Advertisment

প্রথমবার এক দিনে এক লক্ষের বেশি টেস্ট

যেসব রাজ্যে সংক্রমিতের সংখ্যা বেশি, সেই মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, গুজরাট ও দিল্লিতে টেস্টের সংখ্যাও বেশি। অন্যদিকে, তেলেঙ্গানা, যেখানে ক্রমাগত সংক্রমিতের সংখ্যা গত এক মাস ধরে কমছে, সেখানে টেস্টের সংখ্যাও নগণ্য।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
corona daily testing 1 lakh

সংক্রমিত ব্যক্তিদের অধিকাংশই উপসর্গবিহীন, তাঁদের সংক্রমণ একমাত্র টেস্টের মাধ্যমেই ধরা পড়তে পারে

রবিবার থেকে প্রতিদিন ভারতে নতুন করে ৫০০০ জনের বেশি সংখ্যার করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ছে। এক সপ্তাহ আগেও যে সংখ্যা ৩৫০০ থেকে ৩৮০০-র মধ্যে থাকছিল, তার জায়গায় এটাই এখন স্বাভাবিক হয়ে দাঁড়িয়েছে। মঙ্গলবার ৫২০০ জনের নতুন সংক্রমণ ধরা পড়েছে, ভারতে এখন মোট সংক্রমিতের সংখ্যা ১ লক্ষ ৫ হাজার ছাড়িয়েছে।

Advertisment

সংখ্যাবৃদ্ধির একটা কারণ হল টেস্টের পরিমাণ বৃদ্ধি। এর ফলে নতুন সংক্রমিতের সংখ্যা বাড়লেও বৃদ্ধির হার কিন্তু কমবেশি আগের মতই কম বেসি আছে। এর মধ্যে তো তা কমেও গিয়েছিল।

আরও পড়ুন, কোভিড-১৯-এর ভ্যাকসিন এখনও অনেক দূর

নতুন সংক্রমণের আরেকটা কারণ হল লকডাউনের শিথিলতার ঘোষণা। গত কয়েকদিনে মানুষের বহুল যাতায়াতের ফলেও নতুন জনসংখ্যার মধ্যে সংক্রমণের পরিমাণ বাড়ছে অনেকটাই।

এর প্রমাণ হল বিহার ও ওড়িশা, যেখানে অন্য জায়গা থেকে শ্রমিকরা ফিরছেন, সেখানে গত ১০ দিনে সংক্রমণ উল্লেখযোগ্য ভাবে বাড়ছে।

কিন্তু নতুন সংক্রমণ বাড়ার অন্যতম কারণ টেস্টের পরিমাণ বৃদ্ধি। প্রতিদিন ধরে ভারতে টেস্টের পরিমাণ বাড়ছে, বাড়ছে সংক্রমণও। এর কারণ সংক্রমিত ব্যক্তিদের অধিকাংশই উপসর্গবিহীন, তাঁদের সংক্রমণ একমাত্র টেস্টের মাধ্যমেই ধরা পড়তে পারে। কিন্তু তাঁদের সংক্রমণ উপসর্গযুক্তদের মতই হতে পারে। এ কারণেই বিশেষজ্ঞরা বহুল পরিমাণ টেস্টের উপর জোর দিচ্ছেন।

ভারতের টেস্টের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে, তবে রবিবার সে সংখ্যাটা একদিনে একলক্ষ অতিক্রম করে গিয়েছিল। সোমবার ১.০৮ লক্ষ জনের টেস্ট হয়েছে। ভারতে এখনও পর্যন্ত ২৫ লক্ষ জনের টেস্ট হয়েছে।

যেসব রাজ্যে সংক্রমিতের সংখ্যা বেশি, সেই মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, গুজরাট ও দিল্লিতে টেস্টের সংখ্যাও বেশি। অন্যদিকে, তেলেঙ্গানা, যেখানে ক্রমাগত সংক্রমিতের সংখ্যা গত এক মাস ধরে কমছে, সেখানে টেস্টের সংখ্যাও নগণ্য।

তেলেঙ্গানায় ১৪ মে পর্যন্ত ১৬০০ সংক্রমিতের ছিল, তারা মাত্র ২২,৪৮২ জনের নমুনা ততদিন পর্যন্ত পরীক্ষা করেছে। ছত্তিসগড় ও আসামের পরীক্ষার সংখ্যার চেয়েও এই সংখ্যা কম, ওই দুই রাজ্যে সংক্রমিতের সংখ্যা ১০০-র কম।

আরও পড়ুন, অফিস খুলে গেল, কী কী বিধি মানতে হবে?

তুলনা হিসেবে বলা যায়, জম্মু ও কাশ্মীরে সংক্রমিতের সংখ্যা এখন মাত্র ১৩০০-র বেশি, তারা ৯৬ হাজার নমুনা পরীক্ষা করিয়েছে। ওড়িশায় সংক্রমিতের সংখ্যা ১০০০ ছাড়িয়েছে, তারা টেস্ট করেছে এক লক্ষ মানুষেরষ এমনকী, হরিয়ানা, যেখানে ৯৬৪ জন সংক্রমিত, সেখানেও ৮০ হাজার জনের পরীক্ষা হয়েছে।

তেলেঙ্গানার প্রতিবেশী রাজ্য অন্ধ্রপ্রদেশে ২৪০০-র কম সংক্রমিত, তারা আড়াই লক্ষের বেশি নমুনা পরীক্ষা করেছে।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

COVID-19
Advertisment