Severe turbulence faced by aircraft: সম্প্রতি চলাচলের সময় বিমানে ঘনঘন ঝাঁকুনির অভিযোগ উঠেছে। এটা, একটা বা দুটো বিমানের ক্ষেত্রে নয়। বিভিন্ন বিমানের ক্ষেত্রেই অভিযোগটা উঠেছে। সম্প্রতি, সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স এবং কাতার এয়ারওয়েজের দুটি বিমানের যাত্রীরা বিমান আকাশে থাকাকালীন বিমানটি ব্যাপক ঝাঁকুনির মুখে পড়েছিল। এতে যাত্রীদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। মৃত্যু পর্যন্ত ঘটেছে। গুরুতর আহতও হয়েছেন বেশ কিছু যাত্রী। আর, এতেই আকাশপথে যাত্রী পরিষেবা নিয়ে ব্যাপক অভিযোগ উঠেছে। প্রশ্ন উঠেছে, বিমানের এভাবে ঘনঘন ঝাঁকুনির পিছনে জলবায়ু পরিবর্তনের কি কোনও প্রভাব কাজ করছে?
বিমানে তীব্র ঝাঁকুনি
এরমধ্যে গত ২১ মে, লন্ডন থেকে সিঙ্গাপুর যাওয়ার সময় সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের একটি বিমান মায়ানমারের আকাশে আচমকা ব্যাপক ঝাঁকুনির মুখে পড়ে। একজন যাত্রী মারা যান। ৭০ জনেরও বেশি যাত্রী আহত হন। ওই ঘটনায় বিমান সেবকরাও আহত হন। তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর। পাশাপাশি ২৬ মে, দোহা থেকে ডাবলিনগামী কাতার এয়ারওয়েজের একটি বিমানও তুরস্কের আকাশে তীব্র ঝাঁকুনির মুখে পড়ে। ওই ঘটনায় ১২ জন যাত্রী এবং বিমানসেবক আহত হন। কাতার এয়ারওয়েজ অবশ্য গোটা বিষয়টিকে একটি ছোট ঘটনা বলে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে।
নির্দিষ্টভাবে বলা সম্ভব নয়
এই সব ঘটনা ছাড়াও বিশ্বজুড়ে প্রতিদিন বেশকিছু ফ্লাইট ঝাঁকুনির মুখে পড়ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। সেটা কখনও বিমান ওড়ার সময় মাটির কাছাকাছি ঘটছে। কখনও উঁচু জায়গায় ঘটছে। কখনও বা মেঘের মধ্যে দিয়ে যাওয়ার সময়ও ঘটছে। যার ফলে, নির্দিষ্টভাবে বলা সম্ভব নয়, যে ঠিক এই সময়ই অথবা এই জায়গাতেই বিমানগুলো ঝাঁকুনির মুখে পড়ছে। এই ঝাঁকুনির পিছনে বাতাসের খামখেয়ালিভাবে বয়ে যাওয়াকে প্রধান কারণ হিসেবে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন- এখানেই ঐশ্বরিক দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গি লাভ করেছিলেন বিবেকানন্দ, কেন মোদীও সেখানেই ধ্যানে বসলেন?
জলবায়ু পরিবর্তন অন্যতম কারণ
আর, বাতাসের এই খামখেয়ালিভাবে বয়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে উঠে আসছে জলবায়ু পরিবর্তনের কথা। আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা বলছেন, আচমকা কোনও পথ দিয়ে দ্রুতগতিতে বায়ু বয়ে যাওয়ার কারণ, সেখানে জলবায়ুর পরিবর্তন। ভূমণ্ডল উত্তপ্ত হয়ে ওঠায় বাতাস গরম হয়ে ওপরের দিকে উঠে যাচ্ছে। যেখান থেকে উঠে যাচ্ছে, বায়ুমণ্ডলের সেই জায়গায় শূন্যস্থানের সৃষ্টি হচ্ছে। তার ফলেই আশপাশ থেকে বাতাস সেই শূন্যস্থান পূরণ করার জন্য ছুটে আসছে। তখনই বায়ু দ্রুতগতিতে বয়ে যাচ্ছে। কিন্তু, আগে যেহুতু ওই অঞ্চল দিয়ে আচমকা দ্রুতগতিতে বাতাস বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল না, সেই কারণে তা বিমান চলাচলের নথিতে থাকছে না। সেনিয়ে কোনও সতর্কতাও থাকছে না। তার ফলেই আচমকা বিমানে ঝাঁকুনির ঘটনাগুলো বেশি করে ঘটছে।