Advertisment

Explained: হাতের দখলে কর্ণাটক, কোন জোরে বিজেপির থেকে কুর্সি হাতাল কংগ্রেস?

হনুমানের পোস্টার নিয়েই উৎসবে মেতেছেন কংগ্রেস কর্মীরা।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Karnataka_Result 1

কর্ণাটকের বিধানসভা নির্বাচনে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতার পর ক্ষমতায় ফিরতে চলেছে কংগ্রেস। ভোট গণনার চার ঘণ্টা, কংগ্রেসের আসন সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩৭, বিজেপি ৬৩ এবং জেডিএস ২০-এ। মুখ্যমন্ত্রী বাসভরাজ বোম্মাই পরাজয় স্বীকার করে বলেছেন, 'প্রধানমন্ত্রী, কর্মীদের সর্বোত্তম চেষ্টা সত্ত্বেও আমরা লক্ষ্যে পৌঁছতে পারিনি।' কর্ণাটক বিধানসভায় ২২৪টি আসন রয়েছে এবং সংখ্যাগরিষ্ঠতা গঠনের জন্য ১১৩টি আসন প্রয়োজন।

Advertisment

কংগ্রেসের অবস্থান
কংগ্রেস বর্তমানে ১৩৭টি আসনে এগিয়ে। যা নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা (অর্ধেকের বেশি) ১১৩-র অনেক বেশি। বিজেপি ৬৩টি আসনে এবং জেডি(এস) ২০টিতে এগিয়ে আছে। কংগ্রেস পরবর্তী কর্ণাটক সরকার গঠনের চেষ্টা শুরু করেছে। শনিবার ভোটগণনার শুরুতে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং কংগ্রেস নেতা সিদ্দারামাইয়া বলেছিলেন যে তিনি আত্মবিশ্বাসী দল ১২০টিরও বেশি আসন জিতবে। সিদ্দা বলেন, 'বিজেপি ৬৫-৭০ আসন জিততে পারে। জেডি (এস) ২৫টি আসন জিতবে।' জয়ের খবর আসামাত্রই দিল্লিতে কংগ্রেস পার্টির সদর দফতরে শুরু হয়েছে বিজয় উৎসব। যে হনুমানের ইস্যুকে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই নির্বাচনে তুলে ধরেছিলেন, সেই হনুমানের পোস্টার নিয়েই বিজয় উৎসব উদযাপন করছেন কংগ্রেসের পার্টিকর্মীরা।

যৌথ নেতৃত্ব
হিন্দুত্ববাদী বাগাড়ম্বরে আটকে পড়া এড়িয়ে স্থানীয় ইস্যুতে ফোকাস স্থানীয় ইস্যুতে ফোকাস কংগ্রেসের সাফল্যের অন্যতম কারণ। কংগ্রেসের জয়ের পিছনে কী আছে? মনোজ সিজি মনে করছেন, সাবধানে তৈরি করা একতার বার্তা: কর্ণাটক কংগ্রেসের দুই নেতা, ডি কে শিবকুমার এবং সিদ্দারামাইয়া দীর্ঘদিন ধরে বিবাদে রয়েছেন বলে জানা গেছে। কংগ্রেস তাঁদের ইস্যুগুলোকে উপেক্ষা করতে সক্ষম হয়েছিল এবং সুসজ্জিত যৌথ উপস্থিতিতে জোর দিয়েছিল। যা একটি স্পষ্ট যুক্তফ্রন্টের চেহারাকে তুলে ধরেছে।

বিজেপির ভোটব্যাংকে ধাক্কা
পাশাপাশি, ইস্তাহারে পাঁচটি নিশ্চয়তার কথা জানিয়েছে কংগ্রেস। মহিলা এবং যুবকদের জন্য বেশ কিছু ঘোষণা করেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে সামনে রেখে এগিয়ে চলা বিজেপির ভোটব্যাংকের একটা বড় অংশ মহিলা এবং যুবকরা। মহিলা এবং যুবকদের জন্য বড়সড় নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দিয়ে কংগ্রেস সেই ভোটব্যাংকে ধাক্কা দিয়েছে।

আরও পড়ুন- কর্ণাটকে ঘৃণার বাজার বন্ধ হয়েছে, প্রেমের দোকান খুলেছে: রাহুল গান্ধী

মুসলিম ভোটের একত্রীকরণ
একইসঙ্গে, কংগ্রেস তার ইস্তাহারে বজরং দলকে নিষিদ্ধ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। যা অপ্রত্যাশিতভাবে মুসলিম ভোটকে একত্র হতে সাহায্য করেছে। কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারা গোপনে স্বীকার করেছেন যে ইস্তাহারে নিষিদ্ধ পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার সঙ্গে বজরং দলের উল্লেখ বড়সড় ঝুঁকি ছিল। কিন্তু, কংগ্রেস পিছিয়ে না-যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এম বীরাপ্পা মইলি প্রতিবাদ করেছিলেন। কিন্তু, সেই প্রতিবাদকেও এক্ষেত্রে দল আমল দেয়নি। সম্ভবত এর ফলে মুসলিম ভোট একত্রিত হয়ে ইভিএমে কংগ্রেসের চিহ্নে গিয়েছে।

bjp CONGRESS karnataka elections
Advertisment