এই গ্রীষ্মে এসি ২৪-এর উপরে সেট করাই কেন ভাল

কোভিড ১৯ অতিমারী চলাকালীন সরকার একটি অ্যাডভাইজরি জারি করেছে, যাতে বলা হয়েছে এয়ার কন্ডিশনার চালাবার সময় তার তাপমাত্রা ২৪ থেকে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখতে এবং আপেক্ষিক আর্দ্রতা ৪০ থেকে ৭০ ডিগ্রির মধ্যে রাখতে। সেন্ট্রাল পাবলিক ওয়ার্কস ডিপার্টমেন্ট (সিপিডব্লুডি)একটি অফিস মেমোরান্ডামে আধিকারিকদের বলেছে, এয়ার কন্ডিশনার ও ভেন্টিলেশন ব্যবস্থার মাধ্যমে রোগ ছড়াবার ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।

ভারতীয় উপমহাদেশের জলবায়ুর কথা মাথায় রেখে এই গাইডলাইন প্রস্তুত করেছে ইন্ডিয়ান সোসাইটি অফ হিটিং রেফ্রিজারেটিং অ্যান্ড এয়ারকন্ডিশনিং এঞ্জনিয়র্স (ISHRAE)। তাদের মতে বাইরের বাতাসের সঙ্গে ভিতরের পরিবেশের সামঞ্জস্য রক্ষা করার এটাই সেরা উপায়।

কোভিড-১৯-এর মধ্যে তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা স্থির করা

 গাইডলাইনে বলা হয়েছে, ঘরের তাপমাত্রা ২৪ থেকে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখুন। আপেক্ষিক আর্দ্রতা ৪০ থেকে ৭০ শতাংশের মধ্যে রাখুন। আর্দ্র জলবায়ুতে আর্দ্রতা কমাতে তাপমাত্রা ২৪ ডিগ্রির কাছাকাছি রাখুন এবং শুষ্ক আবহাওয়ায় ৩০ ডিগ্রির কাছে বা ৩০ ডিগ্রিতে রাখুন এবং হাওয়া চলাচলের জন্য পাখা ব্যবহার করুন।

এই অ্যাডভাইজরিতে একটি গবেষণাপত্র উদ্ধৃত করা হয়েছে, যেখানে দেখা গিয়েছে বেশি তাপমাত্রা ও বেশি আর্দ্রতাসম্পন্ন চিনের ১০০ শহরে সংক্রমণ বেশি।  এখানে আরও একটি গবেষণা উদ্ধৃত হয়েছে, যেখানে দেখানো হয়েছে সার্স-কোভ-২ ভাইরাস ৪ ডিগ্রি তাপমাত্রায় একোনও সারফেসে ১৪ দিন বেঁচে থাকে, ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে একদিন বেঁচে থাকে ও ৫৬ ডিগ্রি তাপমাত্রায় আধঘণ্টায় মরে যায়।

.বলা হয়েছে এর নিষ্ক্রিয়তার সঙ্গে আর্দ্রতার সম্পর্ক রয়েছে। শুষ্ক আবহাওয়ায় বা যেখানে আর্দ্রতা কম, সেখানে মানুষের দেহে বাইরের কণা সহজে প্রবেশ করে। ফলে আপেক্ষিক আর্দ্রতা অন্তত ৪০ শতাংশ রাখা বাঞ্ছনীয়।

আমরা যদি শুষ্ক বাতাসে প্রশ্বাস গ্রহণ করি তাহলে আমাদের ফুসউুসের মিউকাস মেমব্রেন শুকিয়ে যায়। কোষের উপর জলীয় পদার্থ বেশি চটচটে হয়ে যায়, এবং সিলিয়া নামের ক্ষুদ্র যে কেশগুলি আমাদের ফুসফুসকে রক্ষা করে, তারা কাজ করতে পারে না এবং কণাগুলি আমাদের ফুসফুসে আরও গভীরে প্রবেশ করে।

এই অ্যাডভাইজরিতে এমন গবেষণারও উল্লেখ রয়েছে যাতে বলা হয়েছে ৮০ শতাংশ ও তার বেশি আপেক্ষিক আর্দ্রতায় এই ভাইরাস নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়।