করোনাভাইরাস লকডাউন: দূষণ কমছে চিন ও ইতালিতে

দুই দেশই জনগণের গতিবিধির উপর অভূতপূর্ব নিয়ন্ত্রণ জারি করেছে, যাতে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ছড়িয়ে না পড়ে।

দুই দেশই জনগণের গতিবিধির উপর অভূতপূর্ব নিয়ন্ত্রণ জারি করেছে, যাতে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ছড়িয়ে না পড়ে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Coronavirus, Pollution

করোনাতঙ্কিত কলকাতা শহরে সাইকেলবাহন (ছবি- পার্থ পাল)

সারা পৃথিবীতে করোনাভাইরাস যখন ছড়িয়ে পড়ছে, হাজার হাজার কারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে এবং লক্ষ লক্ষ মানুষ ঘরবন্দি, তার প্রভাব মহাশূন্য থেকেও দৃশ্যমান। যে উপগ্রহ চিত্র থেকে মানুষের বিভিন্ন গতিবিধি বোঝা যায়, যেমন গাড়ির টেলপাইপ থেকে নির্গত ধোঁয়া, পাওয়ার প্ল্যান্টের পোড়া জীবাশ্ম এবং অন্যান্য শিল্পমূলক কাজকর্ম- তাতে দেখা যাচ্ছে চিন ও ইতালিতে দূষণ কমেছে।

Advertisment

দুই দেশই জনগণের গতিবিধির উপর অভূতপূর্ব নিয়ন্ত্রণ জারি করেছে, যাতে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ছড়িয়ে না পড়ে।

২৫ জানুয়ারি সারা পৃথিবীতে মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৪১। সব মৃত্যুই ঘটেছিল চিনে। ১৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সারা পৃথিবীতে মৃতের সংখ্যা পৌঁছয় ১৩৮৩-তে, এঁদের মধ্যে ২ জন ছাড়া বাকি সবাই চিনের। ২৫ জানুয়ারি থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে চিনে প্রতিদিন গড়ে ৬৫ জন করে মারা গিয়েছেন। ১৩ ফেব্রুয়ারি সে দেশে মারা যান ২৫৪ জন। ১৪ ফেব্রুয়ারি সংখ্যাটা কমে দাঁড়ায় ১৩-য়। এর পর থেকে দৈনিক মৃত্যুহারের উপর নিয়ন্ত্রণ এসেছে চিনে।

Advertisment

Coronavirus lockdown: These pictures show how air pollution has dropped in China, Italy উপগ্রহ চিত্রে ফারাক স্পষ্ট

ইতালিতে প্রথম দুজনের মৃত্যু হয় ২৩ ফেব্রুয়ারি। এক সপ্তাহ পর, ১ মার্চে সে সংখ্যাটা একলাফে গিয়ে দাঁড়ায় ২৯-এ। ১০ মার্চ, ৪৬৩ জনের মৃত্যুর পর ইতালির সমস্ত স্কুল কলেজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। ১৫ মার্চ সরকার পুরো দেশে অভূতপূর্ব লক ডাউন কোয়ারান্টাইন চালু করে। মঙ্গলবার ওষুধের দোকান ও সুপারমার্কেট ছাড়া সমস্ত খুচরো সংস্থা বন্ধ করে দেওয়া হয়।

দক্ষিণ কোরিয়ায় লক ডাউন অত তীব্র না হলেও দূষণের মাত্রা কমছে।

Coronavirus lockdown: These pictures show how air pollution has dropped in China, Italy এ ছবি ইতালির। তফাৎ বোঝা যাবে এখানেও

মিলানের বোক্কোনি বিশ্ববিদ্যালয়ের দূষণের গতি ও পরিমাণ হ্রাস প্রসঙ্গে এক বিশেষজ্ঞ মার্কো পেরকোকোর কথায়, ইতিহাসে এই প্রথমবার আমরা এমন কিছু লাইভ দেখছি।

coronavirus