গন্তব্য যদি হয় চিন, জাপান, ইরান, দক্ষিণ কোরিয়া বা ইতালি, উত্তর অবশ্যই 'হ্যাঁ'। ভারত সরকার এইসব দেশে যেতে নাগরিকদের বারণ করেছে ইতিমধ্যেই। করোনাভাইরাসর দাপটের ভরকেন্দ্র হল চিন। বাকি চারটি দেশও ভয়াবহভাবে সংকটাপন্ন।
শুক্রবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ১,০০,৬০০-এরও বেশি মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, মৃতের সংখ্যা কমপক্ষে ৩,৪০৪। শুধু চিনেই মৃত্যু হয়েছে ৩৬২ জনের। ইতালি, ইরান, দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপানে মারা গিয়েছেন যথাক্রমে ১৪৮, ১২৪, ৪২ এবং ৮ জন।
সরকারের তরফে অবশ্য করোনা-কবলিত সব দেশেই নিতান্ত প্রয়োজন না হলে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যার অর্থ, বিশ্বের অন্তত ৮৩টি দেশে যাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ মনে করা হচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে ২৩১টি, মারা গিয়েছেন এখনও পর্যন্ত ১২ জন।
আরও পড়ুন: করোনা আতঙ্কে ভুগছেন? ভয় পাইয়ে দেওয়া মেসেজ উপেক্ষা করুন
এই ৮৩টি দেশ ছাড়া অন্য দেশে যাওয়া কি নিরাপদ?
যদি গরমের ছুটিতে বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা থাকে, তাহলে হাতে আরও মাস দুয়েক সময় আছে। তখন পরিস্থিতি কেমন থাকবে তা এখনই বলা কঠিন। যদি আপনাকে বুকিং আর রিজার্ভেশনের ব্যাপারে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হয়, তাহলে ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল (NCDC)-এর হেল্পলাইন আপনার উপরই ছেড়ে দেবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার। তবে সংস্থার আধিকারিকরা পরিচয় অজ্ঞাত রাখার শর্তে পরামর্শ দিচ্ছেন নিতান্ত প্রয়োজন ছাড়া দেশের বাইরে না যেতে।
আরও পড়ুন: মোদীর করোনা পরামর্শ: করমর্দন নয়, হাত জোড় করে নমস্তে বলুন
NCDC-র এক পদস্থ আধিকারিকের কথায়, "আপনি এমন একটা বিমানে যাতায়াত করবেন, যাতে বিভিন্ন দেশের মানুষ থাকবেন। যাঁদের সাম্প্রতিক ভ্রমণের ব্যাপারে আপনি কিছুই জানেন না। ফ্লাইটে চড়ার আগে যেহেতু রোগের ব্যাপারে কোন 'স্ক্রিনিং' হয় না, কোনও যাত্রী আগে থেকেই অসুস্থ কিনা, জানার কোনও উপায় নেই।"
দিল্লির এআইআইএমএস-র শ্বাসযন্ত্র-জনিত রোগের বিশেষজ্ঞ ডঃ রণদীপ গুলেরিয়া বলেছেন, "দেশের মধ্যে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাতায়াত এখনও নিরাপদ। তবে অন্য দেশে যেহেতু দ্রুত ছড়াচ্ছে এই ভাইরাস, তাই বিদেশে যাওয়ার আগে আরও অন্তত দশ দিন অপেক্ষা করাই ভালো। কেউ ব্যক্তিগত স্তরে ঝুঁকি না নিতে চাইলে কমপক্ষে আর দশ দিন অপেক্ষা করার পরামর্শই দেব।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন