কর্মক্ষেত্রে কোভিড ১৯ সংক্রমণ ছড়ানো আটকাতে বেশ কিছু নির্দেশিকা জারি করেছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। সোমবারের জারি করা ওই নির্দেশিকা ৩১ মে পর্যন্ত মান্য। এই নির্দেশিকায় অফিসে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত হাজিরার অনুমতি দেওয়া হয়েছে, তবে যতদূর সম্ভব বাড়ি থেকে কাজ করতে বলা হয়েছে।
প্রতিষেধক পদক্ষেপ
কর্মচারী ও দর্শনার্থীদের যা মেনে চলতে হবে
১. সর্বদা অন্তত ১ মিটারের শারীরিক দূরত্ব
২. মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক
৩. ৪০-৬০ সেকেন্ড সময় ধরে মাঝেমাঝেই হাত ধোয়া, এবং অ্যালকোহল বেসড স্যানিটাইজারে অন্তত ২০ সেকেন্ড ধরে হাত সাফ করা, সে হাত বাহ্যত নোংরা না দেখালেও
৪. হাঁচি বা কাশির সময়ে টিস্যু, রুমাল, বা হাত ভাঁজ করে রাখা এবং টিস্যু ঠিকমত নষ্ট করে ফেলা
৫. নিজের স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং কোনও অসুস্থতা বোধ করলে সঙ্গে সঙ্গে তা জানানো
আরও পড়ুন: ফল বা সবজির গায়ে স্যানিটাইজার দেবেন না!
অফিসের তরফে প্রতিষেধক
যেসব কর্মী অসুস্থ বোধ করছেন বা যাঁদের মধ্যে ফ্লুয়ের উপসর্গ দেখা যাচ্ছে, তাঁদের অফিস না আসার পরামর্শ দেওয়া এবং স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের পরামর্শ নেওয়া। এ ছাড়া, কনটেনমেন্ট জোনে বসবাস করার জন্য কোনও কর্মচারী যদি হোম কোয়ারান্টিনের অনুরোধ করেন, সেক্ষেত্রে তাঁকে বাড়ি থেকে কাজ করার ছাড় দেওয়া উচিত।
অফিসে কেউ পজিটিভ হলে কী করা হবে?
যদি একই ঘর বা বদ্ধ জায়গায় একাধিক জন কাজ করেন, তাঁদের মধ্যে কারও কোভিড-১৯ এর উপসর্গ দেখা দিলে নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি মেনে চলতে হবে:
অসুস্থ ব্যক্তিকে কর্মক্ষেত্রে একটি পৃথক জায়গায় রাখুন। যতক্ষণ না ডাক্তার পরীক্ষা করছেন, ততক্ষণ মাস্ক দিন।
সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রীয় বা রাজ্য স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষকে রিপোর্ট করুন। ১০৭৫ হেল্পলাইনে তৎক্ষণাৎ জানান।
ওই ব্যক্তি যদি মাঝারি বা ব্যাপকভাবে সংক্রমিত হন, তাহলে কেন্দ্রীয় নির্দেশিকা অনুসারে কাজ করুন।
আরও পড়ুন: লকডাউন ৪.০ – কী কী ছাড় মিলল
সংশ্লিষ্ট জেলার সংক্রমিতদের তালিকা তৈরি করার দল রয়েছে। তারা কনট্যাক্ট ট্রেসিং ও কর্মক্ষেত্র জীবাণুমুক্ত করবে।
যদি একটি বা দুটি ক্ষেত্রে সংক্রমণ দেখা যায়, তাহলে সেখানে রোগী যেসব জায়গায় গিয়েছেন, সে জায়গাগুলি জীবাণুমুক্ত করলেই চলবে। তার পর ফের কাজ শুরু করা যেতে পারে। তবে বড় সড় সংক্রমণ হলে গোটা বাড়ি জীবাণুমুক্ত করার পর ৪৮ ঘণ্টার জন্য বন্ধ করতে হবে। সমস্ত কর্মীরা বাড়ি থেকে এই সময়ে কাজ করবেন।
জীবাণুমুক্তির প্রক্রিয়া কী?
ইনডোরের ক্ষেত্রে: সরকারি স্পেস, কনফারেন্স রুম, সন্ধেবেলা বা সকালে কাজ শুরুর আগে বা পরে জীবাণুমুক্ত করতে হবে। যদি সারফেস বাহ্যত নোংরা থাকে, তাহলে তা জল ও সাবান দিয়ে সাফ করতে হবে, তারপর জীবাণুমুক্ত করতে হবে। সাফ করার আগে কর্মীকে ডিসপোজেবল রাবার বুট, হেভি ডিউটি গ্লাভস, এবং ত্রিস্তরীয় মাস্ক পরতে হবে।
আউটডোর: এখানে ঝুঁকি কম, যেহেতু বাতাসের বহমানতা ও সূর্যালোক থাকে। এর মধ্যে বাস স্টপেজ, রেলওয়ে প্ল্যাটফর্ম, পার্ক, রাস্তা রয়েছে।
পাবলিক টয়লেট: শৌচাগারের কর্মীরা টয়লেটের জন্য আলাদা ও সিঙ্ক ও কমোডের জন্য আলাদা ঝাঁটাব্রাশ ব্যবহার করবেন। তাঁদের এই সাফাইয়ের সময়ে ডিসপোজেবল গ্লাভস পরতে হবে।
(PPE) পিপিই: যথাযথ পিপিই সাফাই ও জীবাণুমুক্তরি সময়ে পরতে হবে। ডিজপোজেবল রাবারের বুট, হেভি ডিউটি গ্লাভাস, এবং ত্রিস্তরীয় মাস্ক পরতে হবে। খারাপ হয়ে গেলে দস্তানা ফেলে দিয়ে নতুন দস্তানা পরতে হবে।
সাফাইয়ের কাজ শেষ হয়ে গেলে পিপিই ফেলে দিতে হবে এবং নষ্ট করে দিতে হবে। পিপিই খোলার পর, সাফাইয়ের কাজ শেষ হওয়ার পর ভাল করে হাত ধুতে হবে।
মাস্ক ঠিকমত ফিটিং হলে এবং বিধিমোতাবেক পরলে তবেই কার্যকর। ছিঁড়ে-ফেটে গেলে বা ভিজে গেলে মাস্ক বদলাতে হবে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন