/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2023/03/Rahul-Gandhi-1.jpg)
লন্ডনে রাহুল
কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর সাম্প্রতিক বক্তৃতায়, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী অভিযোগ করেছেন যে ইজরায়েলের তৈরি স্পাইওয়্যার পেগাসাস তাঁকে আটকানোর জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল। তিনি আরও দাবি করেছেন, গোয়েন্দা কর্তারা তাঁকে ফোনে কথা বলার সময় 'সাবধান' থাকতে বলেছিলেন। কারণ, তাঁর কলগুলো ট্যাপ করা হচ্ছে।
রাহুলের অভিযোগ
সংবাদ সংস্থা এএনআই অনুযায়ী, রাহুল গান্ধী বলেছেন, 'আমার ফোনে পেগাসাস ছিল। অনেক রাজনীতিবিদদের ফোনে পেগাসাস আছে। আমাকে গোয়েন্দা আধিকারিকরা নিজে থেকে বলেছেন যে দয়া করে আপনি আপনার ফোনে যা বলছেন সে বিষয়ে সতর্ক থাকুন। কারণ, আমরা আপনার কথা রেকর্ড করছি।'
পালটা প্রতিক্রিয়া
কংগ্রেস নেতার এই মন্তব্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার, তথা ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ বিষয়ক মন্ত্রী অনুরাগ সিং ঠাকুর। তিনি বলেছেন যে পেগাসাস গান্ধীর মনে আছে, অন্য কোথাও নেই। অনুরাগ বলেন, 'আজ, সারা বিশ্বে মোদীজির প্রতি যে ধরনের সম্মান দেখানো হচ্ছে এবং মোদীজির নেতৃত্বে ভারত যে স্বীকৃতি পেয়েছে, কারও না-হলেও, রাহুল গান্ধীর অন্তত ইতালির প্রধানমন্ত্রী এবং সেখানকার নেতাদের কথা শোনা উচিত ছিল।'
কী এই পেগাসাস বিতর্ক?
পেগাসাস, ইজরায়েল-ভিত্তিক সাইবার সিকিউরিটি কোম্পানি এনএসও গ্রুপের তৈরি। ২০১৯ সালের অক্টোবরে তা প্রথমবার সংবাদ শিরোনাম আসে। সেই সময় ফেসবুক-মালিকানাধীন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ বলেছিল যে ভারতে সাংবাদিক এবং মানবাধিকার কর্মীদের ওপর স্পাইওয়্যার ব্যবহার করে নজরদারি চালানো হচ্ছে। সেই সময়ে, হোয়াটসঅ্যাপ নজরদারির জন্য টার্গেট করা ব্যক্তিদের নাম, পরিচয় এবং 'সঠিক সংখ্যা' প্রকাশ করেনি। তবে গণমাধ্যমকে জানিয়েছিল যে, তাদের প্রত্যেকের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপ যোগাযোগ করেছে।
আরও পড়ুন- মুখ্য নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে সুপ্রিম রায়, নির্দেশের গুরুত্বটা কী?
পরে যা জানা গিয়েছে
তার দুই বছর পরে, একটি আন্তর্জাতিক তদন্তে প্রকাশ পায়, পেগাসাস ভারতে ৩০০টি মোবাইল ফোন নম্বরকে লক্ষ্যবস্তু করে থাকতে পারে। যার মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের দুই মন্ত্রী, বিরোধী দলের নেতা, একজন সাংবিধানিক কর্তৃপক্ষ এবং বেশ কয়েকজন সাংবাদিক, সুশীল সমাজের নেতা এবং ব্যবসায়ী রয়েছেন।