Advertisment

করোনা অতিমারীর সময়ে রক্তদান

যাঁদের করোনাক্রান্ত দেশে যাতায়াতের ইতিহাস রয়েছে বা রোগাক্রান্তদের সংস্পর্শে যাঁরা এসেছেন, তাঁদেরও ২৮ দিনের জন্য রক্তদান করতে বারণ করা হয়েছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

প্রতীকী ছবি

করোনা অতিমারীর সময়ে রক্তদান শিবির আয়োজনের ব্যাপারে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক একটি অ্যাডভাইজরি জারি করেছে। মন্ত্রকের তরফে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে রক্তের মাধ্যমে শ্বাসদনিত ভাইরাস সংক্রমিত হয় না। এর আগে সার্স বা মার্স ভাইরাসের মহামারীর সময়েও এরকম ঘটনা দেখা যায়নি।

Advertisment

কোভিড ১৯ মোকাবিলায় সেনাবাহিনীর ভূমিকা

যেহেতু রক্ত থেকে এই ধরনের ভাইরাসের সংক্রমণের কোনও সম্ভাবনা নেই, সে কারণে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সহ কেউই এ ব্যাপারে কোনোরকম অতিরিক্ত গাইডলাইন দেয়নি বলে মন্ত্রক জানিয়েছে।

সম্ভাব্য রক্তদাতা বা রক্তদানকারী সংস্থার মাধ্যমে ভাইরাস সংক্রমিত হতে পারে বলে কোনও রকম আশঙ্কা দূর করবার জন্যই এই গাইডলাইন।

কে রক্তদান করতে পারবেন, কে পারবেন না?

সাধারণ গাইডলাইন ছাড়া মন্ত্রকের সুপারিশ, যাঁদের সংক্রমণ ধরা পড়েছে তাঁরা যেন রক্ত না দেন। যাঁদের করোনাক্রান্ত দেশে যাতায়াতের ইতিহাস রয়েছে বা রোগাক্রান্তদের সংস্পর্শে যাঁরা এসেছেন, তাঁদেরও ২৮ দিনের জন্য রক্তদান করতে বারণ করা হয়েছে।

অর্থাৎ, করোনাভাইরাস যেসব দেশে গোষ্ঠী সংক্রমণ ঘটিয়েছে, সেসব দেশ থেকে ফেরার ২৮ দিনের মধ্যে কেউ রক্ত দেবেন না।

উপসর্গহীনদের থেকে কীভাবে করোনা সংক্রমণ ছড়াতে পারে?

একইভাবে যাঁরা নিশ্চিত করোনাক্রান্ত বা সম্ভাব্য করোনাক্রান্তদের সংস্পর্শে এসেছেন, বা কোয়ারান্টিনে রয়েছেন, তাঁরাও রক্তদান করবেন না।

যাঁরা সংক্রমিত হয়েছেন, তাঁরা সম্পূর্ণ সেরে যাবার ২৮ দিনের মধ্যে রক্তদান করবেন না।

রক্তদানের ১৪ দিনের মধ্যে যদি রক্তদাতার কোভিড ১৯ লক্ষণ ধরা পড়ে বা তাঁর পরীক্ষার ফল পজিটিভ হয়, বা তিনি যদি কোভিড ১৯ রোগীর সংস্পর্শে এসে থাকেন, তাহলে অব্যবহৃত রক্ত নষ্ট করে ফেলতে হবে।

করোনায় শিশুরা আক্রান্ত কম, কিন্তু তাদের ঝুঁকি বেশি

ব্লাড সেন্টারের মেডিক্যাল অফিসারকে প্রয়োজনীয় গাইডলাইন অনুসরণ করার জন্য হস্তক্ষেপ করতে হতে পারে।

রক্তদান কেন্দ্র কীভাবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে?

লকডাউনের সময়ে জনসমাগম বন্ধ। অ্যাডভাইজরিতে বলা হয়েছে ইন্ডোর বা আউটডোরে রক্তদান চলতে পারে।

তবে সেক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব ও অন্যান্য নিয়ম পালন করতে হবে, অর্থাৎ হাতের স্বাস্থ্য, কাশির নিয়ম, বায়োমেডিক্যাল বর্জ্য ঠিকবাবে নষ্ট করা ইত্যাদি।

মন্ত্রকের পরামর্শ, নিয়মিত রক্তদাতাদের তাঁদের সুবিধাজনক জায়গায় পৌঁছনোর ব্যাপারে উৎসাহ দেওয়া উচিত। প্রয়োজনীয় রক্ত সরবরাহ যাতে নিশ্চিত থাকে সে ব্যাপারে রক্তদান সংস্থাগুলির ভুমিকার উপর জোর দেওয়া হয়েছে গাইডলাইনে।

ভাইরাস সংক্রমণের কারণে কিছু জায়গায় যদি রক্তদান শিবির না করা যায়, তাহলে অন্যান্য জায়গা থেকে সংগ্রহের পরিমাণ বাড়াতে হবে। এব্যাপারে তথ্য, শিক্ষা ও প্রচারের উপর জোর দিতে হবে।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

coronavirus
Advertisment