গত এক সপ্তাহের মধ্যে চতুর্থবার ভারতে করোনাভাইরাস সংক্রমণের সংখ্যায় নতুন রেকর্ড হল শনিবার। সারা দেশ থেকে মোট ১৮০৮ জনের সংক্রমণর খবর এসেছে, যা মাত্র দুদিন আগের ১৬৯৭ জনের রেকর্ডের চেয়ে ১০০-রও বেশি।
শনিবার সন্ধের হিসেবে ভারতে করোনার নিশ্চিত সংক্রমণ ২৬,১৮০-তে পৌঁছিয়েছে। এর মধ্যে মহারাষ্ট্র ও গুজরাটেই সংক্রমণ সংখ্যায় বেশি। এই দু রাজ্যেই সংক্রমণ সবচেয়ে দ্রুতগতিতে বাড়ছে।
বাংলার পথে হেঁটেই করোনায় মৃত্যুর ‘অডিট’ একাধিক রাজ্যে
মহারাষ্ট্র শনিবার ৮১১ জনের নতুন সংক্রমণ ধরা পড়েছে, যা সে রাজ্যেও নতুন রেকর্ড। মহারাষ্ট্রে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা ৭৬২৮। রাজ্যের ১০৬৭ জন সুস্থ হবার পর এখন মোট সংক্রমিত ৬৫৫২।
অন্যদিকে গুজরাটে ২৪৬ জন শনিবার সংক্রমিত হয়েছেন। সে রাজ্যে শনিবারের সংক্রমণের পরিমাণ ৩০৬১।
মহারাষ্ট্র ও গুজরাট দু রাজ্যে গত এক সপ্তাহে সংক্রমণের পরিমাণ দ্বিগুণ বেড়েছে। মহারাষ্ট্রে গত ১৮ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহে ১০৯ গুণ বেশি বেড়েছে, গুজরাটে ওই সময়কালে বৃদ্ধির হার ১২২ শতাংশ।

এক মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা লকডাউনে দেশের মধ্যে চারটি ধারা দেখা গিয়েছে। এর মধ্যে স্বল্প সংখ্যক কিছু রাজ্যে নতুন কোনও সংক্রমণ ধরা পড়েনি, এবং যাঁরা অসুস্থ হয়েছিলেন তাঁদের বড় অংশই সেরে উঠেছেন। এর মধ্যে গোয়া, মণিপুর, মিজোরাম, লাদাখ এবং আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ রয়েছে।
উপসর্গবিহীনরা কতদূর কোভিড-১৯ সংক্রমণ ছড়াতে পারেন?
দ্বিতীয় আরেকটি অংশে, হিমাচল প্রদেশ, ঝাড়খণ্ড, ছত্তিসগড় অথবা উত্তরাখণ্ডের মত রাজ্যগুলিতে একটা দুটো করে নতুন সংক্রমণের ঘটানা ঘটছে। এ রাজ্যগুলিতে সংখ্যাটা এখনও ১০০-র নিচে এবং তাদের সংখ্যা বাড়ছে খুব সামান্য করে।

এছাড়া বেশ কিছু রাজ্য রয়েছে যাদের করোনাভাইরাস রোগীর সংখ্যা বেশ বেশি, যেমন পাঞ্জাব ও হরিয়ানায় সংক্রমিতের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বাড়লেও তাতে বিরাট কোনও উল্লম্ফন নেই। কেরালা, কর্নাটক এবং জম্মু-কাশ্মীরও এই বিভাগেই পড়বে। এই রাজ্যগুলিতে নতুন সংক্রমণের সংখ্যা আয়ত্তের মধ্যেই রয়েছে।
এরপর রয়েছে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণবৃদ্ধি ঘটছে যে রাজ্যগুলি, যারা ভারতের সংক্রমণের পরিমাণ বাড়াচ্ছে। এর মধ্যে পড়ছে মহারাষ্ট্র, গুজরাট, রাজস্থান, দিল্লি, উত্তর প্রদেশে ও মধ্যপ্রদেশ। প্রতিদিনের সংখ্যায় এই রাজ্যগুলির অবদান ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ। অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, ও তামিলনাড়ু এই রাজ্যগুলিও এর মধ্যেই পড়ছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন