বাস্তুচ্যুত, অভিবাসী, আশ্রয়প্রার্থীদের কী হবে?

এঁদের স্বাস্থ্যের প্রথম পরীক্ষা হওয়া উচিত প্রথম পৌঁছনোর জায়গা বা সীমান্তে। এই গাইডলাইনে স্ক্রিনিংয়ের মধ্যে শুধু জ্বর মাপবার কথা বলা হয়নি।

এঁদের স্বাস্থ্যের প্রথম পরীক্ষা হওয়া উচিত প্রথম পৌঁছনোর জায়গা বা সীমান্তে। এই গাইডলাইনে স্ক্রিনিংয়ের মধ্যে শুধু জ্বর মাপবার কথা বলা হয়নি।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Coronavirus, Refugee

ছবি- তাশি তবগিয়াল

করোনাভাইরাসের প্রকোপ যখন ক্রমবর্ধমান, সে সময়ে সবচেয়ে সমস্যায় পড়েছেন শিবির ও শিবির জাতীয় আস্তানাবাসী মানবিক সংকটে ভোগা মানুষজন। ১৭ মার্চ হু, রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার পরিষদ, ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অফ রেড ক্রস এবং ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন এক যৌথ নির্দেশিকা তৈরি করেছে। তাতে বলা হয়েছে, সাধারণ মানুষজনের মধ্যে যে স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রাপ্য, তা এঁদের কাছ পাওয়া সমস্যার হতে পারে। আভ্যন্তরীণভাবে যাঁরা বাস্তুচ্যুত, যাঁরা আশ্রয়প্রার্থী, উদ্বাস্তু ও অভিবাসীদের কথা উল্লেখ করা হয়েছে ওই নির্দেশিকায়।

Advertisment

দুনিয়ার অর্ধেক ছাত্রছাত্রীর পড়াশোনা বন্ধ- এর পর কী হবে?

নির্দেশিকায় কী বলা আছে?

নির্দেশিকা অনুসারে এরকম কোনও স্থানে কোনও কোভিড ১৯ সংক্রমণ নিশ্চয়তার খবর মিললে, রোগীর সংস্পর্শে যাঁরা এসেছেন তাঁদের চিহ্নিত করে যদি তাঁদের কোয়ারান্টিন না করা যায় পা আলাদা না রাখা যায়, তাহলেও ১৪ দিন মনিটর করতে হবে। এর পর তাঁরা যাতে অন্যদের সংস্পর্শে না আসেন তার বন্দোবস্ত করতে হবে, এবং বাসস্থানের অবস্থা বুঝে থাকার জায়গার বন্দোবস্ত পরিবার ভিত্তিক ছাড়া অন্যভাবে করা যায় কিনা, যেমন বিভিন্ন পরিবারের মহিলা ও শিশুরা একসঙ্গে শুতে পারেন কিনা তা দেখতে হবে।

Advertisment

এই নির্দেশিকায় কমিউনিটি ভিত্তিক নজরদারির কথা বলা হয়েছে, যার মাধ্যমে এলাকার বাসিন্দারা এবং আশ্রয়দাতা কমিউনিটির বাসিন্দারা কোভিড ১৯ সংক্রমণের প্রাথমিক নির্ণয়ে সাহায্য করতে পারেন।
এরকম ক্ষেত্রে এঁদের স্বাস্থ্যের প্রথম পরীক্ষা হওয়া উচিত প্রথম পৌঁছনোর জায়গা বা সীমান্তে। এই গাইডলাইনে স্ক্রিনিংয়ের মধ্যে শুধু জ্বর মাপবার কথা বলা হয়নি, বলা হয়েছে ডায়াগনোস্টিক ও প্রাথমিক ক্লিনিক্যাল ম্যানেজমেন্টের কথাও।

এরকম ক্ষেত্রে নমুনা পরীক্ষা কোথায় হবে?

এরকম প্রতিটি ক্ষেত্রের জন্য একটি রেফারেল ল্যাবরেটরি চিহ্নিত করা প্রয়োজন। নিরাপদে নমুনা সংগ্রহ ও পরিবহণের জন্য জাতীয় বিধি অনুসরণ করে চলতে হবে।

coronavirus