এ গিয়েছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তাঁকে বেজিং-এ স্বাগত জানিয়েছিলেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। শুধু স্বাগত জানানোই নয়, দুই রাষ্ট্রনেতা উভয়ের মধ্যে 'সীমাহীন' সীমাহীন বন্ধুত্ব নিয়ে যৌথ বিবৃতিও দিয়েছিলেন। চিন এসব নিয়ে এখনও পর্যন্ত পশ্চিমী রাষ্ট্রগুলোর যাবতীয় সমালোচনা উপেক্ষা করেছে। আর, তার মাধ্যমে রাশিয়ার প্রতি চিনের অঙ্গীকারকে পুনরায় নিশ্চিত করেছে।