ভারতে যে ১১০ জনের শরীরে নভে করোনাভাইরাস পাওয়া গিয়েছিল, তাঁদের মধ্যে ১৩ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে রবিবার স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে। সারা পৃথিবীতে যে ১.৫৬ লক্ষ আক্রান্ত হয়েছিলেন তাঁদের মধ্যে ৫৪ হাজার সুস্থ হয়ে গিয়েছেন।
Advertisment
তবে, চিন, দক্ষিণ কোরিয়া এবং অতি সম্প্রতি জাপানে, যেখানে কোভিড-১৯ আক্রান্তদের ছেড়ে দেবার পর ফের তাঁদের ওই রোগ ধরা পড়েছে। ১৪ ফেব্রুয়ারি জাপানের এক সত্তরোর্ধ্বকে এক জাহাজে করোনাভাইরাস আক্রান্ত বলে চিহ্নিত করা হয়। ২ মার্চ ফের তাঁর পরীক্ষার পর দেখা যায় তাঁর শরীরে রোগলক্ষণ নেই। ১৪ মার্চ তাঁর শরীরে ফের ওই রোগ ধরা পড়ে।
আমেরিকার ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন সেন্টার বলছে, কোভিড ১৯-এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ সবটা বুঝে ওঠা যায়নি। আগের করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের সংকেত ছিল মিশ্র- গবেষণায় দেখা গিয়েছিল প্রথমবার সংক্রমণের অল্প কিছুদিনের মধ্যে ফের সংক্রমণ ঘটার কথা নয়। তবে সার্সের প্রাদুর্ভাবের সময়ে ফের সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে।
দ্বিতীয়বারের পরীক্ষা ইতিবাচক হতে পারে দুটি কারণে। এই ভাইরাস শরীরে নিষ্ক্রিয় হয়ে বসেছিল যার জন্য ছেড়ে দেবার আগে তাঁদের শরীরে ভাইরাসের চিহ্ন দেখা যায়নি। ঘটনাচক্রে ফের পরীক্ষার সময়ে ভাইরাসের ভার ইতিমধ্যে বৃদ্ধি পেয়ে যেতে পারে।
ল্যাবরেটরি জনিত বিষয়ের কারণেও দ্বিতীয়বারের পরীক্ষা ইতিবাচক ফল দিতে পারে, পরীক্ষায় ভুল, সোয়াবের নমুনায় দূষণ, ফের পরীক্ষার সময়ে যে নিউক্লিক অ্যাসিড ব্যবহার করা হচ্ছে তার অতি সংবেদনশীলতা, বা নিয়ম না মেনে সুস্থ হবার আগেই রোগীকে ছেড়ে দেওয়া। মুম্বইয়ের কোকিলাবেন ধীরুভাই আম্বানি হাসপাতালের ডক্টর তনু সিংহল বলেন, পিসিআর পরীক্ষায় ভাইরাস ধরা পড়ে। কিন্তু নমুনার দূষণ সম্ভব, এবং এই পরীক্ষার সংবেদনশীলতা ১০০ শতাংশ নির্ভুল নয়।
১৩ জন রোগীকে ছাড়া হলেও ভারতীয় কর্তৃপক্ষ ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে রোগীকে ফের পরীক্ষার নিয়মাবলী কঠোর ভাবে মেনে চলছেন। দুবারের পরীক্ষার ফল নেতিবাচক হলে তবেই রোগীকে ছাড়া হচ্ছে। চিনেও একই পদ্ধতি মেনে চলা হচ্ছে, তবে বিশেষজ্ঞরা প্রশ্ন তুলেছেন সবার ক্ষেত্রে দুবার পরীক্ষা হচ্ছে কিনা। সে দেশে ৮০ হাজারের বেশি রোগী থাকায় কঠোরভাবে নিয়ম মেনে চলা কিছুটা অসুবিধাজনক।