Bombay High Court said banks can’t stop debtors from going abroad: ব্যাঙ্ক ঋণগ্রহীতাদের বিদেশে যেতে বাধা দিতে পারে না, জানাল বম্বে হাইকোর্ট। আদালত বলেছে যে বিদেশ ভ্রমণের মৌলিক অধিকার কোনও সরকারি আইন বা নিয়ন্ত্রণ বিধিবদ্ধ আইন ছাড়া খর্ব করা যায় না। একইসঙ্গে বম্বে হাইকোর্ট জানিয়েছে, সরকারি ব্যাঙ্কগুলো (PSBs) ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে লুক আউট সার্কুলার (LOCs) জারির সুপারিশ বা অনুরোধ করতেও পারে না। কেন্দ্রীয় সরকারের অফিস মেমোরেন্ডাম (OM), সরকারি ব্যাঙ্কগুলোকে ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে লুক আউট সার্কুলার (LOCs) জারির সুপারিশ বা অনুরোধ করার ক্ষমতা দিয়েছিল। সেই ক্ষমতাও বাতিল করেছে বম্বে হাইকোর্ট।
মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন
এর আগে গত ২৩ এপ্রিল, বিচারপতি গৌতম এস প্যাটেল (বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত) ও বিচারপতি মাধব জে জামদারের ডিভিশন বেঞ্চ সরকারি ব্যাঙ্কের ঋণগ্রহীতাদের বিদেশ ভ্রমণে বাধা দেওয়ার জন্য জারি করা এলওসি বা লুক আউট সার্কুলার বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছিল। আদালত সেই সময় বলেছিল যে, এই সার্কুলার সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৪ এবং ২১ অনুযায়ী, নিশ্চিতরূপে মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন।
আইনি চ্যালেঞ্জ
আদালতে কেন্দ্রীয় সরকারের যে লুকআউট সার্কুলারকে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছিল, সেগুলো জারি করেছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের (MHA) ব্যুরো অফ ইমিগ্রেশন। এই সব সার্কুলার, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক (PSB)-এর কাছে ঋণশোধ না করা ব্যক্তিদের ভারত ত্যাগের বিরুদ্ধে বাধা দেওয়ার ক্ষমতা বন্দর এবং বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে দিয়েছিল। এই লুকআউট সার্কুলারগুলো ২৭ অক্টোবর, ২০১০-এর পর থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক কেন্দ্রীয় সরকারের অফিস মেমোরেন্ডাম (OM) অনুযায়ী জারি করেছিল।
আরও পড়ুন- গরমে নাজেহাল দেশ! সমুদ্র ঘেরা, নদীভরা ভারতে এপ্রিলে ঠান্ডা হাওয়া রুখল কোন ভিলেন?
বিদেশ যেতে বাধা
সেপ্টেম্বর ২০১৮-য়, কোনও ব্যক্তিকে বিদেশ যেতে বাধা দেওয়ার জন্য একটি লুকআউট সার্কুলার জারি করা হয়েছিল। যে ব্যক্তির দেশত্যাগ, দেশের 'অর্থনৈতিক স্বার্থ'-এর জন্য ক্ষতিকারক, তাঁদের ক্ষেত্রে এই সার্কুলার প্রযোজ্য। পরের মাসে, স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (SBI) এর চেয়ারপার্সন এবং অন্যান্য রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলোর (PSB) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং প্রধান নির্বাহী কর্তারা ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে LOC ইস্যু করার জন্য অভিবাসন কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করার একটি নতুন ধারা চালু করেছিল। খেলাপি ঋণগ্রহীতাদের মধ্যে কেবল ঋণগ্রহীতাই নয়, ঋণ পরিশোধের গ্যারান্টার এবং ঋণদানের সঙ্গে যুক্ত থাকা কর্পোরেট সংস্থার প্রধান কর্মকর্তা বা পরিচালকদেরও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল।