পর পর তিন ধরে দেশে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। তিন দিনে সংখ্যা ছাড়িয়েছে হাজারেরও বেশি। যা এখনও পর্যন্ত ভারতে রেকর্ড। এর আগে তিন দিনে কখনই মৃত্যু সংখ্যা এত বৃদ্ধি পায়নি। গত কয়েক মাসে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর এমন অস্বাভাবিক বৃদ্ধি দেখেনি ভারত।
যত আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে ততই বেড়েছে মৃত্যুর সংখ্যাও। গত দু'দিনে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৭৫ হাজারেরও বেশি। কিন্তু সংখ্যার থেকেও যেটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ তা হল বেশিরভাগ ক্ষেত্রে রোগী যেদিন আক্রান্ত হয়েছেন তার কয়েক সপ্তাহ পর মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হওয়ার দিন কিংবা পরের দিন মৃত্যু ঘটছে এমন সংখ্যা খুব কম। বরং রোগীর দেহে অনেকদিন ধরে করোনা থাকলেই সেক্ষেত্রে বাড়ছে মৃত্যু হার। সমস্যা সেখানেই, যে এর নির্দিষ্ট কোনও সময়সীমা নেই। যেই সময় ধরে চিকিৎসকরা এগোতে পারবেন। সেই কারণে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে মৃত্যু মিছিলও।
আরও পড়ুন, ভ্যাকসিন প্রয়োগের পরও একাধিকবার করোনা আক্রমণ হতে পারে?
তবে বিশ্বের নিরিখে দেখলে ভারতে কিন্তু কেস ফ্যাটালিটি রেশিও (সিএফআর) অনেকটাই কম। বিশ্বে সেই সংখ্যা ৩.৪ শতাংশ আর ভারতে ১.৮২ শতাংশ। এমনকী আগের থেকে সেই সংখ্যা কমেছে যা কিছুটা স্বস্তি দিচ্ছে। মনে হতে পারে একদিকে বলা হচ্ছে মৃত্যু বাড়ছে আবার আরেকদিকে বলা হচ্ছে সেই হার কমছে এটা কীভাবে সম্ভব? আসলে এই সিএফআর হল বর্তমানে মোট আক্রান্ত সংখ্যাকে যখন মোট মৃত্যু সংখ্যা দিয়ে ভাগ করা হচ্ছে সেই হার। এখন যেমন আক্রান্তের যা হার, সেখানে দু-তিন সপ্তাহ এই সিএফআর হার অনেকটাই বদলাচ্ছে।
আরও পড়ুন, বিনা ওষুধে এইচআইভি-মুক্ত হলেন এক মহিলা, বিশ্বে এই প্রথম
বৃহস্পতিবার দেশে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৭৭ হাজার। আগের দিনের থেকে প্রায় ২ হাজার বেশি। ভারত এখন পর্যন্ত বিশ্বে সর্বোচ্চ সংখ্যক আক্রান্তের দেশ শুধু তাইই নয়, এই অতিমারী চলাকালীন সময়ে যে কোনও দেশের জন্য সর্বোচ্চ সংখ্যক রেকর্ডও করেছে। শুক্রবার মেক্সিকোর মৃত্যু সংখ্যাকে ছাপিয়ে গিয়েছে।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন