গত এক সপ্তাহে কেরালায় নতুন ৩০০ জনের সংক্রমণ ধরা পড়ার পর কেরালায় সংক্রমণ বৃদ্ধির হার জাতীয় গড়ের চেয়ে বেশি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত কেরালা রোগ নিয়ন্ত্রণে দারুন সাফল্য দেখিয়েছিল, কিন্তু দেশের মধ্যের অন্যত্র ও বিদেশ থেকে লোক আসা শুরু হওয়ার পরেই এই সংখ্যার ব্যাপক বৃদ্ধি ঘটেছে।
গত এক সপ্তাহে রাজ্যে নিশ্চিত সংক্রমণের পরিমাণ ৬৬৬ থেকে বেড়ে ১০০৩-এ পৌঁছিয়েছে। অর্থাৎ সংক্রমণে দ্বিগুণত্বের হার এখন এ রাজ্যে ১২ দিনের নিচে। জাতীয় স্তরে এই হার বর্তমানে ১৪ দিন।
মে মাসের মাঝামাঝি নাগাদ কেরালায় দ্বিগুণত্বের হার ছিল ১০০ দিনের বেশি। এই সময়ে বেশ কিছুদিন দিনে একটি সংক্রমণের ঘটনাও ঘটেনি। এ রাজ্যে আক্রান্তদের ৯০ শতাংশ সুস্থ হয়ে গিয়েছেন। এবং এখানে মাত্র তিনজনের মৃত্যু ঘটায় সংক্রমণে মৃতের হার যেসব রাজ্যে বেশি সংখ্যক সংক্রমিত ছিল, তাদের মধ্যে সর্বনিম্ন।
কিন্তু বিদেশে আটকে পড়া কেরালাবাসীরা ফিরতে শুরু করার পর এবং লকডাউন শিথিল হওয়ায় যাঁরা বিভিন্নভাবে ফিরতে শুরু করেছেন, তাঁদের আগমনের পর থেকে কেরালায় নতুন সংক্রমণ ক্রমাগত বাড়ছে।
আসামেও কেরালার মতই পরিস্থিতি। সেখানে সংক্রমিতের সংখ্যা গত এক সপ্তাহে ১৭০ থেকে ৭৭৪-এ পৌঁছিয়েছে।
তবে সবচেয়ে দ্রুত বৃদ্ধিহার কোনও রাজ্যে ঘটছে না। যাঁরা কোনও রাজ্যের আওতায় পড়ছেন না, তাঁদের মধ্যেই সংক্রমণ বৃদ্ধির হার সবচেয়ে বেশি। এঁরা পজিটিভ হলেও কোনও রাজ্যই এঁদের দায়িত্ব নিতে চাইছেন না, তার প্রধান কারণ হল, এঁরা হয় এখনও পথিমধ্যে রয়েছেন, নয়ত যেখানে তাঁরা সংক্রমিত হয়েছেন, তা তাঁদের স্বাভাবিক বাসস্থান নয়।
এই সংখ্যা ৪ হাজারের বেশি, এবং সংখ্যাটা দ্রুত গতিতে বাড়ছে। এঁরা কালক্রমে কোনও না কোনও রাজ্যের আওতায় আসবেন, এবং তখন সে রাজ্যে এই সংখ্যা যুক্ত হবে। কিন্তু বর্তমানে কোনও রাজ্যই এঁদের দায়িত্ব নিতে চাইছে না, তাদের রাজ্যে সংক্রমিতের সংখ্যাবৃদ্ধির আশঙ্কায়।
বুধবার আরও একবার সারা দেশে নতুন সংক্রমিত ৭০০০-এর বেশি। সারা দেশে সংক্রমিত ১.৫৮ লক্ষ, এঁদের মধ্যে ৬৫ হাজার সুস্থ হয়ে গিয়েছেন।
দিল্লিতে ৭৯২ জনের নতুন সংক্রমণ ধরা পড়েছে, এ যাবৎ সর্বোচ্চ। দিল্লি এখন গুজরাটকে ছাড়িয়ে শীর্ষ সংক্রমিত রাজ্যগুলির মধ্যে তৃতীয়। দিল্লিতে এখন নিশ্চিত সংক্রমিতের সংখ্যা ১৫২৫৭, অন্যদিকে গুজরাটে গত দু সপ্তাহে সংক্রমণের গতি শ্লথ হওয়ায় সেখানে এখন সংক্রমিত ১৫১৯৫। তবে গুজরাটে মৃত্যুর সংখ্যা বেশি। সে রাজ্যে এ পর্যন্ত ৯৩৮ জনের মৃত্যু ঘটেছে, দিল্লিতে মারা গিয়েছেন ৩০৩ জন। তামিলনাড়ুতে সামান্য বেশি সংক্রমণ সংখ্যা হলেও সেখানে এখনও পর্যন্ত মাত্র ১৩৩ জনের মৃত্যু ঘটেছে।