করোনা সংক্রমণ: ৮ দিনে ১০ হাজার থেকে ২০ হাজারে

লকডাউনের সৌজন্যে এবং সরকারের নেওয়া পদক্ষেপের দৌলতে এ মাসের শেষে সংক্রমিতের সংখ্যা ২৫ থেকে ২০ হাজারের মধ্যে থাকবে বলেই ইঙ্গিত মিলছে।

লকডাউনের সৌজন্যে এবং সরকারের নেওয়া পদক্ষেপের দৌলতে এ মাসের শেষে সংক্রমিতের সংখ্যা ২৫ থেকে ২০ হাজারের মধ্যে থাকবে বলেই ইঙ্গিত মিলছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

লকডাউনের সুফল মিলতে শুরু করেছে (ছবি- প্রেমনাথ পাণ্ডে)

মঙ্গলবার মহারাষ্ট্রে আরও ৫৫২ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে, দেশের মোট সংক্রমিতের সংখ্যা ২০ হাজারের কাছাকাছি। এই দিনই বিভিন্ন রাজ্য থেকে অন্তত ৫২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে- রোগের প্রাদুর্ভাবের পর এত জনের মৃত্যু একদিনে এর আগে হয়নি।

Advertisment

মঙ্গলবার রাতে সারা দেশে সংক্রমিতের সংখ্যা ১৯,৯৭৫। মহারাষ্ট্রে মোট ৫২১৮ জন সংক্রমিত, অর্থাৎ দেশের মোট সংক্রমিতের এক চতুর্থাংশ ওই রাজ্যের।

মঙ্গলবার নিয়ে পরপর তিন দিন মহারাষ্ট্রে দেশের করোনাক্রান্তের সংখ্যার এক তৃতীয়াংশ।রবিবার ওই রাজ্যে ৫৫২ জনের নতুন সংক্রমণ ধরা পড়েছিল, সোমবার ধরা পড়েছিল ৪৬৬ জনের।

করোনার জন্য কি ভারতীয় অর্থনীতি মার খাচ্ছে?

Advertisment

মঙ্গলবার সারা দেশে মোট ১৫১০ জনের সংক্রমণ ধরা পড়েছে, মার্চের প্রথম সপ্তাহে সংক্রমণ শুরু হবার পর এই সংখ্যাটা একদিনের হিসেবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছিল রবিবার, সেদিন ১৫৭৭ জনের সংক্রমণের কথা জানা গিয়েছিল। মঙ্গলবার অন্য যেসব রাজ্য থেকে বেশি নতুন সংক্রমণের খবর এসেছে, তাদের মধ্যে রয়েছে গুজরাট (২৩৯), রাজস্থান (১৫৯), উত্তর প্রদেশ (১৫৩)।

দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংক্রমিতের সংখ্যার হিসেবে এদিন দিল্লিকে টপকে গিয়েছে গুজরাট। গুজরাটে এখন মোট সংক্রমিতের সংখ্যা ২১৭৮, অনযদিকে মঙ্গলবার দিল্লিতে নতুন ৭৫ জনের সংক্রমণের পর সংখ্যাটা সেখানে ২১৫৬। এমনকী কেরালাতেও মঙ্গলবার বেশ বড় সংখ্যায় সংক্রমণ ধরা পড়েছে। গত ২০ দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক ১৯ জন নতুন সংক্রমিতের খবর পাওয়া গিয়েছে সে রাজ্য থেকে। কেরালায় এখন মোট সংক্রমিতের সংখ্যা ৪২৬।

গত কয়েকদিনে সংক্রমিতের সংখ্যা বেশ বাড়লেও লকডাউনের জেরে রোগ ছড়ানোর পরিমাণ কমেছে। সংক্রমিতের সংখ্যা ১০ হাজার থেকে ২০ হাজারে পৌঁছতে সময় লেগেছে ৮ দিন। লকডাউনের প্রভাব প্রত্যক্ষ করবার আগে দেশে এই সংখ্যাবৃদ্ধির হার ছিল এক্সপোনেনশিয়াল।

কোভিড নিয়ন্ত্রণে কেরালার কাসারাগড় কীভাবে মডেল হয়ে উঠল?

মার্চের শুরুতে ৩ জন সংক্রমিত থেকে ১০০ জনে পৌঁছতে সময় লেগেছিল ৩ সপ্তাহ, ১০০০-এ পৌঁছতে সময় লেগেছিল আরও ২ সপ্তাহ, এবং ১০ হাজারে পৌঁছতে সময় লেগেছিল দু সপ্তাহের সামান্য বেশি। হার যদি এরকম থাকত, তাহলে মাসের শেষে সংখ্যাটা এক লক্ষে পৌঁছত। কিন্তু লকডাউনের সৌজন্যে এবং সরকারের নেওয়া পদক্ষেপের দৌলতে এ মাসের শেষে ওই সংখ্যা ২৫ থেকে ২০ হাজারের মধ্যে থাকবে বলেই ইঙ্গিত মিলছে।

নতুন সংক্রমণের যা খবর এসেছে, তার বড় অনুপাতই এসেছে সামান্য কয়েকটি ক্ষেত্র থেকে। মহারাষ্ট্র, গুজরাট, রাজস্থান এবং উত্তর প্রদেশে নতুন সংক্রমণের ৭৫ শতাংশ ঘটেছে। অন্য চার রাজ্য- তামিলনাড়ু, দিল্লি, মধ্য প্রদেশ, এবং তেলেঙ্গানা যদি যোগ করা হয়, তাহলে নতুন সংক্রমণের মোট ৯০ শতাংশের এই আট রাজ্য থেকে এসেছে।

কোন রাজ্যে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে, তাও দেখার বিষয়।মহারাষ্ট্রে মারা গিয়েছেন ১৯ জন, এর মধ্যে বেশ কয়েকজনের করোনা পজিটিভ ধরা পড়েছে মঙ্গলবারই। গুজরাটে অন্তত ১৩জন, মধ্য প্রদেশে ৮ জন এবং উত্তর প্রদেশে চারজন মারা গিয়েছেন।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

coronavirus Lockdown