সারা দেশে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা হ্রাস, কারণ অস্পষ্ট

আসাম, ত্রিপুরা, কেরালা, গোয়া, উত্তরাখণ্ড, পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড, বিহার, জম্মুকাশ্মীর, কর্নাটক, নাগাল্যান্ড, অরুণাচলপ্রদেশ, এসব জায়গা থেকই এখন প্রতিদিন বড়সংখ্যক নতুন সংক্রমণের খবর আসছে।

আসাম, ত্রিপুরা, কেরালা, গোয়া, উত্তরাখণ্ড, পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড, বিহার, জম্মুকাশ্মীর, কর্নাটক, নাগাল্যান্ড, অরুণাচলপ্রদেশ, এসব জায়গা থেকই এখন প্রতিদিন বড়সংখ্যক নতুন সংক্রমণের খবর আসছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Coronavirus Infection Number Fall

সারা দেশে গত কয়েকদিন ধরে সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী

সোমবার দেশে করোনাসংক্রমণের নতুন সংখ্যা ব্যাপক হ্রাস পেয়েছে, কেন তার কারণ স্পষ্ট নয়। জম্মুকাশ্মীরে রবিবার ৬০০-র বেশি সংক্রমণ ধরা পড়েছিল, সোমবার সেখানে ১৯৮টি সংক্রমণ ধরা পড়ার খবর এসেছে যা স্বাভাবিকের চেয়ে কম। দিল্লি ও মহারাষ্ট্র থেকেও কম সংক্রমণের খবর এসেছে।

Advertisment

কিন্তু মূল তফাৎ ধরা পড়েছে কোনও তালিকাভুক্ত নন এমন রোগীর সংখ্যাহ্রাসে। কোনও রাজ্যই এঁদের দায়িত্ব নিচ্ছিল না, এবং সে সংখ্যাটা গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ক্রমশ বাড়ছিল। রবিবার এই সংখ্যা পৌঁছয় ৮৬০৫-এ। সোমবার সংখ্যাটা কমে দাঁড়িয়েছে ৭৮৩৭-এ, অর্থাৎ অন্তত ৭৬৮ জনকে কোনও না কোনও রাজ্য স্বীকার করেছে। কিন্তু কোন রাজ্য বা কোন কোন রাজ্য তাঁদের গ্রহণ করেছে তা স্পষ্ট নয়। কোনও রাজ্যেই সোমবারের সংখ্যায় অস্বাভাবিক বৃদ্ধি দেখা যায়নি।

এর ফলে সোমবার নতুন সংক্রমণের সংখ্যা ৮৬০০-র কিছু ওপরে। এত কম সংখ্যা গত সপ্তাহে একদিনও ছিল না। গত ৪ দিন ধরে প্রতিদিন দেশে নতুন ১০ হাজারের বেশি সংক্রমণ ধরা পড়ছিল। তার আগে সংখ্যাটা ছিল ৯ থেকে ১০ হাজারের মধ্যে।

যেসব ওষুধ নিয়ে কোভিডের সঙ্গে লড়াই করছে ভারত

Advertisment

মে মাসের মাঝামাঝি থেকে তালিকাভুক্ত নয় এমন রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকে, গণচলাচলে শিথিলতা জারি হওয়ার পর থেকে। পরিযায়ী শ্রমিকদের একাংশ পজিটিভ হলেও তাঁদের অনেককেই কোনও নির্দিষ্ট রাজ্যের সংখ্যায় যুক্ত করা হচ্ছিল না, না তাঁদের বসবাসকারী রাজ্য না তাঁরা যে জায়গায় সংক্রমিত হয়েছেন, সেইসব রাজ্য। এই সংখ্যা গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ব্যাপক বাড়ছিল এবং সোমবার প্রথম এই সংখ্যাটা কমেছে।

দিল্লিতে এতদিন দৈনিক ১৩০০ থেকে ১৫০০ সংক্রমণ ধরা পড়ছিল, সোমবার মাত্র হাজারখানেক সংক্রমণ ধরা পড়েছে এবং তাও মোট সংখ্যাহ্রাসে সাহায্য করেছে। জম্মু-কাশ্মীরের ক্ষেত্রেও এমনটাই ঘটেছে, যেখানে রবিবার অস্বাভাবিক সংখ্যাবৃদ্ধি ঘটেছিল।

সংক্রমণে শীর্ষ ১০ রাজ্য

রাজ্যমোট পজিটিভনতুন সংক্রমণমোট আরোগ্যমৃত্যু
মহারাষ্ট্র৮৮৫২৮২৫৫৩৪০৯৭৫৩১৬৯
তামিলনাড়ু৩৩২২৯১৫৬২১৭৫২৭২৮৬
দিল্লি২৯৯৪৩১০০৭১১৩৫৭৮৭৪
গুজরাট২০৫৭৪৪৭৭১৩৯৬৪১২৮০
উত্তরপ্রদেশ১০৯৪৭৪১১৬৩৪৪২৮৩
রাজস্থান১০৭৬৩২৭৭৮০০৪২৪৭
মধ্যপ্রদেশ৯৬৩৮২৩৭৬৫৩৬৪১৪
পশ্চিমবঙ্গ৮৬১৩৪২৬৩৪৬৫৪০৫
কর্নাটক৫৭৬০৩০৮২৫১৯৬৬
বিহার৫২৪৭১৭৭২৫৪২৩১

এখন যেহেতু গণচলাচল অনুমোদিত ও আর্থিক কাজকর্ম শুরু হয়ে গিয়েছে ফলে সারা দেশে গত কয়েকদিন ধরে সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী, কেবল মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, গুজরাট, দিল্লি ও অন্য কয়েক জায়গাতেই তা সীমাবদ্ধ নেই।

আসাম, ত্রিপুরা, কেরালা, গোয়া, উত্তরাখণ্ড, পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড, বিহার, জম্মুকাশ্মীর, কর্নাটক, নাগাল্যান্ড, অরুণাচলপ্রদেশ, এসব জায়গা থেকই এখন প্রতিদিন বড়সংখ্যক নতুন সংক্রমণের খবর আসছে। এর ফলে সারা দেশে ভৌগোলিকভাবে প্রায় একই রকমভাবে রোগ ছড়াচ্ছে এবং আগামী দিনে এ ব্যাপারটাই আরও সন্নিবিষ্ট হবে।

coronavirus