করোনা আক্রান্তদের কী ওষুধ দেওয়া হচ্ছে?

এই ভাইরাসে মৃত্যুর হার ৩ শতাংশের সামান্য বেশি, এবং অধিকাংশ রোগীর ক্ষেত্রে তাঁদের নিজেদের রোগ প্রতিরোধক ব্যবস্থাই রোগের মোকাবিলা করতে সক্ষম।

এই ভাইরাসে মৃত্যুর হার ৩ শতাংশের সামান্য বেশি, এবং অধিকাংশ রোগীর ক্ষেত্রে তাঁদের নিজেদের রোগ প্রতিরোধক ব্যবস্থাই রোগের মোকাবিলা করতে সক্ষম।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
coronavirus covid 19

ছবি: তাশি তোবগিয়াল, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

প্রথমেই বলে রাখা ভালো, করোনাভাইরাসের কোনও নির্দিষ্ট চিকিৎসা হয় না। রোগীর উপসর্গ বিচার করে ওষুধ দেওয়া হচ্ছে - যেমন জ্বর কমানোর জন্য প্যারাসেটামল, কখনও কখনও ব্যথা কমানোর ওষুধ, ইত্যাদি। এবং রোগী যাতে পর্যাপ্ত জল পান, তা দেখা।

Advertisment

এই ভাইরাসে মৃত্যুর হার ৩ শতাংশের সামান্য বেশি, এবং অধিকাংশ রোগীর ক্ষেত্রে তাঁদের নিজেদের রোগ প্রতিরোধক ব্যবস্থাই রোগের মোকাবিলা করতে সক্ষম। উহান-ফেরত কেরালার তিনজন ছাত্র, যাঁরা ছিলেন ভারতের প্রথম তিন করোনা আক্রান্ত, তাঁদের ক্ষেত্রে ঠিক এটাই ঘটেছিল। উপসর্গ-ভিত্তিক চিকিৎসায় ভালোরকম সাড়া দেন তাঁরা, এবং সেরে উঠে বাড়িও ফিরে যান।

নভেল করোনাভাইরাসের মোকাবিলায় দুটি দ্বিতীয় শ্রেণীর এইচআইভি-র ওষুধ "গণস্বাস্থ্যে জরুরিকালীন ব্যবহার" করার অনুমোদন পেয়েছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (ICMR)। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের শীর্ষ আধিকারিকরা জানিয়েছেন, লোপিনাভির (lopinavir) এবং রিটোনাভির (ritonavir) - এই দুটি ওষুধের মিশ্রণ জরুরিকালীন চিকিৎসার ক্ষেত্রে ব্যবহার অনুমোদন করা হয়েছে। তবে দুটি ওষুধের ব্যবহারের জন্যই কিছু নির্দেশিকা গঠিত হয়েছে। আধিকারিকরা জানিয়েছেন যে ওষুধগুলির পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকার ফলে সেগুলি ব্যবহৃত হবে শুধুমাত্র "অসুরক্ষিত"দের ক্ষেত্রে।

Advertisment

অন্যদিকে, গত সপ্তাহে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) মুখ্য বৈজ্ঞানিক ডাঃ সৌম্য স্বামীনাথন ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছিলেন, "চিনে (এই মিশ্রনের) ছোটখাটো কিছু পরীক্ষার ফল নেতিবাচক হয়েছে।"

প্রসঙ্গত, ভারতে ৭০ শতাংশ এইচআইভি-পজিটিভ রোগী প্রথম শ্রেণীর ওষুধ খান। এইসব ওষুধ ভারতেই তৈরি হয় মূলত রপ্তানির জন্য, অধিকাংশই আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে।