Advertisment

বর্তমানে সংক্রমিত ও মোট সুস্থের সংখ্যা তুলনাযোগ্য নয়

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরোগ্যের পরিমাণ যে বাড়বে তা বিস্ময়কর কিছু নয়, কারণ সংক্রমিতের সংখ্যাও বাড়বে। এখনও পর্যন্ত যতজন সংক্রমিত হয়েছেন, প্রায় ২.৮৫ লক্ষ, তার ৪৮ শতাংশ সুস্থ হয়েছেন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

এখন ভারতে করোনায় মৃত্যুহার ২.৭ শতাংশ

ভারতে করোনাভাইরাসে যতজন বর্তমানে আক্রান্ত, তার থেকে বেশি মানুষ এ রোগ থেকে আরোগ্যলাভ করেছেন। বুধবার ৫৯৯১ জন সুস্থ হওয়ার পর মোট আরোগ্যের পরিমাণ ১,৩৫,২০৫-এ দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে অসুস্থের সংখ্যা ১,৩৩,৬৩৩।

Advertisment

এটা একটা দেখার মত মাইলস্টোন হতে পারে, তবে এ পরিসংখ্যানের তাৎপর্য তেমন কিছু নেই। এর অর্থ এই নয় যে এ অতিমারী এবার শেষের পথে পৌঁছিয়েছে বা চূড়ায় উঠতে শুরু করেছে। এর মানে এমন নয় এবার থেকে সংক্রমণের সংখ্যা কমবে। যদি এই হিসেবে মৃতের সংখ্যা যোগ করা যায়, যা শেষ পাওয়া হিসেব অনুসারে ৭৭৪৫, তাহলেই ছবি পাল্টে গিয়ে দেখা যাবে মোট সংক্রমিতের চেয়ে আরোগ্যেলাভের পরিমাণ ৫০ শতাংশেরও কম।

আরও পড়ুন, হোম কোয়ারান্টিনের সেরা অভ্যাস

কিন্তু এর চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ সম্পূর্ণ আরোগ্য এবং সক্রিয় সংক্রমণ তুলনাযোগ্য নয়। সম্পূর্ণ আরোগ্যের হিসেব করা হয় রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটার শুরুর সময় থেকে। এটা একটা উপচিত সংখ্যা (accumulated number)। ফলে তুলনা করা হচ্ছে একটি তিনমাসের মোট সংখ্যার সঙ্গে গত দু সপ্তাহের সংখ্যার।

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরোগ্যের পরিমাণ যে বাড়বে তা বিস্ময়কর কিছু নয়, কারণ সংক্রমিতের সংখ্যাও বাড়বে। এখনও পর্যন্ত যতজন সংক্রমিত হয়েছেন, প্রায় ২.৮৫ লক্ষ, তার ৪৮ শতাংশ সুস্থ হয়েছেন। এই শতাংশ ক্রমশ বাড়বে। বিজ্ঞানীরা মনে করছেন অতিমারী যখন শেষ হবে, তখন মৃত্যুহার ১ শতাংশের নিচে থাকবে, বাকি ৯৯ শতাংশ সংক্রমিত সুস্থ হয়ে যাবেন।

এখন ভারতে মৃত্যুহার ২.৭ শতাংশ। কিন্তু তার কারণ হল টেস্টের মাধ্যমে যত রোগীর পজিটিভ সংক্রমণ ধরা পড়েছে, তাঁদের মৃত্যুই হিসেব করা হচ্ছে। সম্ভবত অনেক বেশি সংখ্যক মানুষ, যতজনের সংক্রমণ নিশ্চিত হয়েছে, তার চেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষ সংক্রমণ বহন করছেন, কিন্তু টেস্ট হয়নি বলে তা অজানা থেকে যাচ্ছে।

ভারতের মত বড় জনসংখ্যার দেশে মহামারীতে কতজন সংক্রমিত তার হিসেব সম্ভবত কখনওই জানা যাবে না। কিন্তু যথাযথ কাদের পরীক্ষা করা হবে তা বাছাইয়ের জন্য ঠিকমত স্যাম্পলিংয়ের মাধ্যমে একটা বিশ্বাসযোগ্য হিসেব করার পদ্ধতি বিজ্ঞানীদের কাছে রয়েছে।

আরও পড়ুন, গত অগাস্ট থেকেই করোনাভাইরাস চিনে? ইঙ্গিত গবেষণায়

এই অপরীক্ষিত ও অনিশ্চিত সংক্রমণের হিসেব করার পর বিজ্ঞানীরা মনে করছেন সব মিলিয়ে মৃত্যুহার ১ শতাংশের নিচে থাকবে। ফলে যখন মহামারী শেষ হবে আরোগ্যের হার অন্তত ৯৯ শতাংশ হবে। এখনও পর্যন্ত সে মাইলফলক দূরবর্তীই।

রাজ্য মোট পজিটিভ নতুন সংক্রমণ মোট আরোগ্য মৃত্যু
মহারাষ্ট্র ৯৪০৪১ ৩২৫৪ ৪৪৫১৭ ৩৪৩৮
তামিলনাড়ু ৩৬৮৪১ ১৯২৭ ১৯৩৩৩ ৩২৬
দিল্লি ৩২৮১০ ১৫০১ ১২২৪৫ ৯৮৪
গুজরাট ২১৫৫৪ ৫১০ ১৪৭৪৩ ১৩৪৭
উত্তরপ্রদেশ ১১৬১০ ২৭৫ ৬৯৭১ ৩২১
রাজস্থান ১১৪৮৭ ৩৫৫ ৮৪৫৬ ২৫৯
মধ্যপ্রদেশ ১০০৪৯ ২০০ ৬৮৯২ ৪২৭
কর্নাটক ৬০৪১ ১২০ ২৮৬২ ৭১
পশ্চিমবঙ্গ ৯৩২৮ ৩৪৩ ৩৭৭৯ ৪৩২
বিহার ৫৬৯৮ ২৪৩ ২৯৩৪ ৩৪

বুধবার ভারত আরেকটি মাইলফলক অতিক্রম করেছে। মোট টেস্টের পরিমাণ ৫০ লক্ষ ছাড়াল ভারতে। প্রতিদিন এখন প্রায় দেড় লক্ষ টেস্ট হচ্ছে।

coronavirus
Advertisment