Compensation for Agniveers differs from that for regular soldiers: সাধারণ সৈন্যদের ক্ষতিপূরণ পাওয়া আর অগ্নিবীরদের ক্ষতিপূরণ পাওয়ার মধ্যে বিরাট পার্থক্য আছে। এমনই অভিযোগ করেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। চলতি সপ্তাহের শুরুতে, লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী অভিযোগ করেছিলেন যে জানুয়ারিতে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে নিহত অগ্নিবীর অজয় কুমারের পরিবার, সরকারের থেকে যথেষ্ট আর্থিক সহায়তা পায়নি। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং সংসদে বলেছেন, একজন অগ্নিবীর কর্তব্যরত অবস্থায় নিহত হলে ১ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ পান। সেই দাবিকে উড়িয়ে দিয়ে রাহুল গান্ধী সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। একইসঙ্গে অভিযোগ করেন যে, প্রতিরক্ষামন্ত্রী সংসদে মিথ্যা কথা বলেছেন।
সেনাবাহিনী জানিয়েছে
এরপর ৩ জুলাইয়ের শেষের দিকে, সেনাবাহিনী একটি বিবৃতি জারি করে বলেছে যে অগ্নিবীরের পরিবার ১.৬৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ পাবে। শহিদ 'অগ্নিবীরের পরিবারকে দ্রুত অর্থ প্রদান করা হবে।' সরকারের তরফে জানানো হয়েছে যে, এই ১.৬৫ কোটি টাকার মধ্যে রয়েছে যথাক্রমে কেন্দ্রীয় সরকার এবং একটি এমওইউ অনুযায়ী, আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ৪৮ লক্ষ এবং ৫০ লক্ষ টাকার বিমা; অতিরিক্ত ৩৯,০০০ টাকা; ৪৪ লক্ষ টাকার এককালীন অনুদান; সেনাকল্যাণ তহবিল থেকে ৮ লক্ষ টাকা; মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত বেতনের ব্যালেন্স হিসেবে ১৩ লক্ষ টাকা; সেবানিধি হিসেবে ২.৩ লক্ষ টাকা এবং অবদানমূলক প্রকল্পের অর্থ, যা অগ্নিবীররা পাওয়ার অধিকারী। একইসঙ্গে সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই মৃত অগ্নিবীর অজয় কুমারের পরিবারকে ৯৮.৩৯ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে।
ক্ষতিপূরণে পার্থক্য
যুদ্ধে হতাহত অগ্নিবীর এবং নিয়মিত সৈন্যদের ক্ষতিপূরণে পার্থক্য আছে। নিয়মিত সৈন্যদের মৃত্যুকে পাঁচটি বিভাগে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়। সেই শ্রেণিগুলো হল- এ, বি, সি, ডি, ই। আর, অগ্নিবীরদের মৃত্যুকে তিনটি বিভাগে রাখা হয়- এক্স, ওয়াই, জেড। সামরিক পরিষেবা দেওয়ার সময় নিয়মিত সৈন্যদের মৃত্যু হলে সেগুলো বি এবং সি ক্যাটাগরিতে রাখা হয়। অগ্নিবীরদের জন্য, এই ধরনের মৃত্যুগুলোকে ওয়াই ক্যাটাগরিতে রাখা হয়। এর পাশাপাশি, নিয়মিত সৈন্যরা হিংসা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, শত্রুর আক্রমণ, সীমান্ত সংঘর্ষ এবং যুদ্ধের মতো পরিস্থিতিতে মারা গেলে সেগুলো জেড, ডি, ই ক্যাটাগরিতে জায়গা পায়।
আরও পড়ুন- প্রথম ইউরোপীয় হিসেবে ভারতে পা, পর্তুগিজরা কিন্তু আপন করে নিয়েছিল বাংলাকেই
বিমা
সমস্ত নিয়মিত সৈন্যরা আর্মি গ্রুপ ইন্স্যুরেন্স ফান্ডে প্রতিমাসে ৫,০০০ টাকা করে জমা করেন। যার জেরে তাঁরা ৫০ লক্ষ টাকা বিমা পান। অগ্নিবীরদের জন্য ৪৮ লক্ষ টাকার বিমা করা হয়েছে। কিন্তু, তাঁরা এই বিমার জন্য কোনও প্রিমিয়াম জমা দেন না। মৃত্যুর কারণ নির্বিশেষে সমস্ত সৈন্য এবং অগ্নিবীরদের বিমার টাকা দেওয়া হয়। ব্যাংকগুলোর সঙ্গে এমওইউ রয়েছে। যার ভিত্তিতে অগ্নিবীর-সহ সমস্ত প্রতিরক্ষা কর্মীদের বেতন প্রতিরক্ষা বেতন প্যাকেজের অধীনে জমা হয়। তবে, কিছু সুবিধা নিয়মিত সৈন্যদের জন্যই কেবল রয়েছে। যেমন- গ্র্যাচুইটি, মাসিক পারিবারিক পেনশন। এগুলো শুধুমাত্র নিয়মিত সৈনিকরাই পান।