Security in Parliament: সংসদে অতীতে জঙ্গি হামলা হয়েছে। আর, তারপর থেকেই নানা মহলের মনে প্রশ্ন রয়েছে, এখানকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঠিক কেমন, সেই ব্যাপারে। এই প্রশ্ন ওঠার মধ্যেই আবার অন্য অভিযোগও কিন্তু উঠেছে। একজন সাংসদ অভিযোগ করেছেন, সিআইএসএফ জওয়ানরা সংসদ চত্বরে তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন। মে মাসে সিআইএসএফ সংসদে নিরাপত্তার দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। তারপর থেকে সিআইএসএফের জওয়ানদের বিরুদ্ধে বারবার দুর্ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে।
সাংসদের অভিযোগ
ডিএমকের রাজ্যসভার সাংসদ এম মহম্মদ আবদুল্লাহ, চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়ের কাছে কেন্দ্রীয় শিল্প সুরক্ষা বাহিনী (সিআইএসএফ)-এর কর্মীদের বিরুদ্ধে, 'অভূতপূর্ব দুর্ব্যবহার'-এর ব্যাপারে অভিযোগ করেছেন। সাংসদের অভিযোগ, ওই জওয়ানরা তাঁকে, কেন তিনি সংসদ চত্বরে এসেছেন সেই ব্যাপারে গত ১৮ জুন জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। আবদুল্লাহ অভিযোগ করেছেন যে, এই ঘটনা তাঁকে 'গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে'। তাঁকে 'শঙ্কিত' করেছে। গোটা ঘটনায়, তিনি 'অধিকার লঙ্ঘনকারী সিআইএসএফ জওয়ানদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এবং রাজ্যসভার সদস্যদের মর্যাদা অক্ষুন্ন রাখতে' চেয়ারম্যান ধনখড়কে অনুরোধ করেছেন।
সিআইএসএফকে দায়িত্ব
বুধবার বিরোধী সাংসদরা আবদুল্লাহর অভিযোগ নিয়ে আরও সুর চড়ান। সংসদ চত্বরকে মে মাসে একটি নতুন নিরাপত্তা ব্যবস্থার অধীনে আনা হয়। তার পর থেকে সংসদ সদস্যদের মধ্যে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। কারণ, মে মাসে সংসদে নিরাপত্তা পরিষেবা (পিএসএস) কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনস্ত কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী সিআইএসএফ (CISF)-এর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এর আগে সংসদ চত্বরের নিরাপত্তার দায়িত্ব ছিল পিএসএস এবং প্রায় ১০০ বছরের পুরোনো ওয়াচ অ্যান্ড ওয়ার্ড কমিটির কাছে। সংসদে অধিবেশন চলাকালীন প্রায় ৮০০ সংসদ সদস্য, গণ্যমান্য ব্যক্তি, আধিকারিক এবং মিডিয়া কর্মীদের সংবেদনশীলতা এবং দক্ষতার সঙ্গে সামলানোর প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ, অভিজ্ঞতা তাদের ছিল।
সংসদে ধোঁয়া ছড়ানো
এই দায়িত্ব একটি সশস্ত্র বাহিনীর হাতে চলে যাওয়ায় বেশ কয়েকজন সাংসদ আশঙ্কা প্রকাশ করেন। কারণ সিআইএসএফ মূলত, 'শিল্প সংস্থার সুরক্ষার জন্য' তৈরি হয়েছিল। গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর সংসদ ভবনে নিরাপত্তা লঙ্ঘনের পর, সংসদের নিরাপত্তা বাড়ানোর প্রসঙ্গটি উঠে আসে। ওই সময়, দু'জন দর্শক গ্যালারি থেকে লোকসভার চেম্বারে ঝাঁপিয়ে পড়েন। তাঁরা সংসদ চত্বরের মধ্যে ধোঁয়া ছড়িয়ে দেন।
আরও পড়ুন- চিকিৎসায় বিরাট জোর কেন্দ্রের, রোগীদের জন্য বিশাল ব্যবস্থার আয়োজন
বদলে যাওয়া নিরাপত্তা
পিএসএস কর্মীদের পাশাপাশি, সংসদের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন দিল্লি পুলিশের ১৫০ জন কর্মী। সংসদের অভ্যন্তরে ধোয়া ছড়ানোর পর এপ্রিলেই দিল্লি পুলিশের ১৫০ কর্মীকে সংসদ চত্বরের দায়িত্ব থেকে সরানো হয়। ওই পুলিশকর্মীদের জায়গায় সংসদ চত্বরের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন সিআইএসএফ জওয়ানরা।