দেশে করোনাভাইরাস আক্রান্তের ৯০ শতাংশ ১০টি রাজ্য থেকে হলেও অন্য বেশ কিছু রাজ্য থেকেও বেশ কিছু আক্রান্তের খবর আসছে।
বিহার, জম্মু কাশ্মীর ও কর্নাটক- তিন জায়গাতেই রোগীর সংখ্যা প্রায় ১০০০ করে। হরিয়ানায় সংক্রমিতের সংখ্যা ৭৯৩, অড়িশায় ৫৩৮, যা কেরালার চেয়ে অনেকটাই বেশি। এমনকি চণ্ডীগড়ে এতদিনে ১৮৯ জনের সংক্রমণ ধরা পড়েছে, ঝাড়খণ্ডে সংখ্যাটা ১৭৭। ত্রিপুরায় ধলাইয়ের বিএসএফ শিবিরে সংক্রমণের দৌলতে সে রাজ্যে এখন করোনা পজিটিভের সংখ্যা ১৫০-র বেশি।
আরও পড়ুন, আরোগ্য সেতু অ্যাপের তথ্য কাদের কাছে যেতে পারে, সংশয় ও উদ্বেগ
গোয়ায় এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে সাতজনের সংক্রমণ ধরা পড়েছিল, তাঁরা সকলেই সুস্থ হয়ে গিয়েছেন। ৩৫ দিন ধরে গোয়ায় নতুন একজনেরও সংক্রমণ ধরা পড়েনি। বুধবার সেই গোয়ায় সাতজনের নতুন সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এঁরা সকলেই অন্য জায়গা থেকে ফিরেছেন। এঁদের মধ্যে পাঁচজন একটি পরিবারের, যাঁরা মহারাষ্ট্রের সোলাপুর থেকে ফিরেছেন। অন্য দুজন ড্রাইভার, একজন মহারাষ্ট্র থেকে ও অন্যজন গুজরাট থেকে ফিরেছেন।
বুধবার সারা দেশে মোট ৩৭০০ জনের নতুন সংক্রমণ ধরা পড়েছে। দেশে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা এখন ৭৮ হাজার।
মহারাষ্ট্রে নতুন সংক্রমণের সংখ্যা ১৫০০, যেখানে তামিলনাড়ুতে গত কয়েকদিনের তুলনায় নতুন সংক্রমণের সংখ্যা কম, ৫০৯। তামিলনাড়ুতে গত কয়েকদিন ৭০০ থেকে ৮০০ জনের সংক্রমণ ধরা পড়ছিল। বুধবার সন্ধেয় মোট সংক্রমিতের সংখ্যা সেখানে ৯২৭৭, গুজরাটের চেয়ে সামান্য কম, সে রাজ্যে সংক্রমিত ৯২৬৮ জন।
রাজ্য | মোট সংক্রমণ | নতুন সংক্রমণ | মৃত্যু |
মহারাষ্ট্র | ২৫৯২২ | ১৪৯৫ | ৯৭৫ |
গুজরাট | ৯২৬৮ | ৩৬৪ | ৫৬৬ |
তামিলনাড়ু | ৯২২৭ | ৫০৯ | ৬৪ |
দিল্লি | ৭৯৯৮ | ৩৫৯ | ১০৬ |
রাজস্থান | ৪২২২ | ২০১ | ১২১ |
মধ্যপ্রদেশ | ৪১৭৩ | ১৮৭ | ২৩২ |
উত্তরপ্রদেশ | ৩৭৭৮ | ১১৪ | ৮৬ |
পশ্চিমবঙ্গ | ২২৯০ | ১১৭ | ২০৭ |
অন্ধ্রপ্রদেশ | ২১৩৭ | ৮৬ | ৪৭ |
পাঞ্জাব | ১৯২৪ | ১০ | ৩২ |
পাঞ্জাবে যেখানে এ মাসে সংক্রমিতের সংখ্যা তিন গুণ বেড়েছিল, সেখানে অবশেষে কমার সংকেত দেখা যাচ্ছে। গত তিন দিনে নতুন সংক্রমণের পরিমাণ কমছে। বুধবার পাঞ্জাবে মাত্র ১০জনের সংক্রমণ ধরা পড়েছে, সেখানে নিশ্চিত সংক্রমিত এখন ১৯২৪। পাঞ্জাবের সংখ্যাবৃদ্ধির মূল কারণ ছিল মহারাষ্ট্রের নান্দেড থেকে ফেরা তীর্থযাত্রীরা।
আরও পড়ুন, কোভিড অতিমারীর সম্ভাব্য ভবিষ্যৎ চিত্র
যেসব রাজ্যে ৫০০-র বেশি সংক্রমিত
রাজ্য | সংক্রমণ | মৃত্যু |
কেরালা | ৫৩৪ | ৩ |
ওড়িশা | ৬১১ | ৩ |
হরিয়ানা | ৭৯৩ | ১১ |
বিহার | ৯৫৩ | ৭ |
কর্নাটক | ৯৫৯ | ৩৩ |
জম্মু-কাশ্মীর | ৯৭১ | ১১ |
তেলেঙ্গানা | ১৩৬৭ | ৩৪ |
বেশ কয়েকটি রাজ্যে, যেখানে যাতায়াত শুরু হয়েছে, বিশেষ করে পরিযায়ী শ্রমিকরা যাতায়াত করছেনস সেখানে সংখ্যার উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি ঘটছে। পাঞ্জাব ছাড়া ওড়িশাও এই সমস্যার মোকাবিলা করছে। সম্প্রতি এসব রাজ্যে নতুন সংক্রমণ সবই পরিযায়ী শ্রমিক বা তাঁদের নিকট সংস্রবদের মধ্যে ঘটছে। বুধবার ওড়িশায় ৭৩ জনের নতুন সংক্রমণ ধরা পড়েছে, মোট সংক্রমিত ৬১১।
অন্ধ্রপ্রদেশেও মূলত মহারাষ্ট্র ও গুজরাট থেকে ফেরা ৭৩ জন পরিযায়ী শ্রমিকের মধ্যে সংক্রমণ চিহ্নিত হয়েছে। রাজ্যে এখন ভিন রাজ্য থেকে ফেরাদের উপর নজর রাখার জন্য সতর্কতা জারি করা হয়েছে, বিশেষ করে যাঁদের চেন্নাইয়ের কোয়েম্বাডুর সঙ্গে বিন্দুমাত্র যোগাযোগ রয়েছে, তাঁদের উপর। তেলেঙ্গানা, কর্নাটক ও তামিলনাড়ু থেকে যাঁরা ফিরছেন তাঁদের রাজ্য সীমানায় আটকে কোয়ারান্টিন সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
দেশে এখন মোট মৃত্যুর সংখ্যা ২৫০০ ছাড়িয়েছে। এঁদের মধ্যে ৯৭৫ জন মহারাষ্ট্রের ও ৫৬৬ জন গুজরাটের।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন