করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব আটকাতে সারা পৃথিবীর বেশ কিছু সংস্থা তাদের কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজ করতে বলেছে। ৩ মার্চ ক্রিপটোকারেন্সি বিনিময় সংস্থা কয়েনবেস-এর সিইও ব্রায়ান আর্মস্ট্রং টুইটারে একটি পোস্ট করেন। তাতে তিনি লেখেন, আমরা কিছু কর্মীদের এই সপ্তাহ থেকে বাড়ি থেকে কাজ শুরু করতে বলেছি। টেক সংস্থা গুগলও তাদের হেডকোয়ার্টার ডাবলিনের কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজ করতে বলেছে। তাঁদের একজন কর্মীর ফ্লুয়ের মত কিছু লক্ষণ দেখা যাবার পরেই এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
Advertisment
একইভাবে টুইটারও সারা পৃথিবীর ৫০০০ কর্মীকে অফিস আসতে বারণ ক রেছে। হংকং, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার টুইটার কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজ করা বাধ্যতামূলক করে দেওয়া হয়েছে। গুগল, আমাজন, অ্যাপেল, স্পটিফাই ও উবেরও কাদের কর্মীদের জন্য একই রকম নির্দেশিকা জারি করেছে।
ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনও সম্ভব হলে লোকদনকে বাড়ি থেকে কাজ করার পরামর্শ দিয়েছেন।
বাড়ি থেকে কাজের সুবিধে-অসুবিধে
টুইটার সংস্থার পিপিলস টিম লিড জেনিফার ক্রিস্টি এক ব্লগ পোস্টে বাড়ি থেকে কাজের ব্যাপারে কয়েকটি দিকের উল্লেখ করেছেন। তিনি লিখেছেন, "বাড়ি থেকে কাজের মানে দৈনন্দিন কাজের বদল নয়, এর অর্থ ভিন্ন পরিবেশে কাজ করা।"
বাফার নামের এক ব্র্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সংস্থা তাদের ২০২০ সালের এক রিপোর্টে দেখিয়েছে, ৯৮ শতাংশ উত্তরদাতা বাড়ি থেকে কাজের ব্যাপারে সম্মত, ২০ শতাংশ বলেছেন সমন্বয় ও যোগাযোগ এবং একাকিত্ব বাড়ি থেকে কাজের ব্যাপারে বড় চ্যালেঞ্জ।
অন্যদিকে যাঁরা বাড়ি থেকে কাজ করছেন, তাঁরা খুব খুশি কারণ নিজেদের কাজের ৭৬ শতাংশ সময় তাঁরা কাজের পিছনে ব্যয় করছেন। তাঁরা মনে করছেন যাতায়াত করতে না হওয়া এবং কাজের সময় এদিক ওদিক করতে পারা বাড়ি থেকে কাজের অন্যতম সুবিধা। ৫৭ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছেন, পুরো সময় কাজের পিছনে দিতে পারছেন তাঁরা।
নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক নিবন্ধে গত ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে কাজ করা জেন এ মিলার বলেছেন, যাঁরা বাড়ি থেকে কাজ করার ব্যাপারে অবগত নন, তাঁদের পক্ষে জরুরি হল অফিসে গিয়ে কাজের যে সময়সীমা, সেই একই সময়সীমা বাড়ি থেকে কাজের জন্যও বরাদ্দ রাখা। বিকতি নেওয়া, আইসোলেশনের জন্য প্রস্তুতি এবং সময়মত কাজ বন্ধ করাও গুরুত্বপূর্ণ, বলেছেন তিনি।
অতিমারীর কারণে যে বাড়ি থেকে কাজ করতে হচ্ছে, তা নতুন কিছু সমস্যার জন্ম দিয়েছে। কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য সারা পৃথিবীতে সংস্থাগুলিকে সফটওয়ার ও কম্পিউটারের উপর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য এখন সার্ভার সহ ডেটা সেন্টারের খোঁজ করতে হচ্ছে। চাহিদা অধিক বৃদ্ধির জন্য সার্ভারের যন্ত্রাংশের দাম বাড়েত শুরু করেছে।