সোমবার ভারতে করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার পরিমাণ এক কোটি ছাড়াল। এ সংখ্যাটা বেশ বড় পরিমাণ হলেও অন্য অনেক দেশের তুলনায় ভারতের নমুনা পরীক্ষা কম।
চিনে এখনও পর্যন্ত সংক্রমণ ৮৫ হাজারের ধারে কাছে রয়ে গিয়েছে, তারা এখনও পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করেছে ৯ কোটি। ওয়ার্লডওমিটার ওয়েবসাইটের পরিসংখ্যান থেকে এই তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। একই সূত্র থেকে দেখা যাচ্ছে আমেরিকায় ৩.৮ কোটি ও রাশিয়ায় ২.১ কোটি পরীক্ষা হয়েছে, এমনকী ব্রিটেনও ভারতের চেয়ে সামান্য এগিয়ে।
এই সব দেশেই নমুনা পরীক্ষা শুরু হয় ভারতের আগে কারণ সেখানে রোগের প্রকোপ দেখা দিয়েছিল দু মাস আগে থেকেই। ভারতে নিয়মিত পরীক্ষা শুরু হয় মার্চের প্রথম সপ্তাহে, প্রথম কয়েকটি সংক্রমণের পর। সে সময়ে ভারতে কেবল পুনের ন্যাশনাল ইনস্টিট্যুট অফ ভাইরোলজিতে এই পরীক্ষা হচ্ছিল, এখন মোট ১১০০ বেশি ল্যাবরেটরি নেটওয়ার্কে এই পরীক্ষা হচ্ছে। প্রতিদিন দু লক্ষের বেশি নমুনা পরীক্ষা হচ্ছে এখন, শুরুতে হচ্ছিল মাত্র কয়েকশ।
তা সত্ত্বেও ভারতের জনসংখ্যার ব্যাপকতার কথা মাথায় রাখলে এ কথা বলতেই হবে যে সংখ্যাটা যথেষ্ট কম। প্রতি ১০ লক্ষে দেশে নমুনা পরীক্ষা ৭৪০০-র কম। আমেরিকায় প্রতি ১০ লক্ষে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১১৫৪৪৯, এবং চিনে ৬২৮১৪। যেহেতু একই ব্যক্তির একাধিকবার নমুনা পরীক্ষা হয়েছে, এবং এই রোগের প্রকোপের শুরু দিকে রোগীদের ডিসচার্জের আগে ফের একবার পরীক্ষা করা হয়েছে সে কারণে জনসংখ্যার হিসেবে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা কম হবে।
দেশে মোট যত নমুনা পরীক্ষিত হয়েছে, তার অর্ধেকই হয়েছে তামিলনাড়ু, মহারাষ্ট্র, অন্ধ্র প্রদেশ, রাজস্থান, ও উত্তর প্রদেশে, প্রথম তিন রাজ্যে ১০ লক্ষের বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে, রাজস্থান ও উত্তরপর্দেশ একই দিকে চেছে। তেলেঙ্গানা, মধ্য প্রদেশ, গুজরাট ও বিহারে এই সংখ্যা সবচেয়ে কম।
সবচেয়ে বেশি পরীক্ষা হয়েছে যেসব রাজ্যে:
রাজ্য
|
মোট পরীক্ষা
|
তামিলনাড়ু |
১৩৭৬৪৯৭ |
মহারাষ্ট্র |
১১৩৫৪৪৭ |
অন্ধ্রপ্রদেশ |
১০৩৩৮৫২ |
রাজস্থান |
৯২০৬০০ |
উত্তর প্রদেশ |
৮৯০০২৬ |
সোমবার ভারতে সংক্রমণের সংখ্যা ৭ লক্ষ পেরোল। গত কয়েকদিনের তুলনায় সোমবার নতুন সংক্রমণের পরিমাণ কম, ২২,২৫০। মহারাষ্ট্র ও তামিলনাড়ু, যে দুই রাজ্যে সংক্রমণ সবতেয়ে বেশি, সেখান থেকে সোমবার অপেক্ষাকৃত কম সংক্রমণের খবর এসেছে। তবে বিস্ময়কর হল দিল্লিতে মাত্র ১৩৭৯ নতুন সংক্রমণ ধরা পড়েছে।
গত কয়েকদিন ধরে যে দুই রাজ্যে সংক্রমণের গতি সবচেয়ে বেশি সেই তেলেঙ্গানা ও কর্নাটকে পরিস্থিতির তেমন কোনও বদল ঘটেনি। কর্নাটকে ১৪৮৩ ও তেলেঙ্গানায় ১৮৩১ সংক্রমণ ধরা পড়েছে।