শনিবার ওড়িশায় মাত্র সাতটি সংক্রমণের খবর ছিল, সেখানে রবিবার ৮৩ জনের সংক্রমণের খবর এসেছে যা এখনও পর্যন্ত সর্বাধিক। এঁদের প্রায় সকলেই ভিন রাজ্য থেকে ফেরা পরিযায়ী শ্রমিক বা তাঁদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিরা।
শনিবার ওড়িশায় মাত্র সাতটি সংক্রমণের খবর ছিল, সেখানে রবিবার ৮৩ জনের সংক্রমণের খবর এসেছে যা এখনও পর্যন্ত সর্বাধিক। এঁদের প্রায় সকলেই ভিন রাজ্য থেকে ফেরা পরিযায়ী শ্রমিক বা তাঁদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিরা।
মহারাষ্ট্রে মৃত্যুর সংখ্যা ৮৩২, যা সারা দেশের মোট মৃত্যুর ৩৭ শতাংশ
নতুন সংক্রমণ কয়েকদিন ধরে কিছুটা কমছিল, রবিবার তার উল্টো ছবি দেখা গেল। এদিন ৪৩০০ জনের নতুন সংক্রমণ ধরা পড়েছে, এতদিনের মধ্যে একদিনে সর্বাধিক। মহারাষ্ট্রে এই সংখ্যাটা ২০০০-এর কাছাকাছি, তামিলনাড়ুতে ৬৫০-এর উপরে।
Advertisment
গত দুদিন ধরে মহারাষ্ট্রে মৃত্যু ঘটছিল ১০০ জনের উপরে। এখন এ রাজ্যে মৃত্যুর সংখ্যা ৮৩২, যা সারা দেশের মোট মৃত্যুর ৩৭ শতাংশ।
রবিবার যেসব রাজ্যগুলি থেকে অধিকাংশ সংক্রমণের খবর এসেছে
Advertisment
একদিকে মহারাষ্ট্র, গুজরাট, দিল্লি ও তামিলনাড়ু তাদের এতদিনকার প্রবণতা বহন করে চলেছে, তেমন ওড়িশা উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে,যদিও তাদের রাজ্যে নিশ্চিত সংক্রমণের সংখ্যা এই মুহূর্তে ৪০০-র নিচে। শনিবার ওড়িশায় মাত্র সাতটি সংক্রমণের খবর ছিল, সেখানে রবিবার ৮৩ জনের সংক্রমণের খবর এসেছে যা এখনও পর্যন্ত সর্বাধিক। এঁদের প্রায় সকলেই ভিন রাজ্য থেকে ফেরা পরিযায়ী শ্রমিক বা তাঁদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিরা।
সবচেয়ে পীড়িত গঞ্জাম জেলায় রবিবার ১৩৭ জনের নতুন সংক্রমণ ধরা পড়েছে, অন্যদিক এতদিন সংক্রমণ শূন্য আঙ্গুল জেলায় একদিনে ১৫ জনের সংক্রমণের হদিশ মিলেছে। অন্য যেসব জেলার অবস্থা খারাপ, তার মধ্যে রয়েছে খুরদা, বালাসোর, ভদ্রক ও জাজপুর। অন্য রাজ্য থেকে ফেরত আসা শ্রমিকদের জন্য বাধ্যতামূলক কোয়োরান্টিনের দিন ১৪ থেকে বাড়িয়ে ২৮ করা হয়েছে, যাঁরা বিভিন্ন সেন্টারে রয়েছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে এই সংখ্যা ২১ দিন।
রবিবার বিহারেও সংক্রমণের ব্যাপকতা দেখা গিয়েছে, রবিবার ৮৫ জনের নতুন সংক্রমণের খবর এসেছে। রাজ্যে এখন ৬৯৬ জনের নিশ্চিত সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। রবিবার এ রাজ্য থেকে ষষ্ঠ মৃত্যুর খবর এসেছে।
ইতিমধ্যে মৃত্যুসংখ্যায় গরমিলের ব্যাপারে হাসপাতালগুলির উপর দায়ভার ঠেলে দিয়েছে দিল্লি সরকার, হাসপাতালগুলিকে সমস্ত মৃত্যুর সংখ্যা যথাসময়ে জানাতে বলা হয়েছে। শহরে মৃত্যুর সংখ্যা কম করে দেখাচ্ছে দিল্লি সরকার, এরকম একটা সন্দেহ মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে, কারণ সরকারি তথ্য যা বলছে এবং হাসপাতালগুলি থেকে যা রিপোর্ট পাওয়া যাচ্ছে তার মধ্যে বিস্তর ফারাক থাকছে।
সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলির প্রধানকে দেওয়া এক চিঠিতে দিল্লি সরকার বলেছে সময়মত এবং নিয়মিত রিপোর্ট না দেওয়ার ফলে ভুল ও বিলম্বিত তথ্য পরিবেশিত হচ্ছে। তিন দিন আগে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস দেখিয়েছিল, দিল্লি সরকারের বুলেটিনে ততদিন পর্যন্ত মাত্র ৬৬ জনের মৃত্যুর খবর দেওয়া হলেও শহরের ৫টি বড় হাসপাতাল থেকেই ১১৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন