Congress gets chairs: সরকার এবং বিরোধীদের মধ্যে সংসদীয় স্থায়ী কমিটির আলোচনা ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। আলোচনা অনুযায়ী, কংগ্রেস লোকসভায় তিনটি এবং রাজ্যসভায় একটি কমিটির দায়িত্ব পেতে চলেছে। কয়েক মাস ধরে এই কমিটি নিয়ে সরকার এবং বিরোধী দলগুলোর মধ্যে আলোচনা চলছিল। কংগ্রেস পাঁচটি সংসদীয় স্থায়ী কমিটির দায়িত্ব চেয়েছিল। তার মধ্যে চারটি লোকসভা এবং একটি রাজ্যসভার। বিরোধী 'ইন্ডিয়া' জোটের অংশীদার- সমাজবাদী পার্টি, ডিএমকে এবং তৃণমূল কংগ্রেসকেও একটি করে কমিটির দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। রাজ্যসভায় কংগ্রেস স্বরাষ্ট্র বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ কমিটির দায়িত্ব চেয়েছিল।
বৈঠকে যাঁরা ছিলেন
সরকার বিরোধী দলকে স্থায়ী কমিটির সভাপতির পদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সরকারের প্রতিনিধি ও বিরোধী দলের সদস্যদের মধ্যে কয়েক দফা বৈঠক হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সংসদীয় বিষয়কমন্ত্রী কিরেন রিজিজু এবং কেন্দ্রীয় আইন ও বিচার ও সংসদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী অর্জুনরাম মেঘওয়াল। বৈঠকে কংগ্রেসের প্রতিনিধিত্ব করেছেন লোকসভার উপনেতা গৌরব গগৈ ও সংসদের দুই সভায় দলের দুই চিফ হুইপ বা মুখ্যসচেতক কোডিকুনিল সুরেশ ও জয়রাম রমেশ।
অন্যান্য স্থায়ী কমিটি
এর আগে গত ১৬ অগাস্ট, সংসদের পাঁচটি স্থায়ী কমিটি গঠন করা হয়েছিল। তার মধ্যে কংগ্রেস এমপি এবং সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) কেসি ভেনুগোপালকে পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারপার্সন করা হয়েছে। কনভেনশন অনুযায়ী পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির সভাপতির পদ বিরোধীদের দেওয়া হয়। সেই অনুযায়ীই ভেনুগোপালকে ওই পদ দেওয়া হয়েছে। গঠিত অন্যান্য কমিটিগুলো হল অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ সংক্রান্ত কমিটি। যার প্রধান হলেন গণেশ সিং (বিজেপি)। কমিটি অফ এস্টিমেটস, যার নেতৃত্বে থাকছেন সঞ্জয় জয়সওয়াল (বিজেপি)। কমিটি অন পাবলিক আন্ডারটেকিংস, যার নেতৃত্বে থাকবেন বৈজয়ন্ত পান্ডা (বিজেপি)। তফসিলি জাতি ও উপজাতি কল্যাণ সংক্রান্ত কমিটি, যার নেতৃত্বে থাকবেন ফাগ্গান সিং কুলাস্তে (বিজেপি)।
আরও পড়ুন- পদত্যাগের ঘোষণা কেজরিওয়ালের, ভোটপ্রস্তুতির রণকৌশলে আপ
২৭ অগাস্ট, অল ইন্ডিয়া তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েন বিভাগ-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি (ডিপিএসসি) পুনর্গঠনে বিলম্বের জন্য রাজ্যসভায় সংসদের নেতা জে পি নাড্ডাকে চিঠি লিখেছিলেন। তার চিঠিতে, ও'ব্রায়েন বলেছেন যে কমিটি গঠনে বিলম্ব গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এবং প্রণীত আইনের গুণমানে গভীর প্রভাব ফেলে।
গত লোকসভা মেয়াদে, যখন লোকসভায় কংগ্রেসের ৫৩ জন সদস্য ছিলেন, তখন কংগ্রেস মাত্র একটি কমিটির সভাপতি ছিল। এইবার, কংগ্রেসের লোকসভায় ৯৯ জন সদস্য রয়েছে। এছাড়া অন্যান্য বিরোধী দল যেমন সমাজবাদী পার্টির ৩৭ জন সদস্য লোকসভায় রয়েছেন। লোকসভায় টিএমসির সদস্য সংখ্যা ২৯। ডিএমকের সদস্য সংখ্যা ২২। এই দলগুলোও স্থায়ী কমিটিতে কিছু প্রতিনিধি পাবে বলেই আশা করা হচ্ছে।