Advertisment

Explained: কাজ দিল না মোদী ম্যাজিক, হাতের হাতছানিতে হিমাচলে তছনছ পদ্মবন, কিন্তু কেন?

মোট ৬৮ আসনের মধ্যে কংগ্রেস পেয়েছে ৩৯টি।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Himachal_Pradesh

হিমাচল প্রদেশে ক্ষমতা হারাল বিজেপি, ফিরল কংগ্রেস। আর, এতেই প্রশ্ন উঠছে, ঠিক কী কারণে এই পরাজয়? বিজেপি নেতাদের অনেকেই অভিযোগের আঙুল তুলছেন মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুরের দিকে। তিনি নিজে অবশ্য ৭৬% ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। কিন্তু, তাঁর কার্যপদ্ধতিতে দল সামগ্রিকভাবে হিমাচলে পিছিয়ে পড়েছে। এমনটাই অভিযোগ বিজেপি নেতাদের একাংশের।

Advertisment

ভোটের ফল

বৃহস্পতিবার ফল প্রকাশের পর দেখা গিয়েছে, হিমাচলের ৬৮ আসনের মধ্যে কংগ্রেস পেয়েছে ৩৯টি, বিজেপি ২৬টি আসন। আর ৩টি আসন পেয়েছে অন্যান্যরা। অবশ্য হিমাচলবাসী পাঁচ বছর পরপর শাসক বদল করেন। এই রেওয়াজ থাকলেও বিজেপি নেতৃত্ব ভালো ফলের আশা করেছিলেন। গত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি এই পার্বত্য রাজ্যে ৪৪টি আসন পেয়েছিল। সেটাই এবার ২৬-এ নেমে আসায় স্বভাবতই মুষড়ে পড়েছে গেরুয়া শিবির। এই ফলাফলের পিছনে বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

স্থানীয় ইস্যু

কংগ্রেস স্থানীয় ইস্যুগুলোর ওপর বেশি নজর দিয়েছে। স্থানীয় নেতারা, স্থানীয় বিষয় নিয়েই প্রচার চালিয়েছেন। সেই প্রচার মানুষের মনে স্পর্শ করেছে। পালটা মোদী তাঁকে দেখে ভোট দেওয়ার জন্য স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে আবেদন করেছিলেন। বিজেপি চেয়েছিল এই নির্বাচনটা মোদী বনাম কংগ্রেসের মধ্যে হোক। কিন্তু, সেই আবেদনে বিশেষ কাজ হয়নি বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সেটা ফলাফলেও স্পষ্ট ধরা পড়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সামগ্রিকভাবে বিজেপি-বিরোধী মনোভাব এই ফলাফলের পিছনে কাজ করেছে। তার ওপর কংগ্রেস বাড়ি বাড়ি প্রচারে বেশি জোর দিয়েছে। সেই প্রচারে গত পাঁচ বছরে বিজেপি শাসনের ব্যর্থতার ইতিহাস তুলে ধরেছে। তা প্রভাব ফেলেছে নির্বাচনে।

আরও পড়ুন- গেরুয়া ঝড়ে রেকর্ড জয়, ‘মোদী-গড়ে’ মসনদে ফের বিজেপি

মোদীকেও প্রত্যাখ্যান জনতার

বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব এবং মুখ্যমন্ত্রীর ব্যর্থতার কথা মাথায় রেখেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই নির্বাচনে ব্যাপক প্রচার চালিয়েছেন। তিনি তাঁকে দেখে ভোট দেওয়ার জন্য ভোটারদের কাছে ব্যক্তিগতভাবে আবেদন জানিয়েছিলেন। গত ১২ নভেম্বর সোলানের সভায় মোদী বলেছিলেন, 'মনে রাখবেন কে বিজেপির প্রার্থী? আপনার কাউকে মনে রাখার দরকার নেই। শুধুমাত্র পদ্মকে মনে রাখুন। যদি আপনি ভোটদানের সময় পদ্মচিহ্ন দেখেন, মনে রাখবেন সেটাই বিজেপি। সেইটাই হল মোদী, যে আপনাদের কাছে এসেছে। পদ্মচিহ্নে আপনাদের প্রতিটি ভোট সরাসরি আশীর্বাদ হিসেবে মোদীর অ্যাকাউন্টে জমা হবে।' কিন্তু, ফলাফলে দেখা গিয়েছে যে মোদীর সেই আবেদনও হিমাচলের বাসিন্দারা গ্রহণ করেননি।

Read full story in English

Assembly Election 2022 CONGRESS Himachal Pradesh
Advertisment