বৃহস্পতিবার দেশে ১৭ হাজার নতুন নভেল করোনাভাইরাস সংক্রনণ ধরা পড়ার পর ভারত পাঁচ লক্ষের আরও কাছে পৌঁছে গেল, যা শুক্রবারই অতিক্রান্ত হয়ে যাবে বলে মনে হচ্ছে। এখন সংক্রমণ সংখ্যায় ভারতের আগে শুধু আমেরিকা, ব্রাজিল ও রাশিয়া।
বৃহস্পতিবার ভারতে নিশ্চিত সংক্রমিত ৪.৯ লক্ষ, গত এক সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন ১৫ হাজার সংক্রমণ ধরা পড়ছে, ফলে ৫ লক্ষ আজই ছাড়িয়ে যাবে বলে মনে হচ্ছে। যদি তেমন হয়, তাহলে মাত্র এক সপ্তাহে ভারতে সংক্রমণ সংখ্যা ৫ লক্ষ। এ মাল শুরুর সময়ে ভারতে সংক্রমিতের সংখ্যা ছিল দু লক্ষের কম।
আরও পড়ুন, কোভিড-১৯ টেস্ট- ভারতের ক্রমপরিবর্তনশীল কৌশল
মোট সংক্রমণ গত চারদিন ধরে বাড়ছে, তার আগের এক মাসের বেশি সময় ধরে এই সংখ্যা ছিল কমতির দিকে। ২১ জুন বৃ্দ্ধিহার ছিল সবচেয়ে কম, ৩.৫৯ শতাংশ, তার পরেই বৃদ্ধি হতে থাকে। বৃহস্পতিবার তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩.৬৭ শতাংশে। এরই সঙ্গে দ্বিগুণত্বের হার ২০ দিন থেকে কমে এখন ১৯.৬৩ দিন।
দিল্লি, তামিলনাড়ু, হরিয়ানা, তেলেঙ্গানা এবং অন্ধ্রপ্রদেশেই মূলত এই বৃদ্ধি হচ্ছে। তবে বৃহস্পতিবার মহারাষ্ট্রও অধিক নয়া সংক্রমণের তালিকায় যুক্ত হয়েছে। মহারাষ্ট্রে দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংক্রমিত হওয়া সত্ত্বেও গত বেশ কয়েকদিন ধরে সেখানে নতুন সংক্রমণ কম দেখা যাচ্ছিল, কিন্তু বৃহস্পতিবার সেখানে ৪৮৪১ জনের নতুন সংক্রমণ ধরা পড়েছে।
স্বাস্থ্য আধিকারিকরা বলছেন টেস্টের সংখ্যাবৃদ্ধি এই সংক্রমণ সংখ্যার আধিক্যের কারণ হতে পারে। গত ১০ দিন ধরে গড়ে ১৭ হাজার নমুনা দৈনিক সংগৃহীত হয়েছে, যা কয়েকদিন আগের ১৩ থেকে ১৪ হাজারের চেয়ে সামান্য বেশি।
বৃহস্পতিবার রাজ্যে মোট ২৪ হাজার নমুনা পরীক্ষিত হয়েছে। দিল্লিতে গত এক সপ্তাহে দৈনিক ২৩ হাজারের বেশি নমুনা সংগৃহীত হয়েছে, এই সংখ্যাবৃদ্ধির কারণে সংক্রমণ সংখ্যায় বৃদ্ধি দেখা যেতে পারে। শহরে এখন প্রতিদিন ১৫ থেকে ১৯ হাজার নমুনা পরীক্ষা হচ্ছে।
তেলেঙ্গানাতেও একই ঘটনা ঘটছে, যেখানে গত ১০ দিন ধরে প্রতিদিন ৩ থেকে সাজ়ে তিন হাজার পরীক্ষা হচ্ছে, আগে যে সংখ্যা ছিল ৫০০-রও কম।
মুম্বই ও পুনেতে নতুন অনুমোদিত অ্যান্টিজেন পরীক্ষা শুরু হচ্ছে, ফলে সেখানেও সংখ্যাবৃদ্ধি দেখা যেতে পারে। দুই শহরেই এক লক্ষ অ্যান্টিজেন কিটের অর্ডার দেওয়া হয়েছে, যাতে তারা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়াতে পারে।
ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মহারাষ্ট্র, তেলেঙ্গানা ও গুজরাটে টেকনিক্যাল টিম পাঠানো হবে, যারা কীভাবে রোগ ছড়ানো আটকানো যায় সে ব্যাপারে পরামর্শ দেবে। দিল্লির আধিকারিকরা বলছেনতেলেঙ্গানায় টেস্টিং সংখ্যা কম হওয়া উদ্বেগের বিষয়, অন্যদিকে মহারাষ্ট্রে অধিক সংখ্যক মৃত্যুকেও নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে।
সংক্রমণে শীর্ষ ১০ রাজ্য
রাজ্য |
মোট পজিটিভ |
নতুন সংক্রমণ |
মোট আরোগ্য |
মৃত্যু
|
মহারাষ্ট্র |
১৪৭৭৪১ |
৪৮৪১ |
৭৭৪৫৩ |
৬৯৩১ |
দিল্লি |
৭৩৭৮০ |
৩৩৯০ |
৪৪৭৬৫ |
২৪২৯ |
তামিলনাড়ু |
৭০৯৭৭ |
৩৫০৯ |
৩৯৯৯৯ |
৯১১ |
গুজরাট |
২৯৫৭৮ |
৫৭৭ |
২১৫০৬ |
১৭৫৪ |
উত্তরপ্রদেশ |
২০১৯৩ |
৬৩৬ |
১৩১১৯ |
৬১১ |
রাজস্থান |
১৬১৮৩ |
২৮৭ |
১২৭২৭ |
৩৭৯ |
পশ্চিমবঙ্গ |
১৫৬৪৮ |
৪৭৫ |
১০১৯০ |
৬০৬ |
মধ্যপ্রদেশ |
১২৫৯৫ |
১৪৭ |
৯৬১৯ |
৫৪২ |
হরিয়ানা |
১২৪৬৩ |
৪৫৩ |
৭৩৮০ |
১৯৮ |
অন্ধ্রপ্রদেশ |
১০৮৮৪ |
৫৫৩ |
৪৯৮৮ |
১৩৬ |