Advertisment

করোনা-সঙ্কট: বাইরে থেকে ফিরে কি অবশ্যই জামাকাপড় কাচা উচিত?

বিশেষজ্ঞদের মতে, নভেল করোনাভাইরাস জামাকাপড়ের উপর যতটা সময় বাঁচতে পারে, তার তুলনায় বেশি বাঁচে স্টিল বা প্লাস্টিক জাতীয় বস্তুর উপর।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
coronavirus clothes

প্রতীকী ছবি

করোনা-কবলিত এই সময়ে অনেকেরই প্রশ্ন, বাইরে থেকে বাড়ি ফিরে কি জামাকাপড় কাচা উচিত? বাইরে থেকে বাড়ি ফিরে জামাকাপড় কাচা অবশ্যই সুঅভ্যাস, তবে সেটা আবশ্যিক কিনা, জেনে নেওয়া যাক।

Advertisment

বিশেষজ্ঞদের মতে, নভেল করোনাভাইরাস জামাকাপড়ের উপর যতটা সময় বাঁচতে পারে, তার তুলনায় বেশি বাঁচে স্টিল বা প্লাস্টিক জাতীয় বস্তুর উপর। তবে জামাকাপড়ের উপর ঠিক কতক্ষণ বাঁচতে পারে এই ভাইরাস, সে ব্যাপারে প্রামাণ্য গবেষণা কিন্তু এখনও হয়নি।

পোশাক থেকে সংক্রমণের সম্ভাবনা অনেকটাই নির্ভর করে আপনার গতিবিধির উপর। সবচেয়ে বেশি ঝুঁকি সেই সব ডাক্তার এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের, যাঁরা সরাসরি করোনা-আক্রান্তদের চিকিৎসায় জড়িত। এঁদের জামাকাপড় কাচার বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নির্দিষ্ট নির্দেশিকা রয়েছে। সংক্রমণজনিত রোগ বিশেষজ্ঞ ডঃ তনু সিঙ্ঘলের কথায়, "ডিটারজেন্টের প্রভাবে ভাইরাসের মৃত্যু ঘটে, এটাই প্রচলিত তত্ত্ব।"

আরও পড়ুন: আদ্যিকালের বিসিজি ভ্যাকসিনই করোনার প্রতিষেধক, দাবি নিউ ইয়র্কের গবেষকদের

এখনও যেহেতু ভারতে করোনার 'কমিউনিটি ট্রান্সমিশন' হয়নি বলে বিশেষজ্ঞদের অভিমত, তাই দেশের আমজনতা এখনও মোটামুটি ঝুঁকিমুক্ত বলে মনে করা হচ্ছে। তাই যদি আপনি বাইরে থেকে বাড়ি ফিরে হাত ধুয়ে জামাকাপড় ছেড়ে সেটা না কেচে অন্য পোশাক পরেন এবং পরের দিন যদি আগের দিনের না-কাচা জামাকাপড় পরেই বেরোন, তা বিরাট কোনও ঝুঁকির নয়। তবে আপনি যদি স্বাস্থ্যকর্মী হন, বাড়ি ফিরে জামাকাপড় না-কাচাটা কিন্তু একেবারেই নিরাপদ নয়।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এই জামাকাপড় কি আলাদা কাচা উচিত? যদি আপনি বাজার থেকে সব্জি কিনে বাড়ি ফেরেন, আলাদা না কাচলেও চলে। তবে যদি আপনাকে ঘনঘন বেরোতে হয়, অবশ্যই আলাদা তোয়ালে ব্যবহার করা উচিত। এবং যদি আপনাকে কাজের খাতিরে হাসপাতাল বা কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের মতো জায়গায় যেতে হয়, জামাকাপড় অবশ্যই আলাদা কাচা উচিত।

যদি কারোর করোনা-আক্রান্ত হওয়ার উপসর্গ দেখা যায়, তবে সম্ভাব্য সংক্রমণ প্রতিরোধে তাঁর জামাকাপড় গ্লাভস পরে আলাদা কাচার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে সরকারি নির্দেশিকায়। মুম্বইয়ের কস্তুরবা হাসপাতাল এখন ব্যবহৃত হচ্ছে করোনা-আক্রান্তদের 'আইসোলেশন সেন্টার' হিসাবে। এই হাসপাতালের কর্মীরা রোজ বাড়ি ফিরে গরম জলে স্নান করছেন এবং নিজেদের জামাকাপড় আলাদা লন্ড্রিতে কাচছেন।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

Advertisment